কোনো ন্যাটো সদস্য বকেয়া অর্থ পরিশোধে ব্যর্থ হলে তাদের ওপর 'হামলা' চালাতে রাশিয়াকে উৎসাহিত করব: ট্রাম্প

আন্তর্জাতিক

বিবিসি
11 February, 2024, 04:15 pm
Last modified: 11 February, 2024, 04:16 pm
ট্রাম্প জানান, একবার এক ক্ষমতাশীল দেশের নেতা তাকে প্রশ্ন করেন, ন্যাটোর বকেয়া অর্থ পরিশোধের কারণে মস্কো তাদের ওপর হামলা চালালে যুক্তরাষ্ট্র তাদের সাহায্য করতে এগিয়ে আসবে কিনা। জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘আপনি টাকা দেননি? না, তাহলে আমি আপনাকে রক্ষা করব না। বরং তারা যা করতে চায় তা করতে তাদের আরও উৎসাহিত করব। টাকা দিতে হবে’।

পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর কোনো সদস্য দেশ, ন্যাটোর বকেয়া অর্থ পরিশোধে ব্যর্থ হলে তার ওপর হামলা চালাতে রাশিয়াকে 'উৎসাহিত' করবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সাউথ ক্যারোলাইনায় এক সমাবেশে এমন বক্তব্য দেন সাবেক এ মার্কিন প্রেসিডেন্ট। 

ট্রাম্প তার বক্তব্যে জানান, ন্যাটোর বৈঠকে তিনি একবার এক নেতাকে বলেছিলেন অর্থ প্রদানের ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকা কোনো ন্যাটো দেশকে তিনি রক্ষা করবেন না এবং তাদের ওপর আক্রমণকারীদের 'যা খুশি তা করতে উৎসাহিত' করবেন।

ন্যাটোর অন্তর্ভুক্ত যে কোনো দেশের ওপর আক্রমণ করা হলে ন্যাটো সে দেশকে রক্ষার প্রতিশ্রুতি দেয়। হোয়াইট হাউস ট্রাম্পের এ মন্তব্যকে 'আতঙ্কজনক ও অযৌক্তিক' বলে অভিহিত করেছে।

সমাবেশে ট্রাম্প বলেন, ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর নেতাদের এক বৈঠকে তিনি এমন মন্তব্য করেছিলেন। 

ট্রাম্প জানান, একবার এক ক্ষমতাশীল দেশের নেতা তাকে প্রশ্ন করেন, ন্যাটোর বকেয়া অর্থ পরিশোধের কারণে মস্কো তাদের ওপর হামলা চালালে যুক্তরাষ্ট্র তাদের সাহায্য করতে এগিয়ে আসবে কিনা। 

জবাবে ট্রাম্প বলেন, 'আপনি টাকা দেননি? না, তাহলে আমি আপনাকে রক্ষা করব না। বরং তারা যা করতে চায় তা করতে তাদের আরও উৎসাহিত করব। টাকা দিতে হবে'।

হোয়াইট হাউসের একজন মুখপাত্র ট্রাম্পের মন্তব্যকে 'ভয়ংকর এবং অযৌক্তিক' বলে অভিহিত করে বলেছেন, 'তিনি খুনি শাসকদের দ্বারা আমাদের নিকটতম মিত্রদের আক্রমণকে উৎসাহিত করেছেন।'

তিনি আরও বলেন, এই ঘোষণা আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা, বৈশ্বিক স্থিতিশীলতা এবং দেশে আমাদের অর্থনীতিকে হুমকির মুখে ফেলেছে।

এ বছরের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী হিসেবে আবারও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার দৌড়ে এগিয়ে থাকা ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরেই ন্যাটোর সমালোচনা করে আসছেন। ট্রাম্প ন্যাটোর বাকি ৩০টি দেশের প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করাকে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর অতিরিক্ত আর্থিক বোঝা হিসেবে দেখছেন।

ট্রাম্প ক্ষমতা ছাড়ার পর ২০২২ সালে ইউক্রেনে পুরোদমে আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। এরপর থেকে তিনি ইউক্রেনে পাঠানো মার্কিন অর্থের পরিমাণ নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। 

হোয়াইট হাউসের ডিসেম্বরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২২ সালের ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইউক্রেনকে অন্য যেকোনো দেশের চেয়ে বেশি আর্থিক সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, সংখ্যায় এর পরিমাণ প্রায় ৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। 

যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে অভিবাসন সীমিত করতে কঠোর পদক্ষেপের দাবির কথা উল্লেখ করে কংগ্রেসে রিপাবলিকানরা বছরের শুরু থেকেই সমস্ত নতুন তহবিল আটকে দিয়েছে। 

শনিবারের সমাবেশে ট্রাম্প এই প্রত্যাখ্যানকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেন যে প্রস্তাব দিয়েছেন তা 'বিপর্যয়কর'। 


অনুবাদ: সাকাব নাহিয়ান শ্রাবন

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.