চীনের পরিকল্পনায় যুদ্ধ শেষ হতে পারে, কিন্তু ইউক্রেন ও পশ্চিম শান্তির জন্য প্রস্তুত নয়: পুতিন
![](https://www.tbsnews.net/bangla/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2023/03/22/xi-putin_talks.jpg)
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেনকে ঘিরে চীনের শান্তি পরিকল্পনা চলমান যুদ্ধের অবসান ঘটাতে পারে। তবে এই পরিকল্পনা এগিয়ে নেওয়া জন্য আগে 'পশ্চিম ও কিয়েভকে' প্রস্তুত হতে হবে। খবর বিবিসির।
মঙ্গলবার (২১ মার্চ) মস্কোতে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ইউক্রেন সংঘাত ও রাশিয়া-চীন পারস্পারিক সম্পর্ক উন্নয়ন বিষয়ে আলোচনায় বসেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন।
আলোচনা শেষে দুই প্রেসিডেন্টের এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে পুতিন বলেন, "ইউক্রেন সংঘাত বন্ধের ভিত্তি হিসেবে চীনের দেওয়া শান্তি পরিকল্পনার অনেককিছুই গ্রহণ করা যেতে পারে; তবে এরজন্য আগে পশ্চিম এবং কিয়েভকে প্রস্তুত হতে হবে।"
কিন্তু অপরপক্ষ থেকে রাশিয়া এখনও এ ধরনের কোনো 'প্রস্তুতি' দেখতে পাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
সংবাদ সম্মেলনে শি জিনপিং চীন এবং রাশিয়াকে 'শক্তিশালী প্রতিবেশী এবং ব্যাপক কৌশলগত অংশীদার' হিসেবে উল্লেখ করেন।
ইউক্রেন সংঘাতে চীন নিরপেক্ষ অবস্থানে রয়েছে জানিয়ে চীনা প্রেসিডেন্ট বলেন, চীন সবসময় শান্তি ও আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের পক্ষে রয়েছে।
এর আগে, ইউক্রেনে সংঘাত বন্ধ ও শান্তি স্থাপনের জন্য ১২ দফা প্রস্তাব করে চীন।
এদিকে, চীন-রাশিয়া সম্পর্ক উন্নয়ন আভাসের মাঝেই ইউক্রেনকে ১৫.৬ বিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল। বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কয়েক মাসব্যাপী আলোচনার পর কিয়েভকে চার বছরের জন্য বড় অঙ্কের এই ঋণ প্যাকেজ দেওয়ার প্রাথমিক চুক্তিতে পৌঁছেছে আইএমএফ। উল্লেখ্য, জাতিসংঘের এই সংস্থার ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাপক নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।
সংঘাতের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত ইউক্রেনকে তীরে তুলতে এই ঋণ সাহায্য করবে বলে উল্লেখ করেছে আইএমএফ। সংস্থাটির মতে, ২০২৩ সালে ইউক্রেনের অর্থনীতি মাইনাস ৩ থেকে ১ শতাংশে বৃদ্ধি পাবে।
এদিকে, ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা পাঠানোর গতি বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। পেন্টাগন মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল প্যাট্রিক রাইডার রয়টার্স্কে জানিয়েছেন, আগামী শরতের মধ্যে ইউক্রেনে যেই ৩১টি অ্যাব্রাম যুদ্ধ ট্যাঙ্ক পাঠানোর কথা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের, তা দ্রুতই সরবরাহ করা হবে।
এছাড়া, সোমবার (২০ মার্চ) ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলোও ইউক্রেনে সহায়তা পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সামনের বছরে ইউক্রেনে ১ মিলিয়ন আর্টিলারি রাউন্ড পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে ইইউ।