সু চির ৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাড়ি নিলামে, কোনো ক্রেতা মিলল না!

আন্তর্জাতিক

রয়টার্স
20 March, 2024, 04:25 pm
Last modified: 20 March, 2024, 05:39 pm
ইয়াঙ্গুনের ইনয়ে হ্রদের পাশে অবস্থিত পারিবারিক বাড়ির মালিকানা নিয়ে সু চির সাথে তার ভাই অং সানের কয়েক বছরের আইনি লড়াইয়ের পর দেশটির উচ্চ আদালতের নির্দেশেই বাড়িটি নিলামে তোলা হয়েছিল।
অং সান সু চি। ছবি: রয়টার্স

কারাগারে বন্দী মিয়ানমারের সাবেক নেতা অং সান সু চি'র বাড়ি বিক্রির জন্য বুধবার একটি নিলাম আয়োজন করা হলেও কেউ বাড়িটি কেনেননি। বাড়িটি বিক্রি করার জন্য প্রাথমিক মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছিল প্রায় ৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। মিয়ানমারের একটি স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে।

ইয়াঙ্গুনের ইনয়ে হ্রদের পাশে সু চির পারিবারিক বাড়িটি প্রায় ১ দশমিক ৯২ একর জমির ওপর অবস্থিত। বাড়িটির মালিকানা নিয়ে সু চির সাথে তার ভাই অং সানের কয়েক বছরের আইনি লড়াইয়ের পর সেটি নিলামে তোলা হয়েছিল। দেশটির উচ্চ আদালতের নির্দেশেই বাড়িটি নিলামে তোলা হয়।

২০২১ সালের একটি অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়া সু চি বর্তমানে কারাগারে আছেন। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা চলমান যার মধ্যে কয়েকটি মামলায় তিনি সাজাও পেয়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রত্যক্ষদর্শী বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, "আজ কোন ক্রেতা না আসায় নিলামের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা চলে গেছেন।"

বিবিসি বার্মিজও এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

মন্তব্যের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে তার ভাই অং সান ওর সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। মিয়ানমারের জান্তা সরকারের একজন মুখপাত্রের কাছে তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্য চাওয়া হলেও তিনি এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য করেননি।

নোবেল বিজয়ী সু চি বেশ কিছু মামলায় মায়ানমারের একটি অজ্ঞাত স্থানে ২৭ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন। কিন্তু সু চির সমর্থকরা তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগকে বানোয়াট বলে অভিহিত করেছিলেন।

ব্রিটেন থেকে ফিরে আসার পর মিয়ানমারে সু চি তিন দশকেরও বেশি সময় কাটিয়েছেন, যার অধিকাংশ সময় এ বাড়িতেই কাটিয়েছেন।

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাকে আবারো ক্ষমতাচ্যুত করার আগ পর্যন্ত মিয়ানমারের ডি ফ্যাক্টো নেতা হিসেবে সেখানেই এ বাড়িতেই তিনি অবস্থান করেছেন।

সু চির বাবা জেনারেল অং সানকে ১৯৪৭ সালে হত্যা করা হয়। তিনি মিয়ানমারের স্বাধীনতার নায়ক ছিলেন। তার মৃত্যুর পর সু চির মা খিন খিয়ি বাড়িটি তত্ত্বাবধান করেন। 

২০০০ সালে পারিবারিক বাড়ির ভাগ চেয়ে মামলা করেন তার ভাই অং সান ও। ২০১৬ সালে এ মামলার রায় দেওয়া হয়েছিল। দেশটির উচ্চ আদালত পুরো সম্পত্তি ভাই বোনদের মধ্যে সমানভাগে ভাগ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

আদালতের নির্দেশের বিরুদ্ধে আপিল করেছিলেন অং সান ও। ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর সর্বোচ্চ আদালত তার বিশেষ আপিলের পক্ষে রায় দিয়ে বাড়িটি নিলামে বিক্রি করতে বলেন। 

 


অনুবাদ: তাসবিবুল গনি নিলয়


 

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.