রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীদের রুয়ান্ডায় পাঠানোর পরিকল্পনা কার্যকর হবে না এখুনি

আন্তর্জাতিক

আল জাজিরা
23 January, 2024, 04:30 pm
Last modified: 23 January, 2024, 05:51 pm
প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক হাউস অফ লর্ডসকে এই পরিকল্পনাটি পাস করার আহ্বান জানিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন যে এতে জনগণের ইচ্ছা পূরণ হবে

যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের উচ্চ কক্ষ (হাউজ অব লর্ডস) প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীদের রুয়ান্ডায় ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনা বিলম্বিত করার পক্ষে ভোট দিয়েছে। 

হাউস অফ লর্ডসে আশ্রয়প্রার্থীদের নির্বাসন সম্পর্কিত লন্ডন এবং কিগালির মধ্যে একটি চুক্তি অনুমোদনে বিলম্ব করার পক্ষে ২১৪টি ভোট পেয়েছে যেখানে বিপক্ষে ভোট পড়েছে ১৭১টি। 

অবশ্য ঋষি সুনাক হাউস অফ লর্ডসকে এই পরিকল্পনাটি পাস করার আহ্বান জানিয়ে বলেছিলেন, এতে জনগণের ইচ্ছে পূরণ হবে। 

হাউস অব লর্ডস 'সেফটি অব রুয়ান্ডা' (অ্যাসাইলাম অ্যান্ড ইমিগ্রেশন) বিল স্থায়ীভাবে আটকে দিতে না পারলেও-- আইনটি এক বছর পর্যন্ত স্থগিত রাখার ক্ষমতা রাখে। 

কয়েকদিনের বিতর্কের পর গত বুধবারে হাউস অব কমন্সে রুয়ান্ডা বিলটি পাস হয়। যার কারণে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির মধ্যে গভীর বিভাজন সৃষ্টি হয়েছে।

সুনাক বিতর্কিত অভিবাসন পরিকল্পনাকে এ বছরের আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে তাঁর ক্ষমতায় ফেরার লড়াইয়ের মূল অস্ত্র হিসেবে বেছে নিয়েছেন। নির্বাচনে তাঁর দল লেবার পার্টি দৃঢ়ভাবে জয়ী হওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে।

রুয়ান্ডা নীতির আইনি চ্যালেঞ্জ সীমিত করাই এই বিলের লক্ষ্য। এটি সরকারকে নির্দিষ্ট মানবাধিকার আইনের ধারা স্থগিত করার ক্ষমতা দেয় এবং রুয়ান্ডাকে আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য একটি নিরাপদ স্থান হিসাবে ঘোষণা করার জন্য হাউস অফ কমন্সের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট আহ্বান করে। 

ইংলিশ চ্যানেলে আশ্রয়প্রার্থীদের বহনকারী 'নৌকা থামানোর' প্রতিশ্রুতি পূরণে শিগগিরই নির্বাসন প্রক্রিয়া শুরু করতে চান সুনাক। প্রাথমিকভাবে ২০২২ সালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের প্রস্তাবিত রুয়ান্ডা পরিকল্পনায় 'অনিয়মিত উপায়ে' আগতদের যুক্তরাজ্যে আশ্রয়ের আবেদন করা থেকে বিরত রাখতে বলা হয়েছে। 

ইউরোপিয়ান কোর্ট অব হিউম্যান রাইটসের (ইসিএইচআর) শেষ মুহূর্তের হস্তক্ষেপের পর ঐ বছরের জুনে যুক্তরাজ্য থেকে রুয়ান্ডাগামী প্রথম ফ্লাইট বন্ধ করে দেওয়া হয়।

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.