যুক্তরাষ্ট্রে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়েছে
যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ব মহামারি সৃষ্টিকারী কোভিড-১৯ নামকে করোনা ভাইরাসে এক লাখ মানুষ সংক্রমিত হয়েছেন। গত তিনদিনের ব্যবধানে এই সংখ্যা দ্বিগুণ হারে বেড়েছে। দেশটি যখন সংক্রমণ শনাক্তের পদক্ষেপ জোরদার করেছে ঠিক তখন নতুন করে অনেক ব্যক্তির দেহে ভাইরাসটির উপস্থিতি ধরা পড়ছে।
জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া তথ্যানুসারে মোট আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ এক হাজার ৭০৭ জন বলে জানানো হয়। আরে মৃতের সংখ্যা ছিল এক হাজার ৫৪৪।
তবে বার্তা সংস্থা রয়টার্স মৃতের সংখ্যা ১৬শ জন ছাড়িয়েছে বলে জানায়। অন্যদিকে ওয়ার্ল্ডোমিটার ডটকম সূত্রে সর্বশেষ সংখ্যা এক হাজার ৭০৪ বলে জানা গেছে।
এই অবস্থায় নতুন করে সংক্রমিতদের চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে প্রাণান্তকর এক লড়াই চলছে দেশটির হাসপাতালগুলোয়। অনলাইনে ডাক্তার এবং নার্সেরা সরকার এবং জনগণের কাছে তাদের আরও সুরক্ষা সরঞ্জাম এবং যন্ত্রপাতি দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন। খবর সিএনবিসি ও রয়টার্সের
বিশ্বের সবচেয়ে বড় আর্থিক সহায়তার প্যাকেজ
বর্তমান পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিও প্রায় বিপর্যয়ের শিকার। সামগ্রিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড এবং লকডাউনের কারণে বেকার হয়ে পড়া বিপুল সংখ্যক নাগরিক ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানকে- এই অবস্থায় ২ লাখ ২০ হাজার কোটি ডলারের এক বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে সহায়তা দেওয়া হবে।
এর আওতায় কর রেয়াত, স্বল্প সুদে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ, বেকার ভাতা, নাগরিক বৃত্তির মতো নানা বরাদ্দ থাকছে।
এর আগে বিলটি পাস করা নিয়ে ডেমোক্র্যাট এবং রিপাবলিকান দলের মধ্যে বিরোধ দেখা দিলেও তা এক সমঝোতার ভিত্তিতে নিরসন হয়। পাস হওয়ার পর (আজ) শনিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প 'করোনা ভাইরাস রিলিফ' বিলে স্বাক্ষর করে একে আইনে রূপ দিয়েছেন।
এর মাধ্যমে ওয়াশিংটন করোনার সর্বগ্রাসী থাবা থেকে অর্থনীতিকে মুক্ত রাখার উদ্যোগ নিল।
বর্তমান বিশ্ব মহামারির সময়ে এটা বিশ্বের সর্ববৃহৎ সরকারি আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজ। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসেও এটা সবচেয়ে বড়।
এর আওতায় প্রাপ্তবয়স্ক মার্কিন নাগরিকেরা মাথাপিছু ১২শ ডলার সরকারি ভাতা পাবেন। আর চারজনের এক পরিবার প্রতি দেওয়া হবে মাসিক তিন হাজার ৪০০ ডলার। পাশাপাশি ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা এবং কুটির শিল্পের জন্য নগদ প্রণোদনা থাকছে।
গত বৃহস্পতিবার মার্কিন সিনেটে আয়োজিত এক কণ্ঠভোটে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বিলটি পাস হয়।
সহায়তা পরিকল্পনার মাঝে আরও আছে নাগরিকদের স্বাস্থ্য ও বেকারত্ব বিমার আওতা বৃদ্ধি করার উদ্যোগ। সিনেট স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি ঐতিহাসিক এই বিলকে বিশ্ব মহামারির ভয়াল থাবা রোধের এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে অভিহিত করেন।