গাজায় পানির জন্য হাহাকার

চলমান ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধে তেল আবিবের নিষেধাজ্ঞার মাঝে গাজায় পানির তীব্র সংকট ও হাহাকার দেখা দিয়েছে। ত্রাণ হিসেবে যে ২০ টি ট্রাক রাফাহ সীমান্ত দিয়ে গত শনিবার প্রবেশ করেছিল, তার মধ্যে মাত্র ২ টিতে ছিল পানি। খবর বিবিসির।
ঐ ট্রাকগুলোতে ইউনিসেফ থেকে সরবারাহকৃত মোট ৪৪ হাজার ইউনিট পানি ছিল। পানির এই পরিমাণ চাহিদার তুলনায় নগণ্য।
সাধারণ হিসেবে ত্রাণের এই পানি প্রায় ২২ হাজার মানুষ মাত্র একদিনের জন্য ব্যবহার করতে পারবে। যা আবার গাজার মোট জনসংখ্যার মাত্র ১ ভাগ। তবে আরও অল্প কয়েকটি বোতলজাত পানি গতকাল (সোমবার) অঞ্চলটিতে প্রবেশ করেছে।
জাতিসংঘের রিপোর্ট অনুযায়ী, গাজায় পানির পাশাপাশি জ্বালানি তেলেরও তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে অঞ্চলটিতে ডিস্যালিনেশন প্ল্যান্ট এবং পানির পাম্প চালানো সম্ভব হচ্ছে না। হাসপাতালগুলোতে বিদ্যুৎ প্রাপ্তির জন্যও জেনারেটরের জরুরি প্রয়োজন মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

এদিকে গতকাল (সোমবার) আরও দুই ইসরায়েলি নারী জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। বিষয়টি জানিয়ে হামাসের সশস্ত্র শাখার মুখপাত্র আবু ওবাইদা এক টেলিগ্রাম বার্তায় বলেন, "আমরা মানবিক ও স্বাস্থ্যগত কারণে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।"
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ও এক বিবৃতিতে হামাসের কাছ থেকে দুই নারী জিম্মিকে ফেরত পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
অন্যদিকে স্টকল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার হামজা ইউসুফ জানিয়েছেন, ইসরায়েলের লাগাতার বোমাবর্ষণের মধ্যে গাজায় তার পরিবারের পানির মজুত ফুরিয়ে এসেছে। গাজায় আটকা পড়া তার শ্বশুর-শাশুড়ি ও পরিবারের সদস্যরা 'নির্যাতনের' মধ্যে বসবাস করছেন বলেও জানান তিনি।
বন্যাক্রান্ত ব্রেকিন শহর সফরকালে হামজা ইউসুফ সাংবাদিকদের বলেন, তার শাশুড়ি তাকে জানিয়েছেন, তারা ১০০ জন মানুষ মিলে একটি বাড়িতে থাকছেন। তাদের সঙ্গে দুই মাস বয়সি একটি শিশুও আছে। ১০০ জন মানুষের পান করার জন্য সুপেয় পানির বোতল আছে মাত্র ছয়টি।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক আক্রমণ করে হামাস। এতে প্রায় ১ হাজার ৪০০ ইসরায়েলি নিহত হয়েছে।
জবাবে গাজায় পাল্টা হামলা চালায় ইসরায়েল। ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলায় এখন পর্যন্ত শিশুসহ প্রায় ৫ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।