যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন অ্যাসাঞ্জ
যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। আজ সোমবার লন্ডনের হাইকোর্টের দুই বিচারপতি এ রায় দেন। এর ফলে অ্যাসাঞ্জ আপাতত যুক্তরাজ্যেই থাকছেন। খবর বিবিসির।
২০১০ ও ২০১১ সালে উইকিলিকস ওয়েবসাইটে যুক্তরাষ্ট্রের হাজার হাজার গোপন নথি ফাঁস করা হয়। এর পর থেকে অ্যাসাঞ্জ এক দশকেরও বেশি সময় ধরে যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন।
গত ফেব্রুয়ারিতে গোপন নথি ফাঁসের ঘটনায় বিচারের জন্য অ্যাসাঞ্জকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণের অনুমোদন দেয় যুক্তরাজ্য সরকার। এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করেন অ্যাসাঞ্জের আইনজীবীরা। তারা জানান, অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে মামলাটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
এর পর চলতি বছরের মার্চে হাইকোর্টের একটি রায়ে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে অ্যাসাঞ্জকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে না, সেই নিশ্চয়তা না দিলে তিনি প্রত্যর্পণের বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্যে আইনি লড়াই চালানোর সুযোগ পাবেন। নিশ্চয়তা না পেলে অ্যাসাঞ্জকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতিও দেওয়া হবে।
গত মাসে এসব বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে হাইকোর্টকে আশ্বস্ত করা হয়েছে বলে বিচারপতিরা জানিয়েছেন।
অ্যাসাঞ্জ বর্তমানে বেলমার্শ কারাগারে রয়েছেন। এখন তিনি আপিল প্রস্তুত করার জন্য কয়েক মাস সময় পাবেন।
আপিলে মার্কিন আদালতে সম্ভাব্য বিচার কীভাবে পরিচালিত হবে এবং অস্ট্রেলিয়ায় জন্মগ্রহণের কারণে একজন বিদেশি নাগরিক হিসেবে বিচারের সময় বাক স্বাধীনতার অধিকার রক্ষা হবে কি না, সেসব বিষয়ে অ্যাসাঞ্জ তার বক্তব্য তুলে ধরবেন।
অ্যাসাঞ্জ দাবি করেন, ২০১০ সালে তিনি যেসব নথি ফাঁস করেছেন, সেগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধাপরাধের বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে।
প্রসিকিউটররা জানান, এ নথি ফাঁস হওয়ার কারণে অনেকের জীবনের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।
এর আগে সোমবার ৫২ বছর বয়সী অ্যাসাঞ্জের স্ত্রী স্টেলা অ্যাসাঞ্জ বিবিসিকে বলেন, আদালত যে রায় দেন না কেন, তিনি 'জুলিয়ান মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবেন'।
অনুবাদ: রেদওয়ানুল হক