হামাস হামলার জন্য কেন এই সময় বেছে নিল? কী অপেক্ষা করছে সামনে?
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের অভ্যন্তরে বিশাল এক সামরিক অভিযান শুরু করে হামাস। প্রথমেই হাজার হাজার রকেট নিক্ষেপ করা হয়, তারপর জল, স্থল ও আকাশপথে দখলদার রাষ্ট্রের সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে ঢুকে পড়ে হামাসের যোদ্ধারা।
হামাস যোদ্ধারা বিভিন্ন সামরিক স্থাপনায় হামলা করে এবং কিছু সময়ের জন্য ইসরায়েলের কয়েকটি বসতির নিয়ন্ত্রণও নেয়। এই আক্রমণে এপর্যন্ত ১২শ'র বেশি ইসরায়েলি নিহত হওয়ার তথ্য জানিয়েছে তেল আবিব। সেনা মারা গেছে ১২০ জন। কয়েক ডজন ইসরায়েলিকে (অন্তত ১০০) জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
হামাস নেতৃবৃন্দের বিভিন্ন বক্তব্য থেকে অনুমান করা হচ্ছে, এই অভিযানের পরিকল্পনা অন্তত কয়েক মাস আগে থেকে করা হয়েছে, অথবা দুই বছর আগে থেকেও করা হতে পারে।
অভিযানের পরিধি ও ব্যাপকতা ছিল নজিরবিহীন, চিরকাল ফিলিস্তিনিদের ওপর নির্বিবাদে হামলা চালিয়ে আসা ইসরায়েল এতে হতভম্ব হয়ে পড়ে। অত্যাধুনিক সামরিক শক্তির দম্ভে আঘাত দিয়েছে এই হামলা। প্রতিনিয়ত ফিলিস্তিনিরা যে নিরাপত্তাহীনতা, হত্যা, নির্যাতন ও উৎখাতের সম্মুখীন হয়, ইসরায়েলিরা কিছু সময়ের জন্য তার মুখোমুখি হয়ে ক্ষোভে ফুঁসছে। হামাসের এই হামলা ছিল আঞ্চলিক রাজনীতির পরিবর্তিত গতিপথ এবং ক্রমবর্ধমান ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে চরম প্রতিক্রিয়া।
আক্রমণের পেছনে হামাসের স্বল্পমেয়াদি লক্ষ্যের মধ্যে ছিল– ইসরায়েলি কট্টরপন্থীদের দ্বারা আল-আকসা মসজিদের মর্যাদা লঙ্ঘনকে প্রতিহত করা, এবং জিম্মি গ্রহণের মাধ্যমে পরবর্তীতে দর কষাকষি করে ইসরায়েলি কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মুক্ত করা। আপাতদৃষ্টিতে, তাদের দীর্ঘমেয়াদি কোনো লক্ষ্য নেই বলেই মনে হলেও, আসলে তা কিন্তু নয়।
ইসরায়েল স্বভাবসিদ্ধভাবেই এ হামলার কঠিন প্রতিশোধ নিচ্ছে। সাধারণ গাজাবাসীকে তার চরম মূল্য চুকাতে হচ্ছে। এরইমধ্যে ইসরায়েলের বোমাবর্ষণে অন্তত ৯৫০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। হতাহত অজস্র। কিন্তু, আজ হোক বা কাল– এই সংঘাতের অন্ত হতে হবে তৃতীয় কোনো পক্ষের মধ্যস্ততার মাধ্যমে।
হামাস এখনই কেন হামলা করলো?
বেশকিছু কারণে হামাস এ অভিযান শুরুর সিদ্ধান্ত নেয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রথমত, বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বে বর্তমানে ইসরায়েলের ইতিহাসে সবচেয়ে চরমপন্থী দলগুলো একাট্টা হয়ে সরকারে আছে। এই অতি ডানপন্থী সরকার অবাধে অবৈধ বসতিস্থাপনকারীদের অধিকৃত পশ্চিম তীর ও জেরুজালেমে ফিলিস্তিনিদের ওপর সহিংসতা, নির্যাতন চালিয়ে যেতে উৎসাহিত করছে। এতে দিনে দিনে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ নিস্ফল বুঝতে পেরে হতাশ হয়ে পড়ছে ফিলিস্তিনিরা। তাদের মধ্যে থেকেও পাল্টা-প্রতিশোধের দাবি দিনকে দিন জোরালো হচ্ছিল।
এই অবস্থায়, পশ্চিম তীরের সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো, যারা ফিলিস্তিনের মুক্তি সংগঠন (পিএলও)-র নেতৃত্বে আর আস্থা রাখতে পারছে না, তারা সুযোগবুঝে ইসরায়েলি সেনা বা সাধারণ নাগরিকদের ওপর হামলা করেছে। পাল্টা-ব্যবস্থা হিসেবে পশ্চিম তীরে সেনা উপস্থিতি আরও বাড়াতে থাকে ইসরায়েল। এভাবে দক্ষিণে গাজার দিক থেকে অনেক ইসরায়েলি সেনাকে উত্তরের বসতিগুলো প্রহরার দায়িত্বে নিয়োজিত করা হয়। এসকল ঘটনায় হামলার যুক্তি ও সুযোগ দুইই পেয়ে যায় হামাস।
দ্বিতীয়ত, আরব দেশগুলোর সাথে ইসরায়েলের বিগত কয়েক বছরের সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের প্রক্রিয়ার কারণে কোনো একটা পদক্ষেপ নেওয়ার চাপ অনুভব করেন হামাস নেতারা। এই প্রক্রিয়ার কারণে, আরব নেতাদের কাছে ফিলিস্তিন ইস্যু দিনকে দিন অগুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়ছে। এবিষয়ে ইসরায়েলকে চাপ দেওয়ার কোনো তাগিদও নেই আরব নেতাদের।
ফিলিস্তিনের মুক্তি সংগ্রামে মরণ আঘাত হবে সৌদি-ইসরায়েল সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ। ওয়াশিংটনের মধ্যস্ততায় সৌদি আরব ইসরায়েলের সাথে আনুষ্ঠানিকভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করলে– এরমধ্যেই ক্ষীণ হয়ে পড়া দ্বিরাষ্ট্র সমাধান চিরতরে তিরোহিত হবে। এমনটাই সমীকরণে ছিল হামাসের।
তৃতীয়ত, ইরানের সাথে সম্পর্কোন্নয়নের সুবাদে আরও সাহসী হয়ে ওঠে হামাস। কারণ, ২০১১ সালের আরব বসন্তের পর থেকেই হামাসকে তাদের রাজনৈতিক অবস্থান মূল্যায়ন করতে হয়েছে। আরব বসন্তের পর থেকে সুন্নি আরব দেশগুলোর শাসকরা যখন পশ্চিমা ও ইসরায়েলি স্বার্থের অনুকূল হয়ে উঠতে থাকে, তখন ইরান ও তার মিত্র সিরিয়া সমর্থনের হাত বাড়িয়ে দেয় বিশেষত হামাসের দিকে।
হিজবুল্লাহ'র মহাসচিব হাসান নসরুল্লাহ এর আগে বলেছিলেন, হামাস ও দামাস্কাসের (আসাদ সরকার) মধ্যে সম্পর্কোন্নয়নে তিনি ব্যক্তিগতভাবে জড়িত ছিলেন। ২০২২ সালের অক্টোবরে হামাসের একটি প্রতিনিধি দল দামাস্কাস সফরও করে। তার আগে ওই বছরের এপ্রিলে লেবাননের রাজধানী বৈরুত ও জুনে তেহরানে যান হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়া।
এছাড়া, গত মাসে ফিলিস্তিনের আরেক মুক্তিকামী সংগঠন ইসলামিক জিহাদের মহাসচিব জিয়াদ আল-নাখলাহ এবং হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সালেহ আল-আরৌরির সাথে বৈঠক করেছেন নসরুল্লাহ।
হামাসকে কেন্দ্র করে ইসরায়েল-বিরোধী জোট গঠনের সম্ভাবনা কতটুকু?
হামাসের এই অভিযানের সাথে যেকোন ধরনের সরাসরি সম্পৃক্ততা অস্বীকার করেছে ইরান, তবে এই পদক্ষেপকে মৌখিক সমর্থন জানিয়েছে। ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ডের জেনারেল ইয়াহিয়া রহিম সাফাভি বলেন, 'আমরা এই অপারেশনকে সমর্থন জানাই, আমরা নিশ্চিত প্রতিরোধের অন্যান্য ফ্রন্টগুলোও এটি সমর্থন করছে।'
হামাসের বাইরে অন্যান্য ফ্রন্ট বলতে এখানে ইসরায়েল-বিরোধী হিজবুল্লাহ ও সিরিয়া সরকারকে বুঝিয়েছেন তিনি। এই তিন শক্তিকেই প্রতিরোধের অক্ষশক্তি বলে মনে করে তেহরান।
তবে তার মানে এই নয়, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়তে তারা একজোট হবে। যেমন হিজবুল্লাহ এখনও এ লড়াইয়ে যোগ দেয়নি। তাছাড়া, লেবাবনের বর্তমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা ইসরায়েলের সাথে সামরিক সংঘাতের অনুকূল নয়। এসব বিষয় হিজবুল্লাহর সামনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তবে গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েল যেন চরমতম কোনো প্রতিশোধ না নেয়, সেই বিষয়টিই ঠেকানোর চেষ্টা করছে হিজবুল্লাহ। একারণেই, লেবাবন সীমান্তে সাম্প্রতিক সময়ে তৎপরতা বাড়িয়েছে তারা। হিজবুল্লাহ সীমান্ত এলাকায় ইসরায়েলের সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে গোলাবর্ষণ করছে। তবে এই প্রচেষ্টার সামরিক তাৎপর্য সামান্যই, বরং মানসিক চাপ তৈরির লক্ষ্যটাই আসল।
ইসরায়েলের গোলাবর্ষণে নিজদের তিন সদস্য নিহত হওয়ার পর হিজবুল্লাহ পাল্টা গোলাবর্ষণ করেছে। তবে পাল্টা-প্রতিক্রিয়ায় অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগের বিষয়ে সতর্ক রয়েছে।
তবে লেবানন সীমান্তে হামাস ও হিজবুল্লাহ– উভয়পক্ষের মধ্যেই টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে, এবং উভয়েই সতর্ক রয়েছে। ফলে যেকোনো প্রকার ভুল পদক্ষেপ থেকেই পরিস্থিতি বিস্ফোরক রূপ নেওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
হামাসের চূড়ান্ত লক্ষ্য কী?
হামাসের অতর্কিত ও মারাত্নক হামলার পর তিন দিন অতিবাহিত হলেও, তাদের গোপন উদ্দেশ্য বা কীভাবে তারা এই সংঘাত থেকে দীর্ঘমেয়াদে সুবিধা লাভ করবে তা স্পষ্ট হয়নি। সামরিক ও বেসামরিক ইসরায়েলিদের জিম্মি করার মাধ্যমে তেল আবিবের আগ্রাসী পাল্টা-আক্রমণ ঠেকানোকেই হামাস অগ্রাধিকার দিচ্ছে বলে শুরুতে মনে করা হয়েছিল।
কিন্তু, মনে হচ্ছে, এভাবে ইসরায়েলের পাল্টা-প্রতিহিংসাকে ঠেকিয়ে রাখা যায়নি।
হামাসের মুখপাত্র আবু উবায়দা বলেছেন, ইসরায়েলি বোমা হামলায় এরমধ্যেই গাজায় জিম্মি করে রাখা চার ইসরায়েলি নাগরিক নিহত হয়েছে। কোন ধরনের পূর্ব সতর্কতা না দিয়ে গাজার বেসামরিক জনগনের ঘরবাড়িতে ইসরায়েল হামলা করলে, হামাস জিম্মিদের হত্যা করা শুরু করবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি। হামাস এই ঘোষণাকে বাস্তবে রূপ দিলে, সেটা তাদের জন্য পাল্টা-বুমেরাং হবে।
ইসরায়েলে অভিযান শুরুর পর দেওয়া বিবৃতিতে হামাসের নেতারা বলেছিলেন, তাদের লক্ষ্য, ইসরায়েলিদের দ্বারা আল আকসা-সহ পবিত্র স্থানগুলোর মর্যাদা লঙ্ঘন বন্ধ করা, ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি এবং স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের প্রক্রিয়াকে পুনর্জীবিত করা।
এরমধ্যে কোনো এক পর্যায়ে ইসরায়েলের সাথে হয়তো হামাস বন্দি বিনিময় করতে পারবে, কিন্তু অতীতে দেখা গেছে, কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া অনেক ফিলিস্তিনিকেই অনতিবিলম্বে আটক করে ইসরায়েল।
তাছাড়া, পশ্চিম তীরের শাসক পিএলও হামাসকে সমর্থন করে না। তাই হামাসের রাষ্ট্র-গঠনের এই লক্ষ্য কীভাবে এগোবে তার কোনো রোডম্যাপ নেই, এবং পশ্চিম তীর ছাড়া আলাদাভাবে কোনো রাষ্ট্র গঠনের চেষ্টা ফলপ্রসূ হবে না।
চূড়ান্ত পরিণতি কী?
অতর্কিত এই আক্রমণের ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে সময় লেগেছে ইসরায়েলিদের। তবে প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই গাজায় বোমাবর্ষণের তীব্রতা বাড়িয়েছে। ইতোমধ্যেই উপকূলীয় এ অঞ্চলটির ওপর সম্পূর্ণ অবরোধ জারি করেছে। গাজার বিদ্যুৎ, পানি সরবরাহ বন্ধ করেছে। বন্ধ করেছে আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থাগুলোর মানবিক ত্রাণ।
হামাসের আক্রমণের আগে বিচার বিভাগের সংস্কার নিয়ে অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে চ্যালেঞ্জের মধ্যে ছিলেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। কিন্তু, এখন তার সরকারের পেছনে সবাই এসে একাট্টা হচ্ছে। তার অবস্থান আরও দৃঢ় হয়েছে। তবে আগামী দিনগুলোতে ইসরায়েলি বাহিনীর সাফল্যের ওপর নির্ভর করবে তার সরকারের এই নতুন করে পাওয়া স্থিতিশীলতা।
গাজায় সেনাবাহিনীর মাধ্যমে স্থল আগ্রাসনের মাধ্যমে সামরিক ও রাজনৈতিক মূল্যদানের ঝুঁকি নেওয়া হবে কিনা– ইসরায়েলকে এখন সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
অভিযান যখনই পরিচালনা করা হোক- এক সময় তার সমাপ্তি টানতেই হবে। একইসাথে গাজায় প্রচণ্ড বোমাবর্ষণও বন্ধ করতে হবে। তখন অভিযানের সমাপ্তি টানতে মধ্যস্ততা করে বন্দি বিনিময়ের জন্য মিশরকে অনুরোধ করতে হবে ইসরায়েলকে।
ইসরায়েলি আগ্রাসন শেষে হামাসের সামনে বহুমুখী চ্যালেঞ্জ দেখা দেবে। সামরিক অভিযানের মাধ্যমে হামাস গাজা ও পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনিদের কাছে একটি যোগ্য প্রতিরোধ সংগঠনের যে স্বীকৃতি লাভ করেছে, যুদ্ধ শেষে ফিলিস্তিনিদের দীর্ঘমেয়াদি কল্যাণে তাদের সেটা রাজনৈতিকভাবেও প্রমাণ করতে হবে।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রকে আপাতত সৌদি আরব ও ইসরায়েলের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণে মধ্যস্ততার পরিকল্পনা স্থগিত রাখতে হবে। এজন্য চলতি মাসেই ইসরায়েল ও সৌদি আরব সফরের কথা ছিল মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের। কিন্তু, উদ্ভূত পরিস্থিতি এ পরিকল্পনায় রদবদল এনেছে, এখন জর্ডানেও যাবেন তিনি।
গাজায় হামলার পর আরব বিশ্বের জনগণের মধ্যে যে ক্ষোভ বিরাজ করছে, তাতে সৌদি-ইসরায়েল চুক্তিকে এগিয়ে নেওয়াও জটিল হয়ে পড়বে। খুব সম্ভবত এই আলোচনা আপাতত স্থগিত রাখবে সৌদিরা, তবে এটা পুরোপুরি বাতিল করবে না।
এসব ঘটনাপ্রবাহ ইরানের পক্ষে যাবে। আরব-ইসরায়েলি সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ স্থগিত থাকলে, তেহরান যুক্তরাষ্ট্রকে পরমাণু চুক্তিতে পুনরায় ফেরার জন্য চাপ দিতে পারবে। যুক্তরাষ্ট্র যদি কোনোপ্রকার চুক্তি করে, তাহলে কিছু পরিমাণে হলেও ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে হবে। এতে ইরানের অর্থনীতি কিছুটা চাপমুক্ত হবে।
তবে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যদি কোনো সমঝোতা হয়, তাতে এই সংঘাতের মূল কারণগুলো দূর হওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। কারণ, ফিলিস্তিনিদের তহবিল জব্দ, তাদের কারাগারে বন্দি করা ও গাজার অমানবেতর আর্থ-সামাজিক অবস্থা নিয়ে ইসরায়েলের কোনো রাজনৈতিক দলেরই মাথাব্যথা নেই।