ইমরান খান আদালতে আসার সময়ে তার বাড়িতে পুলিশি অভিযান
ইসলামাবাদের আদালতে হাজির হতে শনিবার (১৮ মার্চ) পাঞ্জাবের প্রাদেশিক রাজধানী লাহোরের বাসভবন ছেড়ে রওনা হন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এরপরই বাসভবনে অভিযান চালিয়েছে লাহোর পুলিশ।
তেহরিক -ই- ইনসাফ দলের প্রধান ইমরান খান এ ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। তিনি বলেছেন, অভিযানের সময় তার স্ত্রী বুশরা বেগম বাড়িতে একা ছিলেন।
ইমরান তার টুইটে লিখেছেন, "জামান পার্কের বাড়িতে বুশরা বেগম একা ছিলেন, এই অবস্থায় সেখানে হামলা করেছে পাঞ্জাব পুলিশ। কোন আইনের আওতায় তারা একাজ করেছে? আসলে এটা লন্ডন চক্রান্তের অংশ, একটি নিয়োগকে সম্মতিদানের প্রতিদানস্বরূপ যেখানে নওয়াজ শরীফকে ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।"
সরকার প্রধান থাকার সময় পাওয়া বিদেশি উপহারের হিসাব যথাযথভাবে সরকারি তোষাখানায় দেননি ইমরান। এই অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা করে দেশটির নির্বাচন কমিশন। মামলাটি চলছে ইসলামাবাদের আদালতে। মামলার রায়ে ইমরান খানকে দোষী সাব্যস্ত করার সম্ভাবনাই বেশি।
আদালত ইমরানের বিরুদ্ধে এর আগে সমনও জারি করেন। কিন্তু, তাকে গ্রেপ্তার চেষ্টা চালিয়ে সমর্থকদের বাধার মুখে ব্যর্থ হয় লাহোর পুলিশ। এই প্রেক্ষাপটে ইমরান বাড়ি ছাড়ার পরই সেখানে অভিযান চালানো হলো।
পুলিশ শনিবার ইমরানের বাড়ির প্রধান ফটক ভেঙ্গে প্রবেশ করছে এমন ভিডিও ফুটেজ টুইট করেছে পিটিআই। এসময় সেখানে উপস্থিত সমর্থকদের ওপর পুলিশকে লাঠিচার্জ করতেও দেখা গেছে।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই ইমরান খানের আদালতে হাজিরা নিয়ে নাটকীয় সব উত্তেজনা দেখছে পাকিস্তানবাসী। ইসলামাবাদের একটি নিম্ন আদালত তাকে গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দিলে, দিন কয়েক আগে তাকে আটক করতে দুই দিনব্যাপী এক অভিযান শুরু করে পুলিশ।
কিন্তু লাহোরে ইমরানের বাড়িতে গেলে তার সমর্থকরা নিরাপত্তা বাহিনীকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে কয়েক ডজন সমর্থক আহত হন।
এই অবস্থায়, শুক্রবার ইসলামাবাদ হাইকোর্ট ইমরান খানকে গ্রেপ্তার কার্যক্রম তাৎক্ষণিক বন্ধ করার নির্দেশ দেন। গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও বাতিল করা হয়। তবে তাকে ১৯ মার্চের মধ্যে আদালতে হাজির হওয়ার আদেশ দেওয়া হয়।