আধুনিক যুগে প্রথম এ ধরনের নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েল

জ্বালানি তেল যারা সংগ্রহ করতে পেরেছে, পিকআপ ট্রাকে মালামাল চাপিয়ে উপত্যকার উত্তর অংশ ছাড়তে শুরু করেছেন গাজা সিটির সেসব বাসিন্দারা। খবর বিবিসির
গাজায় অবস্থানরত বিবিসির সাংবাদিক জেরেমি বোয়েন বলেন, আমার জানামতে, আধুনিক যুগে ইসরায়েল গাজাবাসীকে প্রথম এ ধরনের নির্দেশ দিয়েছে। আগে গাজায় নির্দিষ্ট কোনো এলাকায় সীমিত পরিসরে ইসরায়েলি সেনারা ঢুকেছে। যেদিক দিয়ে তারা আসবে, তার এক বা দুই মাইলের মধ্যে সব বাসিন্দাদের সরে যেতে তখন হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
২০১৪ সালের ইসরায়েলি আগ্রাসনের কথাই ধরা যাক। এসময় গাজা সিটিতে জাতিসংঘ পরিচালিত স্কুলগুলোতে মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল।
এবারের পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ। খাদ্যের চরম সংকট, জ্বালানি নেই, পানি সরবরাহ বিচ্ছিন্ন করেছে ইসরায়েল। এই অবস্থায়, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১০ লাখের বেশি মানুষকে দক্ষিণে সরে যেতে বলেছে। জ্বালানি না থাকায়, অধিকাংশ মানুষকে পায়ে হেঁটে যেতে হচ্ছে। কিন্তু, আহত, শিশু ও বয়স্কদের পক্ষে সেটা করা খুবই কঠিন। হয়তো প্রাণান্তকরও।
বোয়েন বলেন, এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে রেখে কল্পনা করুন– আপনার কাছে গাড়ি আছে, কিন্তু জ্বালানি নেই। এদিকে আপনার সাথে পরিবার আছে, অন্তত আগামী কয়েক সপ্তাহ টিকেও থাকতে হবে সবাইকে। অর্থাৎ, জ্বালানির অভাবে যথেষ্ট খাদ্য ও পানীয় সাথে নিতে পারছে না মানুষ।
'তাই আমি মনে করি, জাতিসংঘ ঠিক বলেছে যে, (গাজাবাসীর পক্ষে) একাজ করা অত্যন্ত কঠিন হবে'- যোগ করেন তিনি।