বিশ্বের বৃহত্তম ভ্রমণতরী মায়ামি থেকে যাত্রার জন্য প্রস্তুত

আন্তর্জাতিক

টিবিএস ডেস্ক
28 January, 2024, 10:15 am
Last modified: 02 February, 2024, 01:33 pm
তবে পরিবেশবিদদের অভিযোগ, এটি এলএনজি চালিত হওয়ায় বাতাসে মিথেন নিঃসরণের মাধ্যমে পরিবেশের বহু ক্ষতি করবে। 

বিশ্বের বৃহত্তম ভ্রমণতরী 'আইকন অফ দ্য সিস' এর নির্মাণকাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। খুব শীঘ্রই এটি ফ্লোরিডার মায়ামি থেকে এর প্রথম যাত্রা শুরু করবে। তবে এটি চলাচলের সময় মিথেন নিঃসরণ নিয়ে অনেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। খবর বিবিসির। 

শিপটি ৩৬৫ মিটার লম্বা; এতে রয়েছে মোট ২০ টি ডেক। জাহাজটিতে প্রায় ৭,৬০০ জন যাত্রী ভ্রমণ করতে পারবে। এর মালিকানায় রয়েছে রয়েল ক্যারিবিয়ান গ্রুপ। 

জাহাজটি গ্রীষ্মমন্ডলীয় অঞ্চলে সাত দিনের জন্য সমুদ্রযাত্রায় যাচ্ছে। তবে পরিবেশবিদদের অভিযোগ, এটি এলএনজি চালিত হওয়ায় বাতাসে মিথেন নিঃসরণের মাধ্যমে পরিবেশের বহু ক্ষতি করবে। 

ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অন ক্লিন ট্রান্সপোর্টেশন (আইসিসিটি) এর মেরিন প্রোগ্রামের পরিচালক ব্রায়ান কমার রয়টার্সকে বলেন, "এটা একটি ভুল পদক্ষেপ। আমাদের অনুমান মতে, সামুদ্রিক জ্বালানী হিসাবে এলএনজি ব্যবহার করলে সেটি তেলের তুলনায় ১২০ শতাংশ বেশি গ্রীনহাউস গ্যাস নির্গমন করে।"

ছবি: গেটি ইমেজেস

চলতি সপ্তাহের শুরুতে আইসিসিটি'র একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, এলএনজি জ্বালানিবাহী জাহাজ থেকে মিথেনের নির্গমন বর্তমান বিধিবিধানের চেয়ে বেশি। 

যদিও জ্বালানি তেলের মতো প্রথাগত সামুদ্রিক জ্বালানির তুলনায় এলএনজি বেশ ভালোভাবে দহন হয়। তবে এটির লিকেজ হওয়ার ঝুঁকিও থাকে বেশি।

শক্তিশালী গ্রিনহাউস গ্যাস হিসেবে মিথেন বায়ুমণ্ডলে প্রায় ২০ বছর সময়ব্যাপী কার্বন ডাই অক্সাইডের চেয়ে ৮০ গুণ বেশি তাপ আটকে রাখে। তাই এর ব্যবহার যতো কমানো যাবে সেক্ষেত্রে পরিবেশের জন্য সেটা ততোই ভালো হবে।   

রয়্যাল ক্যারিবিয়ান কোম্পানির মুখপাত্র মিডিয়া আউটলেটগুলিকে উদ্ধৃত করে বলেছেন যে, আধুনিক জাহাজ হিসেবে 'আইকন অফ দ্য সিস' আন্তর্জাতিক মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের নির্দেশনার চেয়ে ২৪ গুণ বেশি শক্তি সাশ্রয়ী। কোম্পানিটি ২০৩৫ সালের মধ্যে নেট-জিরো জাহাজ চালু করার পরিকল্পনা করেছে।

ছবি: গেটি ইমেজেস

এদিকে গত বৃহস্পতিবার আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার লিওনেল মেসি জাহাজটির নামকরণ অনুষ্ঠানে অংশ নেন। তিনি বর্তমানে মার্কিন ক্লাব ইন্টার মায়ামির হয়ে খেলছেন। 

'আইকন অফ দ্য সিস' নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এতে রয়েছে সাতটি সুইমিং পুল, ছয়টি ওয়াটারস্লাইড এবং ৪০ টিরও বেশি রেস্তোরাঁ, বার, লাউঞ্জ।


অনুবাদ: মোঃ রাফিজ খান 

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.