হজে জমজমের পানি ব্যবহারে নির্দেশনা, অপচয় না করার অনুরোধ সৌদি আরবের
সৌদি আরবে চলতি মাসে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া হজকে সামনে রেখে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। তারই অংশ হিসেবে দেশটিতে আগত মুসল্লিদের উদ্দেশে জমজমের পানি অপচয় না করাসহ বেশ কয়েকটি নির্দেশনা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
অফিসিয়াল তথ্যমতে, ইতোমধ্যেই প্রায় ৫ লাখ ৫৭ হাজারেরও বেশি মুসল্লি হজ পালনের উদ্দেশে সৌদি আরবে পৌঁছেছেন।
হজ উপলক্ষে ইসলামের দুই পবিত্রতম স্থান মক্কার গ্র্যান্ড মসজিদে ও মদিনার প্রফেটস মসজিদে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের জন্য জমজমের পানি সরবরাহ করা হয়।
সৌদির হজ ও উমরাহ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, মুসল্লিরা যেন জমজমের পানি জমিনে না ফেলে এবং হজের জায়গা পরিষ্কার-পরিছন্ন রাখে।
ব্যবহৃত পানির গ্লাসগুলো নির্দিষ্ট স্থানে ফেলার জন্যও মুসল্লিদের অনুরোধ করা হয়েছে। এছাড়াও জমজমের পানি দিয়ে অজু না করার জন্যও বলা হয়েছে।
ইতোমধ্যেই আগত মুসল্লিদের জন্য জমজমের পানির প্রাপ্যতা নিশ্চিত করছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। দ্য সৌদি আল জামজেমা কোম্পানি গত মাসে জানায়, মক্কায় মুসল্লিদের ক্যাম্পের পাশে জমজমের পানি সরবরাহের জন্য মোট ৯৫০ জন কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে।
বিশাল এ কর্মযজ্ঞের ডেপুটি সুপারভাইজার রায়ান জামাজমি জানান, সর্বোচ্চ নিরাপত্তা বজায় রেখে ১৩৭টি ট্রাকের বহরের মাধ্যমে জমজমের পানি সরবরাহ করা হবে।
কোম্পানিটির পক্ষ থেকে এ উপলক্ষে একটি ইলেকট্রনিক প্ল্যাটফর্মও চালু করা হয়েছে, যাতে করে হজ করতে আসা মুসল্লিদের বাড়ি বাড়ি প্যাকেট আকারে জমজমের পানি পৌঁছে দেওয়া যায়।
এদিকে গত বছর করোনা মহামারির সতর্কতা হিসেবে জমজমের পানি বিতরণে নেওয়া হয়েছিল ভিন্ন প্রস্তুতি। তখন গ্র্যান্ড মসজিদে মুসল্লিদের কাছে পবিত্র এ পানি বোতল আকারে সরবরাহের জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল রোবট।
সৌদির বাইরে থেকে হজ পালন করতে যাওয়া মুসল্লিদের কাছে জমজমের পানি বেশ জনপ্রিয়। তারা হজ শেষে দেশে ফিরে আত্মীয় কিংবা বন্ধুবান্ধবদের পবিত্র এ পানি উপহার দিয়ে থাকেন।
গত কয়েক বছর করোনা মহামারির কারণে হজে অংশ নেওয়া মুসল্লির সংখ্যা কমিয়ে আনা হয়েছিল। তবে চলতি বছর আগের মতোই পুরোদমে হজে বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে মুসল্লিরা অংশ নেবেন।