ইসরায়েলের লাগাতার হামলায় গাজার দুটি বৃহত্তম হাসপাতাল বন্ধ

ইসরায়েলের লাগাতার হামলায় মধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে গাজার দুটি বৃহত্তম হাসপাতাল আল-শিফা এবং আল-কুদস। নতুন করে কোনো রোগী নিচ্ছে না তারা।
আল-শিফা হাসপাতালের নিকটে থাকা যে কাউকে লক্ষ্য করে গুলি চালাচ্ছে ইসরায়েলি স্নাইপাররা। এতে হাসপাতালের ভেতর আটকা পড়েছেন হাজারও মানুষ।
একদিকে পুরোপুরিভাবে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের আশঙ্কা, অন্যদিকে খাদ্য ও পানির ঘাটতিতে থাকা গাজার প্রধান হাসপাতাল আল-শিফার পরিস্থিতি 'ভয়াবহ ও বিপজ্জনক' বলে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)।
হু'র ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রোস আধানম ঘেব্রেয়েসাস বলেছেন, হাসপাতালের আশেপাশের এলাকায় 'নিরবচ্ছিন্ন বন্দুকযুদ্ধ এবং বোমা হামলা' পরিস্থিতি আরও শোচনীয় করে তুলেছে।
তিনি আরও বলেন, আল-শিফা এখন আর 'হাসপাতাল হিসেবে কাজ করছে না'।
আল-শিফার সার্জারির প্রধান ডা. মারওয়ান আবু সাদা বিবিসিকে জানিয়েছেন, যথেষ্ট পরিমাণে বিদ্যুৎ না থাকায় হাসপাতালে আরও একটি নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে হাসপাতালে তিনটি নবজাতকের মৃত্যু হলো।
এর আগে, গতকাল (১২ নভেম্বর) ম্যাক্সার টেকনোলজিস প্রকাশিত স্যাটেলাইট ইমেজে গাজা উপত্যকার চারটি হাসপাতালের চারপাশে ধ্বংসস্তূপের চিত্র ধরা পড়ে।

কমপক্ষে ১০০ মরদেহ দাফন করতে পারেনি আল-শিফার কর্মীরা: গাজার স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ওয়াফা নিউজ এজেন্সিকে গাজার স্বাস্থ্যমন্ত্রী মাই আল-কাইলা জানিয়েছেন, কমপক্ষে ১০০ জনের মরদেহ দাফন করতে হিমশিম খাচ্ছে আল-শিফা হাসপাতালের কর্মীরা।
এদিকে আল-শিফা হাসপাতালের তিনজন নার্স নিহত হওয়ার খবর প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ।
মূল জেনারেটরের জ্বালানি শেষ, বন্ধ কামাল আদওয়ান হাসপাতাল
উত্তর গাজার কামাল আদওয়ান হাসপাতালের প্রধান আহমেদ আল-কাহলুত আল জাজিরাকে জানিয়েছেন, হাসপাতালের মূল জেনারেটরের জ্বালানি শেষ হয়ে গেছে।
রোগীদের পাশাপাশি হাসপাতালটিতে ৫ হাজারেরও এরও বেশি বাস্তুচ্যুত মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।
আহমেদ আল-কাহলুত বলেন, ইসরায়েলের বোমা হামলার আশঙ্কা থাকা সত্ত্বেও নিরাপত্তার অভাবে হাসপাতালে আশ্রয় নেওয়া মানুষদের কেউই দক্ষিণের দিকে যাত্রা করতে পারছে না।