কাশ্মীরে ময়দা ও বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধিতে বিক্ষোভ; নিহত ৪
![](https://www.tbsnews.net/bangla/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2024/05/15/screenshot_2024-05-15_090055.png)
পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে কর্তৃপক্ষের সাথে সহিংস সংঘর্ষে চারজন নিহত ও প্রায় ১০০ জন আহত হয়েছে। মূলত আটা ও বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে গত শুক্রবার থেকে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নামার পর এই ঘটনা ঘটে।
গত সোমবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ প্রায় ২৪ বিলিয়ন রুপি (৮৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) মূল্যের ভর্তুকির ঘোষণা দেয়। এরও এক দিন পর মঙ্গলবার বিক্ষোভকারীরা বিক্ষোভ প্রত্যাহার করে নেয়।
বিক্ষোভের নেতৃত্বদানকারী এক কর্মী শওকত নওয়াজ মীর বলেন, "সরকার আমাদের সব দাবি মেনে নিয়েছে।" একইসাথে তিনি দাবি করেছিলেন যে, সরকার সহিংসতায় নিহতদের পরিবারগুলিকে যেন আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেয়।
ঐ বিক্ষোভ এতটাই তীব্র ছিল যে, কর্তৃপক্ষকে মোবাইল পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছিল। একইসাথে স্কুল, গণপরিবহন ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও বন্ধ রাখা হয়।
![](https://www.tbsnews.net/bangla/sites/default/files/styles/infograph/public/images/2024/05/15/screenshot_2024-05-15_090253.png)
এদিকে গত সোমবার কর্তৃপক্ষ আঞ্চলিক রাজধানী মুজাফফরাবাদে রেঞ্জার নামে পরিচিত আধা-সামরিক বাহিনী পাঠিয়েছে। বিক্ষোভের ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, উভয় পক্ষ একে অপরকে রড দিয়ে আঘাত করছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, আধাসামরিক বাহিনীও বিক্ষোভকারীদের উপর গুলি ছোড়ে এবং কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে।
কর্তৃপক্ষ জানায়, নিহত চারজনের মধ্যে একজন পুলিশ কর্মকর্তা। পাকিস্তানের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের একজন চিকিৎসকের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে অন্তত দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন।
৩৭ বছর বয়সী দোকানদার মুহাম্মদ কাসিম এএফপিকে বলেন, "রেঞ্জারদের প্রতিবাদকারীদের উপর গুলি করা উচিত হয়নি। আমরা শুধু আমাদের অধিকার চাচ্ছিলাম এবং বিনিময়ে গুলি পেয়েছি।"
এদিকে জয়েন্ট আওয়ামী অ্যাকশন কমিটি নিহতদের সম্মান জানাতে মঙ্গলবারকে 'কালো দিবস' ঘোষণা করেছে।
পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীর একটি আধা-স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল; যার নিজস্ব আঞ্চলিক সরকার রয়েছে। গত ৭০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে অঞ্চলটি নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছে।
দিল্লি ও ইসলামাবাদ উভয়ই হিমালয় অঞ্চলটির সম্পূর্ণ দাবি করে। ইতোমধ্যেই কাশ্মীর নিয়ে দেশ দুটির মধ্যে দুটি যুদ্ধ হয়েছে।
অনুবাদ: মোঃ রাফিজ খান