'আমি কারও কাছে ক্ষমা চাইব না', শানাহানের সাথে সম্পর্কের প্রসঙ্গে ক্ষুব্ধ ইলন মাস্ক
আন্তর্জাতিক
গুগলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা সের্গেই ব্রিনের স্ত্রী নিকোল শানাহানের সাথে ইলন মাস্কের সম্পর্ক নিয়ে উত্তাল ইন্টারনেট দুনিয়া। যদিও মাস্ক ইতোমধ্যেই টুইটারে পোস্ট দিয়ে এ সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেছেন, কিন্তু তবুও বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না মাস্কের। তবে টেসলার সিইও যে মোটেও এসবকে পাত্তা দিচ্ছেন না, সেটি তার কথা থেকেই বোঝা যাচ্ছে। বিতর্কিত এই ইস্যু নিয়ে বরং হাস্যরসাত্বক মন্তব্য করেছেন এই মুহূর্তে বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যক্তি মাস্ক।
বিতর্কের শুরুটা হয়েছিল ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনকে ঘিরে, যেখানে দাবি করা হয়েছে শানাহানের সাথে মাস্কের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তবে প্রতিবেদনে উল্লেখিত বিষয়গুলোর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত হয়েছে এই যে- সের্গেই ব্রিনের সামনে হাটু গেঁড়ে বসে ক্ষমা চেয়েছেন মাস্ক!
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের দাবি, তারা নির্ভরযোগ্য সূত্রের মাধ্যমে তথ্য পেয়েছে যে মাস্ক সত্যি এভাবে ক্ষমা চেয়েছেন। কিন্তু নিউইয়র্ক পোস্টের কাছে এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মাস্ক। তার ভাষ্যে, সের্গেই ব্রিন এবং তিনি এখনো ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং তাদের মধ্যে কখনোই কোনো ঝামেলা হয়নি।
মাস্ক এও জানিয়েছেন যে তিনি কখনোই কারো সামনে মাথানত করবেন না। বরং এ বিষয়ে মজা করে মাস্ক বলেন, "শুধুমাত্র কাউকে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়ার মুহূর্তে আমি হাঁটু গেঁড়ে বসবো, এছাড়া নয়। আর এটা নিশ্চিত যে সের্গেইকে আমি বিয়ের প্রস্তাব দেইনি।
বিতর্কিত প্রতিবেদনের জন্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের নামে মামলা করবেন কিনা- নিউইয়র্ক পোস্টের এমন প্রশ্নের জবাবে মাস্ক বলেন, "আমেরিকায় একজন বিখ্যাত ব্যক্তির কোনো সংবাদ সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা করা নিরর্থক। তার চেয়ে টুইটারে এর জবাব দেওয়া কিংবা একেবারে এড়িয়ে যাওয়া ভালো, যেটা বেশিরভাগ সময় আমি করি।"
মাস্ক আরও জানান, তিনি ওয়াল স্ট্রিটের প্রতিবেদনের ব্যাপারে সের্গেই ও নিকোলের সাথে কথা বলেছেন। তারা জোর দিয়ে জানিয়েছেন, ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের সাথে তাদের কোনো কথা হয়নি বা তাদের পক্ষ হয়ে অন্য কেউও কথা বলেননি।
"আমি শনিবার রাত থেকে পরদিন বিকাল পর্যন্ত সের্গেইয়ের সাথে ছিলাম। সাথে আমাদের আরও অনেক বন্ধুবান্ধব ছিল এবং সব মিলিয়ে বেশ ইতিবাচক মেজাজে ছিলাম আমরা", বলেন ইলন মাস্ক।
এখানেই শেষ নয়, মাস্ক টুইটারে আরও লেখেন, "আমার উপর মানুষের মনোযোগ একদম সুপারনোভা পর্যায়ে চলে গেছে যা খুব বিরক্তিকর। তবুও আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো সভ্যতার জন্য অর্থবহ কাজ করার দিকেই পুরোপুরি মনোযোগ দিতে।"
সূত্র: মার্কা
Comments
While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.