ব্লিঙ্কেন আল জাজিরার যুদ্ধের খবর প্রচারে লাগাম টানতে বলেছেন কাতারকে
গাজার বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যুদ্ধ নিয়ে কাতার-ভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরার প্রচারিত সংবাদের ভাষা সংযত রাখতে দেশটির প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
গত সোমবার তিনি একদল ইহুদি-আমেরিকান সম্প্রদায়ের নেতাদের সাথে বৈঠকে জানান, দুই সপ্তাহের কম সময় আগে তিনি কাতারের প্রধানমন্ত্রীকে একথা বলেছিলেন। বৈঠকে যোগদানকারী ব্যক্তিদের সূত্রে এবিষয়ে জানা গেছে।
আল জাজিরা ফিলিস্তিনিদের সংগ্রাম নিয়ে তথ্যবহুল সংবাদ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে প্রকৃত চিত্র তুলে ধরছে, যা পশ্চিমা গণমাধ্যম বলছে না, আল জাজিরার কল্যাণে সেটা জানতে পারছে বিশ্ববাসী। এরমধ্যেই তাদের ওপর চাপ প্রয়োগের মার্কিন প্রচেষ্টা জানা গেল।
ব্লিঙ্কেন কাতারের প্রধানমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ করেন, আল জাজিরার সংবাদভাষ্য ইসরায়েল-বিরোধী। এজন্য গণমাধ্যমটিকে কিছুটা সংযত করার উদ্যোগ নেওয়া দরকার।
গত ১৩ নভেম্বর তার মধ্যপ্রাচ্য সফরের অংশ হিসেবে কাতার যান ব্লিঙ্কেন। এসময় কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আল-থানির সাথে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, হামাসের সাথে আর আগের মতো সম্পর্ক রাখা যাবে না। তিনি সরাসরি এই বার্তা কাতার ও তুরস্কের মতো দেশগুলোকে দেন, বলে মনে করা হচ্ছে। এ দুটি দেশ হামাস-সহ ফিলিস্তিনিদের মুক্তিকামী সংগঠনগুলোকে দৃঢ় সমর্থন করে আসছে।
ইহুদি নেতাদের ব্লিঙ্কেন জানান, দোহা সফরকালে কাতার সরকারকে হামাসের বিষয়ে অবস্থান বদলাতে চাপ দেন তিনি। এর অংশ হিসেবেই আল জাজিরার সংবাদ প্রচারকে নিয়ন্ত্রিত করতে বলেন।
এদিকে গণমাধ্যম এক্সিওজ তাদের বিশ্লেষণে জানিয়েছে, বাইডেন প্রশাসন বিশ্বব্যাপী মুক্ত গণমাধ্যমের স্বপক্ষে বিবৃতি দেয়। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের অধিকারকে গুরুত্ব দেয়। কিন্তু, তারাই এখন আল জাজিরার সংবাদ প্রচার নিয়ে উৎকণ্ঠিত। ওয়াশিংটন মনে করছে, আল জাজিরার সংবাদ এই অঞ্চলে সংঘাতকে উস্কে দেবে।