ইসরায়েল-হামাস সংঘাত: চারদিনের যুদ্ধবিরতি শুরু
টানা দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের মধ্যে অবশেষে চার দিনের যুদ্ধবিরতি শুরু হলো। আজ শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ৭টা (বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টা) থেকে এ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আজ স্থানীয় সময় বিকাল ৪টায় গাজায় হামাসের কাছে জিম্মি ১৩ বেসামরিক ব্যক্তিকে প্রথমে মুক্তি দেওয়া হবে। একইসঙ্গে ইসরায়েলি কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মধ্যে কয়েকজনকে মুক্তি দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত বুধবার কাতারের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইসরায়েল, হামাস ও যুক্তরাষ্ট্র।
মিসর জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির এই সময়ে প্রতিদিন এক লাখ ৩০ হাজার লিটার ডিজেল ও চার ট্রাক গ্যাস এবং ২০০টি ট্রাক ত্রাণসামগ্রী নিয়ে গাজায় প্রবেশ করবে।
এদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, যুদ্ধবিরতি কার্যকরের আগে গাজায় ইন্দোনেশিয়ান হসপিটালে ব্যাপক বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।
ফিলিস্তিনি সংবাদ মাধ্যম ওয়াফার তথ্যমতে, আগের রাতে গাজাজুড়ে ব্যাপক বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। হামলা হয়েছে জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএর একটি স্কুলেও। এতে অন্তত ২৭ জন নিহত হয়েছে।
নুসেইরাত-মুঘরাকা সড়কে দুটি গাড়িকে লক্ষ্য করে বোমা হামলায় নিহত হয়েছে আরো ১১ জন।
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার যুদ্ধবিরতি শুরুর আগে গত বুধবার দুপুর থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় আকাশ, স্থল ও সমুদ্রপথে ব্যাপক বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
একই সময়ে অধিকৃত পশ্চিম তীরের নাবলুসে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে ১৪ বছর বয়সী এক ফিলিস্তিনি কিশোর ও রামাল্লায় এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে।
গাজায় হামলা শুরুর পর থেকে পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে ৫৪টি শিশুসহ ২১১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
একইসময়ে ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে চারজন। গাজায় সংঘাত শুরুর পর থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে ৭৫ জন।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায় হামাস। এতে এক হাজার ২০০ জন নিহত হয়। হামাসের হাতে জিম্মি হয় ২৪০ জনেরও বেশি মানুষ। জবাবে হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনীও। এ হামলায় গাজায় এ পর্যন্ত ১৪ হাজার ৮০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।