‘এই প্রথম বাংলাকে বাদ দেওয়া হল’, প্রধানমন্ত্রী হাসিনার সাথে দেখা না হওয়ায় ক্ষোভ মমতার
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের পররাষ্ট্রনীতি সমালোচনা করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দলের জেলা নেতাদের নিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতি সভায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরে বাংলাকেই (পশ্চিমবঙ্গ) বাদ দেওয়া হল বলে অভিযোগ করেছন তিনি। একইসঙ্গে তিনি বলেন, 'হাসিনাজি নিজেই আমার সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন'। সুতরাং এই সাক্ষাৎ না হওয়ার জন্য মাঝে দেওয়াল হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার বলেই ইঙ্গিত মমতার।
বর্তমানে চারদিনের ভারত সফরে নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অথচ তার সঙ্গে সাক্ষাতে বঞ্চিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ মমতার। এদিন নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'হাসিনাজি নয়াদিল্লিতে এসেছেন। আমার সঙ্গে ওনার ব্যক্তিগত সম্পর্ক খুবই ভাল। দুর্গাপুজোর সময়ে আমি ওনাকে চিঠি দিই। উনি আমাকে শাড়ি পাঠান। আম পাঠান, কখনও ইলিশ পাঠান। আমি শুনেছি, উনি এই সফরে আমার সঙ্গে দেখা করার জন্য ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু, দিল্লি তা শোনেনি। এই প্রথম দেখলাম বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী দিল্লিতে এসেছেন, অথচ বাংলাকে বাদ দেওয়া হল।'
ভারত–বাংলাদেশ প্রতিবেশী দেশ। তাই কূটনৈতিক সম্পর্কও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে আবার বড় ভূমিকা রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের। এপার বাংলার সঙ্গে ওপার বাংলার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। এমনকী দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য থেকে সাংস্কৃতিক সম্পর্ক—পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ একসূত্রে গাঁথা। আবার নিরাপত্তার বিষয়ও এখানে জড়িয়ে রয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সাক্ষাৎ বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ছিল। যা এখনও হয়নি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই অভিযোগ নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখনও সরকারিভাবে কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই গোটা বিষয়টি নিয়ে বোঝাতে চান, পুরো ব্যাপারটাই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে করেছে নয়াদিল্লি। অতীতে তার শিকাগো সফরে থেকে রোম সফরে নয়াদিল্লি তথা নরেন্দ্র মোদি সরকার অনুমতি দেয়নি। চীন তাঁকে আমন্ত্রণ করলেও আপত্তি তোলা হয়েছিল। এবারও সেটাই করা হয়েছে। তার জেরেই দেখা হল না হাসিনা–মমতার।
- সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস