ইউক্রেন যুদ্ধ করতে বাধ্য হয়েছেন পুতিন: ইতালির বারলুসকোনি

আন্তর্জাতিক

টিবিএস ডেস্ক
23 September, 2022, 05:25 pm
Last modified: 23 September, 2022, 05:52 pm
"রাশিয়ান জনগণ, তার দল ও মন্ত্রীদের চাপেই 'বিশেষ এ অভিযান'  শুরু করেন তিনি", রাশিয়ার মতোই এ যুদ্ধকে 'বিশেষ অভিযান' হিসেবে সম্বোধন করেন তিনি। 

ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু করে কিয়েভে নতুন সরকার প্রতিষ্ঠার পথে হাঁটতে রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন 'বাধ্য হয়েছেন' বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক ইতালিয়ান প্রধানমন্ত্রী ও পুতিনের ব্যক্তিগত বন্ধু সিলভিও বারলুসকোনি। ইতালির আসন্ন নির্বাচনের আগে পশ্চিমা জোট নিয়ে কথা বলতে গিয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি।

ডানপন্থী জোটের অন্তর্ভুক্ত বারলুসকোনির ফোরজা পার্টি আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে জয়ের জন্য লড়ছে। এর আগেও ইউক্রেনে পুতিনের কর্মকাণ্ডের পক্ষে কথা বলেছেন ডানপন্থী এ ইতালিয়ান রাজনীতিবিদ।

পুতিন ইউক্রেনে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি দেওয়ার পরও পুতিনের যুদ্ধাংদেহী মনোভাবের সমর্থনে ছিলেন তিনি।

"রাশিয়ান জনগণ, তার দল ও মন্ত্রীদের চাপেই 'বিশেষ এ অভিযান'  শুরু করেন তিনি", রাশিয়ার মতোই এ যুদ্ধকে 'বিশেষ অভিযান' হিসেবে সম্বোধন করেন তিনি। 

ইতালির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘির অধীনে রাশিয়ার ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার জোর সমর্থক ইতালি।

প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে থাকা চরম ডানপন্থী ব্রাদার্স পার্টির জর্জিয়া মেলোনিও নিষেধাজ্ঞার পক্ষে থাকার কথা বলছেন, তবে বারলুসকোনি ও জোটের আরেক মিত্র ম্যাটেও সালভিনি এবিষয়ে এখনো দ্ব্যর্থবোধক কথা বলছেন।

বারলুনস্কি বলেন, "প্রাথমিকভাবে রাশিয়ার পরিকল্পনা ছিল 'এক সপ্তাহের' মধ্যে কিয়েভ দখল করা, এবং দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে উৎখাত করে 'ভালো মানুষের সরকার' প্রতিষ্ঠা করে করে আবার 'এক সপ্তাহের মধ্যে' ইউক্রেন ত্যাগ করা"। 

"আমি বুঝতেই পারছিনা রাশিয়ান সৈন্যরা কেন ইউক্রেনে ছড়িয়ে গেছে, তাদের তো শুধু কিয়েভেই থাকার কথা ছিল", বলেন বারলুসকোনি। 

ইতালির পাবলিক টেলিভিশন আরএআই-তে বারলুসকোনি এক সাক্ষাৎকারে বারলুসকোনি বলেছিলেন, বিচ্ছন্নতাবাদীদের এক আবেদনের প্রতিক্রিয়ায় মস্কো ইউক্রেন আক্রমণের সিদ্ধান্ত নেয়। 

তিনি বলেন, "তাদের নেতারা ক্রেমলিনে গিয়ে সরাসরি পুতিনকে বলেছিলেন, 'দয়া করে আমাদের সমর্থন দিন, আমরা জানিনা আপনার সাহায্য ছাড়া আমাদের কী হবে"।  

২০১৪ সালে রাশিয়া ক্রিমিয়া দখল করার পর বারলুসকোনি বলেছিলেন, তিনি তখন ক্রিমিয়া গিয়ে দেখেছেন, সেখানকার সাধারণ মানুষ রাস্তায় এসে পুতিনকে ধন্যবাদ জানাচ্ছে। 

সূত্র: রয়টার্স 

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.