জ্বালানি সংকটে গাজায় ইউকিউবেটরে রাখা ১০০'র বেশি শিশুর জীবন বিপন্ন: জাতিসংঘ

আন্তর্জাতিক

আল জাজিরা
22 October, 2023, 10:20 pm
Last modified: 23 October, 2023, 12:45 pm
জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিলের মতে, গাজায় প্রতিদিন ১৬০ জন নারী সন্তান জন্মদান করেন। ২৩ লাখ জনসংখ্যার মধ্যে বর্তমানে ৫০ হাজার গর্ভবতী নারী রয়েছেন বলে হিসাব করেছে সংস্থাটি।

ইসরায়েলে হামাসের ৭ অক্টোবরের আক্রমণের পর গাজা উপত্যকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয় ইসরায়েল। জ্বালানি সংকটে বন্ধ আছে গাজার একমাত্র বিদ্যুৎকেন্দ্র। এরমধ্যে জ্বালানি তেল দিয়ে জেনারেটর চালিয়ে হাসপাতালে জরুরি সেবা দেওয়াই ছিল একমাত্র উপায়। কিন্তু, ইসরায়েলের নতুন করে দেওয়া অবরোধে পাওয়া যাচ্ছে না সে জ্বালানি, ফলে গাজার হাসপাতালগুলোয় ইনকিউবেটরে রাখা অন্তত ১২০ নবজাতক শিশুর জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।

জাতিসংঘের সংস্থা- ইউনিসেফ এর মুখপাত্র জনাথন ক্রিকস বলেন, 'বর্তমানে ১২০ জন নবজাতক ইউকিউবেটরে রয়েছে, এরমধ্যে ৭০ জনকে রাখা হয়েছে মেকানিক্যাল ভেন্টিলেশনে– আর এটা নিয়েই আমরা সবচেয়ে বেশি উদ্বিগ্ন।

জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিলের মতে, গাজায় প্রতিদিন ১৬০ জন নারী সন্তান জন্মদান করেন। সংস্থাটির অনুমান, ২৩ লাখ জনগোষ্ঠীর মধ্যে বর্তমানে ৫০ হাজার গর্ভবতী নারী রয়েছেন।

গতকাল শনিবার রাফাহ সীমান্তপথ দিয়ে মানবিক ত্রাণ বহনকারী ২০টি ট্রাক মিশর থেকে গাজায় প্রবেশ করে। কিন্তু, ইসরায়েল জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহে বাধা দিচ্ছে, যা হাসপাতাল চালু রাখতে ও অন্যান্য জরুরি সেবা প্রদানে একান্ত অপরিহার্য।  

গত ৭ অক্টোবর থেকেই হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে বোমা ও গোলাবর্ষণে হতাহত করা হয়েছে। আহতদের  চিকিৎসায় তখন থেকেই দরকারি ওষুধ, জ্বালানি ও এমনকি সুপেয় পানির অভাবে রয়েছে হাসপাতালগুলো।

এরমধ্যে গাজা উপত্যকাজুড়ে হাসপাতালের বিশেষায়িত ওয়ার্ডগুলোয় বিদ্যুতের অভাব অপরিণত অবস্থায় জন্মানো শিশুদের চিকিৎসা প্রদান ব্যাহত করছে। অথচ এ ধরনের শিশুদের মাতৃগর্ভে শ্বাসযন্ত্র পূর্ণ বিকশিত না হওয়ায়, তাদেরকে এসব ওয়ার্ডে শ্বাসপ্রশ্বাস নিতে যান্ত্রিক সহায়তা এবং অন্যান্য চিকিৎসা দেওয়া হয়।

 

 

 

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.