রাজাপাকসের পদত্যাগের পর সর্বদলীয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনে সম্মত হয়েছে শ্রীলঙ্কার রাজনৈতিক দলগুলো

শ্রীলঙ্কার প্রধান বিরোধীদলগুলো একটি সর্বদলীয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনে সম্মত হয়েছে।
আগামী বুধবার (১৩ জুলাই) প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে পদত্যাগ করবেন বলে শনিবার জানান দেশটির স্পিকার। তার পদত্যাগের পর এ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শ্রীলঙ্কা বর্তমানে নজিরবিহীন অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে। এ অবস্থায় দেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পথ খুঁজতে রবিবার (১০ জুলাই) বিরোধীদলগুলো এক আলোচনায় অংশগ্রহণ করে।
শ্রীলঙ্কার শাসনক্ষমতায় থাকা পোদুজানা পেরামুনা (এসএলপিপি) থেকে বিচ্ছিন্ন দলের সদস্য বিমল বীরবংশ বলেন, 'আমরা সব দলের অংশগ্রহণে অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের জন্য একটি যৌথ সরকার গঠনে নৈতিকভাবে সম্মত হয়েছি।'
এ সরকারে সব দলের প্রতিনিধিত্ব থাকবে বলে জানান তিনি।
এসএলপিপি থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া দলের আরেক সদস্য বাসুদেব নানায়াক্কারা বলেন, তাদেরকে আগামী ১৩ জুলাই রাজাপাকসে'র পদত্যাগ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
শ্রীলঙ্কার প্রধান বিরোধীদল সামাগি জন বালাবেগায়া'র (এসজেবি) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা নিজেদের অভ্যন্তরে বিস্তৃত পরিসরে আলোচনা চালিয়েছে।
এসজেবি'র মহাসচিব রঞ্জিত মাদ্দুমা বলেছেন, 'আমরা সীমিত সময়ের জন্য সব দলের অংশগ্রহণে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের চিন্তা করছি। এরপর আমরা সংসদীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করব।'
উল্লেখ্য, গতকাল শনিবার (৯ জুলাই) বিক্ষোভকারীরা শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে'র বাসভবনে প্রবেশ করে তা দখল করে নেয়। বিভিন্ন সূত্রের দাবি অনুযায়ী, রাজাপাকসে তার আগের দিন শুক্রবার বাসভবন ছেড়ে চলে যান।
শনিবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহেও পদত্যাগের ঘোষণা দেন। তার এ ঘোষণার পর বিক্ষোভকারীরা তার ব্যক্তিগত বাসভবনে আগুন ধরিয়ে দেয়।
রাজাপাকসে পদত্যাগের ঘোষণা দিলেও রবিবার তিনি অজ্ঞাত স্থান থেকে দেশের জনগণের জন্য রান্নার গ্যাস সুষ্ঠুভাবে সরবরাহ করতে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে রবিবার বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী-প্রেসিডেন্ট চূড়ান্তভাবে ক্ষমতা না ছাড়া পর্যন্ত তারা রাষ্ট্রের এ শীর্ষ দুই নেতার বাসভবন ত্যাগ করবেন না।
সূত্র: দ্য টাইমস অভ ইন্ডিয়া