হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টের ধাক্কায় আদানির সম্পদ নেমে গেল ৫০ বিলিয়ন ডলারের নিচে
বিলিয়নেয়ার এবং বন্দর থেকে শক্তি উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করা আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানির মোট সম্পদের পরিমাণ ২০ ফেব্রুয়ারির হিসাব অনুযায়ী ৫০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে। ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার ইনডেক্স অনুযায়ী, আদানির বর্তমান মোট সম্পদের মূল্য ৪৯.১ বিলিয়ন ডলার। বিশ্বের শীর্ষ ধনীর র্যাংকিংয়েও ২৫-এ নেমে গিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে, ফোর্বসের রিয়েল-টাইম বিলিয়নেয়ার লিস্টেও ২৫ নম্বরে থাকলেও তার সম্পদের পরিমাণ সেখানে দেখানো হয়েছে ৪৭.৬ বিলিয়ন ডলার।
গৌতম আদানি এবং রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি বর্তমানে ভারতের শীর্ষ দুই ধনী ব্যক্তি। আম্বানির সাথেও আদানির সম্পদের ফারাক ক্রমাগত বাড়ছে। ব্লুমবার্গ ইনডেক্সে মুকেশ আম্বানি বর্তমানে ৮৩.৬ বিলিয়ন ডলার নিয়ে বিশ্বের শীর্ষ ধনীর র্যাংকিং-এ ১১ নম্বরে আছেন। অন্যদিকে ফোর্বসের তালিকায় তার সম্পদের পরিমাণ ৮৬ বিলিয়ন ডলার দেখানো হয়েছে, র্যাংকিংয়েও এগিয়ে অষ্টম স্থানে রয়েছেন।
আদানি গ্রুপের সম্পদের এই বিশাল পতনের শুরু হয়েছিল মূলত জানুয়ারির শেষে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ প্রকাশ হওয়ার পর। তার কয়েকদিন পরেই আদানি গ্রুপের ২০ হাজার কোটি রুপির পাবলিক শেয়ার বিক্রির কথা ছিল। হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে অ্যাকাউন্টিং জালিয়াতি এবং স্টক ম্যানিপুলেশনের অভিযোগ আনে।রিপর্টটি প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে গত তিন সপ্তাহে গ্রুপটি প্রায় ১২৫ বিলিয়ন ডলারের মার্কেট ভ্যালু হারিয়েছে।
আদানি গ্রুপ অবশ্য হিন্ডেনবার্গের এই অভিযোগকে 'ভিত্তিহীন', 'ইচ্ছাকৃত' এবং 'ভারতের বিরুদ্ধে আক্রমণ' হিসেবে অভিহিত করেছে।
এদিকে ডিএলএফ-এর চেয়ারম্যান কেপি সিং দাবি করেছেন যে। আদানি গ্রুপের ওপর অভিযোগের ফলে ভারতের অর্থনীতিতে বিনিয়োগের হার কমে আসবে তা একবারেই অদ্ভুত যুক্তি। তার মতে, "ভারত এখন বিশাল এক দেশ। এই গল্প হারিয়ে যাবে। ভারতে বিনিয়গ কমবে না।"
সূত্র: বিজনেস টুডে