চে গুয়েভারার ছেলে ক্যামিলো মারা গেছেন 

আন্তর্জাতিক

টিবিএস ডেস্ক
01 September, 2022, 01:40 pm
Last modified: 01 September, 2022, 01:50 pm
বলিভিয়ায় চে গুয়েভারাকে গুলি করে হত্যার সময় ক্যামিলোর বয়স ছিল মাত্র পাঁচ বছর। ক্যামিলো তার জীবনের বেশিরভাগ সময় বাবার রেখে যাওয়া দলিলপত্রাদি ও স্মারক দেখাশোনার কাজে ব্যয় করেছেন।

আর্জেন্টাইন বংশোদ্ভূত বিপ্লবী নেতা আর্নেস্তো চে গুয়েভারার ছেলে ক্যামিলো গুয়েভারা মার্চ মারা গেছেন। কিউবার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ফুসফুসে রক্ত জমাট বাঁধার কারণে হার্ট অ্যাটাকে ক্যামিলোর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

ক্যামিলো গুয়েভারা তার জীবনের বেশিরভাগ সময় কাটিয়েছেন বাবার জীবনকে তুলে ধরার কাজে। কিউবার বিপ্লবে ফিদেল ক্যাস্ত্রোর সাথে একসঙ্গে লড়াই করেছিলেন চে গুয়েভারা।

কিউবান আলোকচিত্রী আলবার্তো কর্দার তোলা চে'র ছবি বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহারের বিরোধীতা করেছিলেন ক্যামিলো। চে গুয়েভারা ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী আলেইদা মার্চের চার সন্তানের একজন ক্যামিলো।

ক্যামিলোর বড় বোন যখন তাদের পরিবারের মুখপাত্রের দায়িত্ব নেন, ক্যামিলো তখন কিউবার রাজধানী হাভানায় অবস্থিত চে গুয়েভারা স্টাডিজ সেন্টার পরিচালনার দায়িত্ব নেন। চে গুয়েভারা স্টাডিজ সেন্টারে চে'র ব্যক্তিগত আর্কাইভ রয়েছে এবং এর মাধ্যমে এই বিপ্লবী নেতার জীবন, কাজ ও চিন্তাধারা প্রচার করা হয়।

ছবি তোলার দিকে আকর্ষণ ছিল ক্যামিলো গুয়েভারার। ছবি: বিবিসি

এদিকে কিউবার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভেনেজুয়েলার রাজধানী কারাকাসে সফরের সময় মৃত্যু হয়েছে ক্যামিলোর। ক্যামিলোর মৃত্যুতে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে টুইট করেছেন কিউবার প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল দিয়াজ-ক্যানেল। টুইট বার্তায় তিনি লেখেন, "আজ অত্যন্ত দুঃখের সাথে আমরা চে গুয়েভারার ছেলে এবং তার চিন্তাধারা-আদর্শের প্রচারক ক্যামিলোকে বিদায় জানাচ্ছি।"

কিউবার বিপ্লবে ফিদেল ক্যাস্ত্রো ও রাউল ক্যাস্ত্রো ভ্রাতৃদ্বয়ের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করে ফুলজেন্সিও বাতিস্তা সরকারের পতন ঘটানোর পর কিউবার অন্যতম বিখ্যাত মুখ হয়ে ওঠেন চে গুয়েভারা।

চে গুয়েভারা ও ফিদেল ক্যাস্ত্রো। ছবি: সংগৃহীত

১৯৬৭ সালের অক্টোবরে বলিভিয়ার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধরত গেরিলাদের একটি ছোট দলের নেতৃত্ব দেওয়ার সময় বলিভিয়ার সেনাবাহিনীর হাতে বন্দী হন চে গুয়েভারা এবং তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। সে সময় ক্যামিলোর বয়স ছিল মাত্র পাঁচ বছর।

বড় হয়ে ক্যামিলো আইন নিয়ে পড়াশোনা করলেও, জীবনের বেশিরভাগ সময় তিনি বাবার রেখে যাওয়া দলিলপত্রাদি ও স্মারক দেখাশোনায় ব্যয় করেছেন।

সূত্র: বিবিসি  

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.