আরো যুদ্ধ ছাড়া ইউক্রেন নিয়ে আর কোনো বিকল্প নেই যুক্তরাষ্ট্রের

আন্তর্জাতিক

ডেভিড পি. গোল্ডম্যান, এশিয়া টাইমস 
27 March, 2024, 07:35 pm
Last modified: 27 March, 2024, 08:46 pm
মার্কিন নীতিনির্ধারকরা এমন দুনিয়ার কথা ভাবতেই পারেন না যেখানে আমেরিকা সবার মাথার উপর ছড়ি ঘোরাতে পারবে না। তাঁরা দুনিয়াকে আমেরিকার মর্জিমতো চালিয়েই অভ্যস্ত, আর সেটা বজায় রাখতে তাঁরা পাশার দানে সবকিছুই বাজি ধরতে প্রস্তুত। 

পশ্চিমাদের জন্য ইউক্রেন যুদ্ধের ভবিষ্যৎ এক অন্ধকারে ছেয়ে যাচ্ছে। ছবি: ইনস্টাগ্রাম স্ক্রিনগ্যাব/ এশিয়া টাইমস

গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের কয়েক ডজন সাবেক মন্ত্রিসভা সদস্য, সামরিক কর্মকর্তা, একাডেমিক এবং থিঙ্ক ট্যাঙ্কের বিশ্লেষকরা গোপন এক আলোচনায় অংশ নেন। তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল, বর্তমান বিশ্বের সামরিক পরিস্থিতির পর্যালোচনা। 

এ নিবন্ধের লেখক ডেভিড পি. গোল্ডম্যান ১৯৮৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের– আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিষয়ক সিনিয়র পরিচালক নরম্যান এ. বেইলির অধীনে জুনিয়র চুক্তি-ভিত্তিক গবেষক হিসেবে কাজ করেছেন। স্নায়ুযুদ্ধের ওই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ ব্যতিব্যস্ত এক সময় পার করেছে।

পর্দার অন্তরালে এই পরিষদের সদস্য ও গবেষকরা জানতেন, উত্তেজনার মাত্রা কতোটা ভীষণ। কিন্তু, তবু গত সপ্তাহের গোপন ওই আলোচনা সভার উল্লেখ করে গোল্ডম্যান বলেছেন, স্নায়ুযুদ্ধের চরমতম সময়ে যখন ন্যাটোর 'অ্যাবল আর্চার' নামের এক সামরিক মহড়া রীতিমতো পারমাণবিক যুদ্ধের হুমকি তৈরি করেছিল– তারপরে এতোটা ভয় আমি আর কখনো পাইনি। অর্থাৎ, বিশ্বের সামরিক পরিস্থিতির মূল্যায়ন করে তিনি শিহরিত হয়েছেন।    

বর্তমানে রাশিয়াকে অপদস্থ করার পণ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি নির্ধারক মহল। মস্কোর কয়েকশ কিলোমিটারের মধ্যে ন্যাটোর সীমানা বিস্তারের এক পায়তাঁরা দেখা যাচ্ছে। একইসঙ্গে তাঁরা নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে মস্কোর অর্থনীতিকে চূর্ণ করতে চেয়েছেন।    

এই উদ্দেশ্যে সবকিছু করা হচ্ছে। ইউরোপের সরকারগুলোর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের যত ধরনের সহায়তা পাওয়ার সুযোগ ছিল তাঁর সবই কাজে লাগানো হয়েছে। ইউক্রেনে প্রক্সি যুদ্ধের সমর্থনে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে গাদা গাদা ভাড়াটে সাংবাদিক, থিঙ্ক ট্যাঙ্কের বিশেষজ্ঞ এবং বেতনভুক্ত রাজনীতিবিদদের। লক্ষ্য একটাই এই যুদ্ধ জারি রেখে, রাশিয়ার সামরিক শক্তির দফারফা করা। যেন মস্কো প্রচলিত যুদ্ধে নখদন্তহীন কাগুজে বাঘে পরিণত হয়। 
   
এই প্রেক্ষাপটে গত সপ্তাহের ওই আলোচনায় অংশ নেওয়া বিশিষ্টজনেরা – প্রতিরক্ষা ও জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক সাবেক কেবিনেট সদস্যরা – এই বার্তাই দেন যে, যেকোন মূল্যে দিয়েই হোক না কেন– ন্যাটো এই যুদ্ধে জিততে চায়। 

একজন র‍্যাপোর্টিয়ার সেখানে বলেছেন, "রাশিয়া কৌশলগত মজুত তৈরি করতে পারবে কিনা সেটি একটি প্রশ্ন। তাদের সেনা কর্মকর্তাদের কোর মাত্র ৫০ শতাংশ সামর্থ্য নিয়ে কাজ করছে, নন-কমিশন অফিসারের সংখ্যাও যথেষ্ট নয়।"   

সাবেক আরেক কর্মকর্তা বলেন, "যুদ্ধে রাশিয়ার বিপুল সেনা হতাহত হচ্ছে, এই সংখ্যাটা মাসে ২৫ থেকে ৩০ হাজার হতে পারে। ফলে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার মতো মনোবল তাঁরা ধরে রাখতে পারবে না। এই মনোবল এখন ভেঙে পড়ার কাছাকাছি পৌঁছেছে। জাতীয়ভাবেও কী রুশরা যুদ্ধের সমর্থনে অবিচল থাকতে পারবে? বিশাল কারচুপির নির্বাচন করে পুতিন কী সেই বার্তাই দেননি! (যে যুদ্ধের পেছনে জনসমর্থন হারাচ্ছেন তিনি)। তাছাড়া রুশ অর্থনীতির কাঠামো দুর্বল হয়ে পড়েছে।  ফলে শক্তি-সামর্থ্যের এক অলীক বার্তা দিচ্ছে আজকের রাশিয়া, যা আসলে অন্তঃসারশূন্য।"  

কিন্তু, তাঁর একথাগুলো ছিল আদতে মিথ্যাচার, এমনকী তাঁর আগের বক্তা ওই র‍্যাপোর্টিয়ারও বানোয়াট তথ্য দিয়েছেন। যেমন সেনা হতাহতের যে হিসাব দিয়েছেন তা একেবারেই উদ্ভট। রাশিয়া মাসে ২৫ থেকে ৩০ হাজার সেনা হারাচ্ছে– এই দাবি ভিত্তিহীন। বস্তুত, উভয়পক্ষে সবচেয়ে বেশি সেনা হতাহত হচ্ছে কামানের গোলার আঘাতে। আর রাশিয়া বর্তমানে ইউক্রেনের চেয়ে পাঁচ থেকে দশগুণ বেশি গোলা নিক্ষেপ করছে। একইসঙ্গে রুশ বাহিনী এখন সম্মুখভাগে ঝুঁকিপূর্ণ আক্রমণ এড়িয়ে চলছে– হতাহত এড়াতে।  

আরও গুরুত্বপূর্ণ হলো– ৮৮ শতাংশ রুশ নাগরিক যে নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন– তার মাধ্যমেই পুনঃনির্বাচিত হয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিন। পশ্চিমা যেকোনো গণতন্ত্রের চেয়ে ভোটার অংশগ্রহণের এই হার অনেকটাই বেশি। রাশিয়ার নাগরিকদের হয়তো আরো বেশি প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর মধ্যে থেকে বেঁছে নেওয়ার সুযোগ ছিল না। কিন্তু, তাঁদের ভোট দেওয়া বা না দেওয়ার স্বাধীনতা ছিল। নির্বাচনকে অগ্রহণযোগ্য মনে করলে সাধারণ রুশরা এত উচ্চ হারে নিশ্চয় ভোটকেন্দ্রে আসতেন না। এই বিপুল উপস্থিতি পুতিনের প্রতি সিংহভাগ নাগরিকের সমর্থনেরই প্রতিফলন। স্বাধীন জরিপকারী লেভাদার তথ্যমতে, নির্বাচনের আগে ৮৫ শতাংশ রুশ নাগরিক প্রেসিডেন্ট হিসেবে পুতিনকে সমর্থন করেছেন।    

অন্যদিকে, ভেঙে পড়ার বদলে উল্টো বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খল ও অর্থায়ন ব্যবস্থা পুনঃবিন্যাসের মূল কেন্দ্র হয়ে উঠেছে রাশিয়া। ২০২২ সালের মার্চে বাইডেন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার জাঁতাকলে পিষ্ট হয়ে রুশ অর্থনীতির আকার অর্ধেকে নামবে। কিন্তু, দেখা যাচ্ছে উল্টো ঘটনা। বরং রুশ অর্থনীতি প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে। 

এদিকে ইউক্রেনের সেনা সংখ্যায় বড় ঘাটতি দেখা দিয়েছে। প্রতিনিয়ত হতাহতের ফলে এই শূন্যতা বেড়েই চলেছে। দেশটির পার্লামেন্টও যুদ্ধের প্রয়োজনে নতুন সেনা ভর্তির আইন নিয়ে একমত হতে পারছে না। আলোচনার টেবিলে বিষয়টি তুলে ধরে একজন সমর ইতিহাসবিদ বলেন, "ইউক্রেনে যেখানেই যান না কেন তরুণদের দেখা পাবেন, কিন্তু তাঁরা সামরিক উর্দিতে নেই। সমস্ত তরুণকে যুদ্ধের আগুনে ঠেলে দিতে ইউক্রেনও নারাজ।"  

এদিকে ইউক্রেন বা ন্যাটোর চেয়ে চার থেকে সাতগুণ বেশি কামানের গোলা উৎপাদন করছে রাশিয়া। সোভিয়েত আমলের পুরোনো বিমান-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের মজুত ফুরানোয়– ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নাজুক অবস্থায় রয়েছে। পশ্চিমাদের পাঠানো প্যাট্রিয়েট এয়ার ডিফেন্স এখন সবেধন নীলমণি। কিন্তু, ন্যাটোর কাছেও প্যাট্রিয়ট মিসাইলের মজুত পড়তির দিকে।  

সে তুলনায়, সোভিয়েত আমলের বোমার বিপুল ভাণ্ডার রয়েছে রাশিয়ার। কম খরচের গাইডেন্স ব্যবস্থা স্থাপনের মাধ্যমে যেগুলোকে গ্লাইড বোমায় রুপান্তরিত করা হচ্ছে। এই ধরনের বোমা রুশ যুদ্ধবিমানগুলো ৬০ মাইল (বা ৯৬.৫ কিলোমিটার) দূর থেকে নিক্ষেপ করতে পারে। অর্থাৎ, এভাবে তারা ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার পাল্লার বাইরে থেকেই শত্রু অবস্থান গুঁড়িয়ে দিচ্ছে। 

তাছাড়া, ইউক্রেনের চেয়ে পাঁচগুণ বড় জনসংখ্যার দেশ রাশিয়া। তাই শক্তিক্ষয়ের যুদ্ধেও রাশিয়া জিতছে। 

জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ এবং আরো কয়েকজন ইউরোপীয় নেতা– পারমাণবিক যুদ্ধের হুমকি নিয়ে বেশি বেশি উদ্বেগ দেখাচ্ছেন – এমন মন্তব্য করে তাঁদের সমালোচনা করেন আরেক বিশেষজ্ঞ। তাঁর দাবি, জার্মানির তাউরাস ক্রুজ মিসাইল ইউক্রেনকে দিতে হবে। প্রায় হাজার কিলোমিটার পাল্লার এই মিসাইলের রয়েছে দুই স্টেজের বিস্ফোরক, যা শত্রুপক্ষের প্রধান প্রধান অবকাঠামো ধবংসে ব্যবহার করা যায়। 

রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডের সাথে ক্রিমিয়া উপদ্বীপের সড়ক সংযোগ স্থাপন করেছে কার্চ সেতু। গত মাসে জার্মান বিমানবাহিনী (লুফথওয়াফা)-র সিনিয়র কয়েকজন কর্মকর্তার মধ্যে কথাবার্তার রেকর্ড ফাঁস হয়েছে।  ২০টি তাউরাস মিসাইল দিয়ে এই সেতু ধবংস করা যাবে কিনা– সেবিষয়ে তাদের আলোচনা করতে শোনা গেছে ওই রেকর্ডে। তাঁদের কথাবার্তার সূত্রে, ইউক্রেনে শত শত ব্রিটিশ ও অন্যান্য ন্যাটো দেশের সেনা সদস্যদের উপস্থিতির কথাও জানা গেছে।    

বৃহৎ অবকাঠামো ধবংস করে এভাবে রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধের বিস্তার ঘটালে, সেই আগুনে পুরো ইউরোপ পুড়তে পারে। ইউক্রেন যুদ্ধ রূপ নেবে বৃহত্তর ইউরোপীয় যুদ্ধে। ইউক্রেনে ন্যাটো সেনা মোতায়েনও এ ধরনের যুদ্ধ বাঁধানোর আরেক উপায়। যেমনটা কিছুদিন আগেই প্রস্তাব করেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ।

বিস্ময়কর হলেও সত্যি, যুদ্ধের আগুনে ঘি ঢালার এত এত আয়োজনের মধ্যে– আলোচনার মাধ্যমে সংঘাত নিরসন নিয়ে একটি কথাও বলা হচ্ছে না। একথা সত্যি, এই মুহূর্তে রাশিয়া যখন যুদ্ধে শক্তিশালী অবস্থায়– তখন শান্তি আলোচনায় নিপার নদীর পূর্ব পাশ থেকে শুরু করে ইউক্রেনের সমস্ত অধিকৃত এলাকার ওপর রাশিয়ার কর্তৃত্বকে মেনে নিতে হবে। এরপরে পশ্চিম ইউরোপের সাথে মস্কোর অর্থনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করার উদ্যোগ নিতে হবে।    

এতে রাশিয়াকেই দেখাবে প্রকৃত বিজয়ী, ফলে ইউরোপে আমেরিকার যে প্রভাব ও স্বার্থ– তা ক্ষুণ্ণ হবে। শুধু ইউরোপে নয়, পুরো বিশ্বেই ওয়াশিংটনের প্রভাব-প্রতিপত্তির জন্য তা হবে মারণ আঘাত। এমন ইঙ্গিত দিয়ে আলোচকদের অনেকেই বলেন, আমেরিকার প্রক্সি শক্তির (ইউক্রেনের) কী পরিণতি হয়– সেদিকে তাইওয়ান-ও লক্ষ রাখছে। 

ডেভিড পি. গোল্ডম্যান বলেন, গোপন ওই বৈঠকের নিয়ম অনুযায়ী, অন্যদের করা আলোচনার এর বেশি বলা যাবে না। তবে অনেক দীর্ঘ ও বিস্তারিত এই আলোচনায় আমি বলেছি– রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। কারণ, চীন বা ভারতের মুদ্রায় বাধামুক্তভাবে আমদানির সুযোগ পাচ্ছে রাশিয়া। এসব আমদানি কখনো সরাসরি হচ্ছে, কখনোবা তুরস্কসহ সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন-ভুক্ত মধ্য এশীয় দেশগুলোর মাধ্যমে তা পরোক্ষভাবে করা হচ্ছে।  

মারাত্নক নিষেধাজ্ঞার মুখেও রাশিয়ার অর্থনীতি অদম্যতার সাক্ষর রেখেছে। বিশ্ববাণিজ্যের এক গুরুত্বপূর্ণ বাঁক বদলের সূচনা হয়েছে রাশিয়াকে ঘিরে। গত তিন বছরে উন্নয়নশীল বিশ্বে চীনের রপ্তানি দ্বিগুণ বেড়েছে। ফলে উন্নত দেশে রপ্তানির তুলনায় এখন উন্নয়নশীল দেশেই চীনের রপ্তানি সবচেয়ে বেশি হচ্ছে। বেইজিংয়ের রপ্তানির এই সাফল্য এসেছে, চীনা শিল্পকারখানায় ব্যাপক অটোমেশনের হাত ধরে। বর্তমানে পুরো বিশ্বের শিল্প কারখানায় বছরে যে সংখ্যক শিল্প রোবট স্থাপন করা হচ্ছে, তার চেয়েও বেশি হচ্ছে চীনে। 

অটোমোবাইল বাজারে চীনের নয়া আধিপত্য এই অগ্রগতিকে তুলে ধরছে। তবে এই উন্নতির রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ সামরিক দিক। চীন এমন স্বয়ংক্রিয় কারখানা স্থাপনের দাবি করছে,  যেখানে দিনে এক হাজারের বেশি ক্রুজ মিসাইল তৈরি করা সম্ভব। যে দেশটি দিনে এক হাজার বৈদ্যুতিক গাড়ি (ইভি) বা হাজারো ফাইভ-জি বেইজ স্টেশন তৈরি করতে পারে– তাদের পক্ষে এটা অসম্ভবও নয়।  
 
প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, আমেরিকার অস্ত্র ভাণ্ডারে বর্তমানে চার হাজার ক্রুজ মিসাইল রয়েছে, কিন্তু চীন এই পরিমাণ উৎপাদন মাত্র এক সপ্তাহেই করতে পারবে। সে তুলনায়, অত্যাধুনিক এসব ক্ষেপণাস্ত্র তৈরিতে বছরের পর বছর সময় নেয় মার্কিন কোম্পানিগুলো।  

গোল্ডম্যান বলেন, আমার প্রদত্ত এসব তথ্যের বিরোধিতা কেউ করেননি। আর কেউ এটা বিশ্বাসও করেননি যে মাসে রাশিয়ার ২৫ হাজার করে সেনা হতাহত হচ্ছে। আসল সত্যিটা নিয়ে তেমন বিতর্ক হয়নি সেখানে, কিন্তু মূল সমস্যাটা হলো উপস্থিত বিশিষ্ট ও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা এমন দুনিয়ার কথা ভাবতেই পারেন না যেখানে আমেরিকা সবার মাথার উপর ছড়ি ঘোরাতে পারবে না। তাঁরা দুনিয়াকে আমেরিকার মর্জিমতো চালিয়েই অভ্যস্ত, আর সেটা বজায় রাখতে তাঁরা পাশার দানে সবকিছুই বাজি ধরতে প্রস্তুত। 


এশিয়া টাইমস থেকে অনুবাদ: নূর মাজিদ


বিশেষ দ্রষ্টব্য: নিবন্ধের বিশ্লেষণটি লেখকের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি ও পর্যবেক্ষণের প্রতিফলন। অবধারিতভাবে তা দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড-এর অবস্থান বা সম্পাদকীয় নীতির প্রতিফলন নয়।
 

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.