ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ করায় ইসরায়েলের নিন্দা এইচআরডব্লিউ-র
ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত করায় ইসরায়েলের তীব্র নিন্দা করেছে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআডব্লিউ)।
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় জ্বালানির চালান ঢুকতে না দিয়ে এবং পানি সরবরাহ পুনঃস্থাপন করতে না দিয়ে 'ইচ্ছাকৃতভাবে গাজার বেসামরিক নাগরিকদের ভোগান্তির মাত্রা তীব্র' করায় ইসরায়েলের সমালোচনা করে সংগঠনটি।
এইচআরডব্লিউর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, 'ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা ইসরায়েলি নাগরিকদের বিরুদ্ধে অবর্ণনীয় যুদ্ধাপরাধ করার মানে এই নয় যে বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত করা ন্যায্যতা পেয়ে যাবে।'
ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, 'হামাসের আক্রমণের জন্য গাজার সব বেসামরিক নাগরিককে' শাস্তি দিচ্ছে ইসরায়েল।
আন্তর্জাতিক মহল থেকে বিপুল চাপ এবং কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পর ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ 'সম্পূর্ণ অবরোধ' শিথিল করে গাজায় কয়েক ডজন ত্রাণবাহী ট্রাক ঢুকতে দিয়েছে। তবে হাসপাতালের জেনারেটর চালানোর জন্য কোনো জ্বালানি ঢোকেনি ত্রাণবহরের সঙ্গে।
ইসরায়েলের অবরোধ ও নির্বিচার বোমাবর্ষণে চরম মানবেতর জীবনযাপন করছে ফিলিস্তিনিরা। ইসরায়েলের হামলায় সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় গাজায় ৭০৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে সেখানকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। এখন পর্যন্ত ইসরায়েলের হামলায় ৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
আর ইসরায়েলের হামলায় হত্যার শিকার হওয়া মোট মানুষের মধ্যে ২ হাজার ৫৫ জন বা ৪০ শতাংশই শিশু।
ইসরায়েলের নির্বিচার আক্রমণে গাজার স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে বলে জানিয়েছেন অঞ্চলটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদরা।
আশরাফ জানান, ইসরায়েলিদের বিমান হামলায় এ পর্যন্ত ৬৫ জন ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মী নিহত হয়েছেন। ধ্বংস হয়েছে ২৫টি অ্যাম্বুলেন্স। ইতিমধ্যে ১২টি হাসপাতাল ও ৩২টি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র বন্ধ করে দিতে হয়েছে।