৮ বছর ভোটে লড়তে পারবেন না রাহুল গান্ধী, তবে আপিলের সুযোগ থাকছে
রাহুল গান্ধীর সংসদ পদ খারিজ করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে নিয়ম অনুসারে আগামী আট বছর আর সংসদ ভোটে লড়তে পারবেন না তিনি। তবে এ থেকে উত্তরণের পথও রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) সুরাটের আদালত রাহুল গান্ধীকে দুবছরের জন্য কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিলেন। পরে অবশ্য় তিনি জামিন পেয়ে যান। মোদির পদবি নিয়ে আপত্তিকর শব্দ বলার অভিযোগে ২০১৯ সালে একটি মানহানি মামলা হয়েছিল তার বিরুদ্ধে।
রাহুল বলেছিলেন, কেন সব চোরেদের পদবি মোদি হয়? কর্নাটকের কোলারে একটি নির্বাচনী সভায় তিনি এ কথা বলেছিলেন।
মামলার রায়ের পর রাহুল গান্ধীর সংসদ পদ খারিজ করা হয়েছে। জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের সেকশন ৮(৩) অনুসারে যদি কোনো ব্যক্তিকে অপরাধী বলে সাব্যস্ত করা হয় আর তাকে দুবছরের বেশি সময়ের জন্য কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয় তবে সেই রায়ের দিন থেকে তার সংসদ পদ খারিজ করা হয়। ছয় বছরের জন্য এই সংসদ পদ খারিজ করা হয়। সেক্ষেত্রে এবার কী করতে পারেন রাহুল গান্ধী?
সূত্রের খবর, এ দীর্ঘ সময়ের জন্য সংসদ পদ খারিজ করা থেকে বাঁচতে গেলে তাকে অবিলম্বে এ রায়ের বিরুদ্ধে আদালতে আপিল করতে হবে। এ নির্দেশে স্থগিতাদেশের জন্য তাকে আবেদন করতে হবে। সেক্ষেত্রে এ আবেদনের ভিত্তিতে স্থগিতাদেশ না এলে রাহুল গান্ধী মোটামুটি আগামী আট বছরের জন্য আর ভোটে লড়তে পারবেন না।
তবে এর আগে সেকশন ৮(৪) অনুসারে কোনো এমএলএ বা এমপি যদি দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরেও তিন মাসের মধ্যে আবেদন করলে, তিনি তার পদে থেকে যেতে পারতেন। কিন্তু ২০১৩ সালে সুপ্রিম কোর্ট এই তিন মাসের সময়সীমা বাতিল করেছেন।
এদিকে রাহুল বর্তমানে সেশন কোর্টে এ রায়ের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করতে পারেন। সেটা না হলেও তিনি হাইকোর্টেও আপিল করতে পারেন। এর সঙ্গেই তিনি ওই রায়ের বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশের জন্য আবেদন করতে পারেন।
তবে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, শুধু রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ হলেই যে তিনি সাংসদ পদ খারিজ হওয়া থেকে বেঁচে যাবেন এমনটা ঠিক নয়, তার কারাদণ্ডের নির্দেশের বিরুদ্ধেও স্থগিতাদেশ দরকার। না হলে তার পক্ষে সংসদ পদ ফিরে পাওয়াটা কষ্টকর।