ইরানিদের এখন কুমির থেকেও সতর্ক থাকতে বলা হলো!
বন্যায় প্লাবিত হয়ে গেছে ইরানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল। এ অবস্থায় ওই অঞ্চলের সব কুমির নিজেদের আবাস ছেড়ে বেরিয়ে আসতে বাধ্য হচ্ছে বলে সতর্ক করে দিয়েছে ইরানি কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ইরনা জানিয়েছে, বন্যায় তিনজন সড়ক নির্মাণকর্মী মারা গেছেন।
মধ্যপ্রাচ্যে রেকর্ডভাঙা ঝড়ের পর এ বন্যায় প্লাবিত হয়েছে ইরানের একাংশ।
আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা মেহর নিউজ জানিয়েছে, প্রবল বর্ষণ ও তার পরের আকস্মিক বন্যায় প্লাবিত হয়েছে ইরানের বন্দর আব্বাস, কেরমান এবং সিস্তান ও বালুচিস্তান প্রদেশ।
সংস্থাটি জানিয়েছে, এসব অঞ্চলের সবগুলো নদীর পানি উপচে পড়েছে, বাঁধগুলোর সক্ষমতার সীমা পেরিয়ে গেছে, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অনেক সম্পত্তি।
ইরনা ও তাসনিমের প্রচার করা ভিডিওতে দেখা গেছে, বিস্তীর্ণ এলাকায় ছড়িয়ে পড়া বন্যায় নৌকা নিয়ে বিপদগ্রস্তদের উদ্ধার করছে মানুষ।
সিস্তান ও বালুচিস্তানের পরিবেশ বিভাগ সতর্কতা জারি করে বলেছে, 'ছোট-নাক কুমির' তাদের প্রাকৃতিক আবাস থেকে বেরিয়ে আসতে বাধ্য হচ্ছে।
বাহু কালাত নদীতীর, জলাভূমি ও বন্যপ্রাণীদের আবাসস্থলের কাছাকাছি বসবাস করা বাসিন্দাদের বন্যার পানি পুরোপুরি নেমে না যাওয়া এবং পরিস্থিতি স্থিতিশীল হওয়ার আগপর্যন্ত অপ্রয়োজনে বাইরে ঘোরাঘুরি করতে মানা করা হয়েছে।
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বন্যায় আটকা পড়া দুটি বাস থেকে ৪৩ জন যাত্রীকে উদ্ধা করেছে ইরানিয়ান রেড ক্রিসেন্ট।
গত মঙ্গল ও বুধবারে ইরানে আঘাত হানে এ ঝড়। এর আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতে এ ঝড় আঘাত হেনেছিল।
এ ঝড়ের প্রভাবে আরব আমিরাতে ৭৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর প্রভাবে দুবাইয়ে ফ্লাইট বাতিল হয়েছে, বন্ধ হয়ে গেছে যানচলাচল ও স্কুল।
ওমানেও আঘাত হেনেছে এ ঝড়। প্রবল বর্ষণের ফলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় ওমানে অন্তত ১৮ জন নিহত হয়েছেন।