বিদ্যুৎহীন ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল, মস্কোকে দুষছে কিয়েভ

আন্তর্জাতিক

টিবিএস ডেস্ক
12 September, 2022, 12:40 pm
Last modified: 12 September, 2022, 12:46 pm
পূর্বাঞ্চলের সুমি, ডিনিপ্রপেট্রোভস্ক, পোলতাভা, জাপোরিঝিয়া এবং ওডেসা অঞ্চল থেকেও একই খবর পাওয়া গেছে। 

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল 'সম্পূর্ণ ব্ল্যাকআউট' বা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। আর এ ঘটনায় রাশিয়াকে অভিযুক্ত করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। 

তিনি বলছেন, রুশ বাহিনী ইচ্ছাকৃতভাবেই বেসামরিক অবকাঠামোকে নিজেদের লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে, যার ফলে ওই অঞ্চলে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। 

কিয়েভের সৈন্যদের দ্বারা পাল্টা আক্রমণের একদিন পর, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল এই ব্ল্যাকআউটের শিকার হয়। 

ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা বলছেন, ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভের পানি সুবিধা এবং একটি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ওপর ইচ্ছাকৃতভাবে আক্রমণ করে রুশ বাহিনী, যার ফলশ্রুতিতে ওই এলাকায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট এবং পানি সরবরাহে বিঘ্ন ঘটছে।

এ ঘটনায়, রুশ বাহিনীকে 'সন্ত্রাসী' তকমা দিয়ে রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) নিজের টুইটারে জেলেনস্কি লিখেছেন, "এখানে কোনো সামরিক উদ্দেশ্য নেই, লক্ষ্য হল সাধারণ মানুষকে আলো ও তাপ থেকে বঞ্চিত করা।"

রুশ নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলসহ এই অঞ্চলের প্রায় ৯ মিলিয়ন মানুষ এখন ব্ল্যাকআউটের শিকার। 

খারকিভ অঞ্চলের গভর্নর ওলেগ সিনেগুবভ সোশ্যাল মিডিয়ায় এক বিবৃতিতে বলেন, "বেশ কয়েকটি বসতিতে বিদ্যুৎ বা পানি সংযোগ নেই। জরুরি পরিষেবাগুলো আক্রান্ত স্থানে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ করছে।"

পূর্বাঞ্চলের সুমি, ডিনিপ্রপেট্রোভস্ক, পোলতাভা, জাপোরিঝিয়া এবং ওডেসা অঞ্চল থেকেও একই খবর পাওয়া গেছে। 

আল জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইউক্রেনের উত্তর-পূর্ব এবং পূর্বাঞ্চলের পাঁচটি এলাকা বিদ্যুৎ বিভ্রাটে পড়েছে। দেশটির কর্মকর্তাদের দাবি, রুশ সেনারা গুরুত্বপূর্ণ বেসামরিক অবকাঠামোতে আঘাত করায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। পুরো শহর এখন অন্ধকারের কবলে। অবশ্য সুমি, ডিনিপ্রোপেট্রোভস্ক ও পোলতাভা অঞ্চলের কর্মকর্তারা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ঘোষণার কিছুক্ষণ পরই বলেছিলেন, বিদ্যুৎ পুনরুদ্ধার করা হয়েছে।

 

  • সূত্র: আল জাজিরা
     

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.