উন্নত অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে ২০২৪ সালে রাশিয়ার প্রবৃদ্ধি হবে সর্বোচ্চ: আইএমএফ

আন্তর্জাতিক

বিবিসি
17 April, 2024, 02:05 pm
Last modified: 17 April, 2024, 02:05 pm
সংস্থাটির অনুমান মতে, রাশিয়ার অর্থনীতি চলতি বছর ৩.২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারে। যা যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানির মতো শক্তিশালী অর্থনীতির দেশগুলোর তুলনায়ও অনেক বেশি।

চলতি বছর বিশ্বের উন্নত অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে রাশিয়ার প্রবৃদ্ধি হবে সবচেয়ে বেশি। ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ডের (আইএমএফ) প্রতিবেদনে এমনটাই উঠে এসেছে।

সংস্থাটির অনুমান মতে, রাশিয়ার অর্থনীতি ২০২৪ সালে ৩.২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে। যা যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানির মতো শক্তিশালী অর্থনীতির দেশগুলোর তুলনায় অনেক বেশি।

আইএমএফ জানায়, বিশ্ব অনেক নেতিবাচক ভবিষ্যদ্বাণী সত্ত্বেও মন্দা এড়িয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। ব্যাংকিং ব্যবস্থা অনেকাংশে স্থিতিশীল বলে প্রতীয়মান হয়েছে। একইসাথে প্রধান উদীয়মান বাজার অর্থনীতিগুলি হঠাৎ করে থমকে যায়নি।

আন্তর্জাতিক সংস্থা হিসেবে আইএমএফ-এর সদস্য দেশ বর্তমানে ১৯০টি। এটি মূলত দেশগুলোকে কোথায় বিনিয়োগ করতে হবে তার পরিকল্পনা করতে এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলি সুদের হারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পরামর্শ দিয়ে থাকে।

ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও আইএমএফ চলতি বছর রাশিয়ান অর্থনীতি নিয়ে জানুয়ারির পূর্বাভাসকে আরও বাড়িয়েছে। যদিও সংস্থাটি বলেছে, ২০২৫ সালে দেশটির প্রবৃদ্ধি কম হবে। তবে এটি পূর্বে প্রত্যাশিত ১.৮ শতাংশ থেকে এখনও বেশি হবে।

আইএমএফ-এর ডেপুটি ডিরেক্টর পেটিয়া কোয়েভা ব্রুকস মনে করেন, কর্পোরেট ও রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন উদ্যোগে বিনিয়োগ, দেশের অভ্যন্তরের ব্যক্তিগত সম্পদ ব্যবহারে দৃঢ়তা ও তেলের শক্তিশালী রপ্তানি রাশিয়ার প্রবৃদ্ধিকে উন্নীত করছে।

রাশিয়া বিশ্বের বৃহত্তম তেল রপ্তানিকারক দেশের একটি। বিবিসির গত ফেব্রুয়ারি মাসের রিপোর্ট অনুযায়ী, রাশিয়ান তেল থেকে তৈরি কয়েক মিলিয়ন ব্যারেল জ্বালানি নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও যুক্তরাজ্য আমদানি করেছে।

এদিকে আইএমএফের পূর্বাভাস মতে, চলতি বছর যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ০.৫ শতাংশ হবে বলে অনুমান করেছে। যা উন্নত অর্থনীতির গ্রুপ জি৭ ভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন। এক্ষেত্রে সবচেয়ে নিচে অবস্থান করছে জার্মানি।

আইএমএফ-এর অর্থনীতিবিদরা সতর্ক করেছেন যে, যদি মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েল-হামাস সংঘাত আরও বাড়তে থাকে তবে তার প্রভাবে বিশ্বজুড়ে খাদ্য ও জ্বালানির দামও বাড়াতে পারে।

সেক্ষেত্রে, লোহিত সাগরে জাহাজে ক্রমাগত আক্রমণ, ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধ এখন পর্যন্ত 'অনেকটা স্থিতিশীল' থাকা বিশ্ব অর্থনীতিকে প্রভাবিত করতে পারে। এতে করে খাদ্য, জ্বালানি ও পরিবহণ ব্যয়ের সম্ভাব্য বৃদ্ধি নিম্ন আয়ের দেশগুলিকে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করবে। 


অনুবাদ: মোঃ রাফিজ খান 

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.