Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
    • ফুটবল বিশ্বকাপ ২০২২
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Thursday
December 07, 2023

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
    • ফুটবল বিশ্বকাপ ২০২২
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
THURSDAY, DECEMBER 07, 2023
শহরের প্রতিটি বাড়ির ছাদ হোক একটুকরো উদ্যান 

মতামত

সিরাজুস সালেকীন শিহাব
22 May, 2022, 12:35 pm
Last modified: 22 May, 2022, 12:40 pm

Related News

  • অরণ্যের দিনরাত্রি......
  • প্রকৃতির প্রতি সদয় হয়ে শহরগুলো যেভাবে গড়ে তোলা যায়
  • প্রজনন মৌসুমে তালগাছের অভাবে ভালো নেই বাবুই পাখি
  • ছাদ বাগান করলে হোল্ডিং ট্যাক্স এ ১০% ছাড়: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
  • উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রকৃতির ক্ষতি করা উচিত নয়: প্রধানমন্ত্রী

শহরের প্রতিটি বাড়ির ছাদ হোক একটুকরো উদ্যান 

টেলিভিশন মিডিয়ায় প্রচারিত ছাদ বাগান বা অন্যের বাগান স্বচক্ষে দেখার পর অনেকেই ছাদ বাগানে উদ্বুদ্ধ হন। কিন্তু মেলা থেকে আর্কষণীয় ফলন্ত গাছ কিনে এনে করা বাগান বা চুক্তিভিত্তিক নার্সারি দিয়ে স্থাপন করা অনেক বাগানই টেকসই হয় না কেবল বাগানের প্রতি ব্যক্তিগত দরদ তৈরি না হওয়ার দরুন।
সিরাজুস সালেকীন শিহাব
22 May, 2022, 12:35 pm
Last modified: 22 May, 2022, 12:40 pm
ছবিটি লেখকের সৌজন্যে

সবুজ মানেই সতেজতা। সবুজ মানেই প্রশান্তি। যান্ত্রিক এই শহরে সবুজের এতটুকু উপস্থিতিও যেন, অনেকখানি প্রশান্তি এনে দেয়। দুঃখজনক হলেও সত্যি, ক্রমেই নিষ্প্রাণ হয়ে উঠছে এই শহর। নাগরিক কোলাহলের এই শহর সজীবতা হারাচ্ছে প্রতিদিন। কিন্তু মানুষ তার শিকড়কে সহজে ভুলতে পারে না। সবুজে ভরা গ্রাম বাংলায় বেড়ে ওঠা নাগরিক সমাজের একটা অংশ সবুজকে ধরে রাখতে চায় আবাসস্থলে। শৌখিন মানুষেরা তাদের ঘরবাড়িতে সবুজকে ধরে রাখার জন্য একান্ত নিজস্ব ভাবনা আর প্রচেষ্টায় আপন আপন বাড়ির ছাদে তৈরি করছে ছাদ বাগান। সময়ের সাথে এ বাগান এখন আর শৌখিনতায় আটকে নেই। নিরাপদ সবজি দিয়ে পারিবারিক পুষ্টি চাহিদাপূরণ, পারিবারিক বিনোদন এবং অবসর কাটানোর এক মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে এ ছাদ বাগানগুলো। বাংলাদেশের শহুরে কৃষি ব্যবস্থার শৌখিন পদযাত্রা সময়ের বিবর্তনে এক সামাজিক আন্দোলনে রূপ নিতে যাচ্ছে।

ছাদে বাগান কোনো নতুন ধারণা নয়। অতি প্রাচীন সভ্যতায়ও ছাদে বাগানের ইতিহাস চোখে পড়ে। খ্রিস্টের জন্মেরও পূর্বে মেসোপটিয়াম ও পারস্যের জুকুরাক নামীয় পিরামিড আকৃতির উঁচু পাথরের স্থাপনায় বাগান ও ছোট গাছ লাগানোর জন্য স্থান নির্ধারণ করার নিদর্শন পাওয়া যায়। পম্পেই নগরীর কাছেই প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শন রোমান ভিলায় কেবল একটি নির্দিষ্ট ছাদ তৈরিই করা হয়েছিল বাগান করার জন্য। এগারো শতকের পুরনো কায়রো শহরে বহুতল ভবন নির্মাণ হয় যার কোনোটি কোনোটি ছিল চৌদ্দতলা পর্যন্ত বিস্তৃত। এ ভবনগুলোর সবগুলোর ছাদেই বাগান স্থাপন করা হয়েছিল সৌন্দর্যের অংশ হিসেবে যাতে সেচ দেয়ার জন্য প্রাণী শক্তির সাহায্যে চাকা ঘুরিয়ে পুলি দিয়ে নিচ থেকে ওপরে পানি তোলা হতো। ব্যাবিলনের ঝুলন্ত উদ্যানও ধারণা করা হয় বিভিন্ন ছাদ ও বারান্দার সমন্বয়ে তৈরি তবে ঐতিহাসিকভাবে এ উদ্যানের কোনো অস্তিত্ব পাওয়া না গেলেও তৎকালে বর্তমান ইরাকের মসুল শহরের কাছেই আরেক ঝুলন্ত উদ্যানের নিদর্শন পাওয়া যায়।

বিশ্বব্যাপী নগরায়ন বাড়ছে। ফলে শহুরে কৃষি নামক এক নতুন শব্দ আমাদের শব্দ ভাণ্ডারে যুক্ত হচ্ছে। এ কৃষির শুরুটা শৌখিন। ব্যাপক বাণিজ্যিক উৎপাদন অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সম্ভব না হলেও ধীরে ধীরে পারিবারিক পুষ্টি চাহিদা পূরণে এ খাত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। কেবল বাংলাদেশেই নয়। বিশ্বের দেশে দেশে এর গুরুত্ব দিন দিন বাড়ছে। শহরাঞ্চলে ফুল, ফল ও সবজির পারিবারিক বাগান এখন আর কেবলই শৌখিনতা বা পারিবারিক প্রয়োজন নয়। পরিবেশ রক্ষা আর নগরের তাপমাত্রা কমিয়ে আনতে অনেক দেশেই বাড়ির ছাদ, বারান্দা, গাড়ি বারান্দা, ফুটপাত, পার্ক, সরকারি খাস ভূমি, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রতিটি পর্যায়ে কৃষি উৎপাদন বিশেষ করে উদ্যান ফসল ও বাহারি ফুলের গাছের সমন্বয়ে তৈরি করা হচ্ছে সবুজ নগরায়ন। আমাদের দেশেও হাঁটি হাঁটি পা পা করে ছাদ বাগানের মাধ্যমে ব্যক্তি পর্যায়ে শহরে সবুজায়ন শুরু হয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ নয় বরং একান্ত ব্যক্তিগত উদ্যোগেই এদেশে ছাদ বাগানের সূচনা।

শহরে ছাদ বাগান স্থাপন করা হলে শহরের তাপমাত্রা কয়েক ডিগ্রি পর্যন্ত কমে আসে। আমাদের শহরগুলোতে মাটির অস্তিত্ব দিন দিন কমে আসছে। ইট-কাঠের ভবনের বদলে দ্রুতই বৃদ্ধি পাচ্ছে ইস্পাতের কাঠামো ও কাঁচে মোড়ানো বহুতল ভবন। বিশেষ করে জানালায় কাঁচ ও বাণিজ্যিক ভবনের টেকসই স্থাপনার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে হালকা কিন্তু শক্তিশালী ধাতব পাত, ফাইবার ও গ্লাস। সূর্য থেকে তাপ ও আলো এ ধাতব ও কাঁচের কাঠামোর একটিতে পড়ে অপরটিতে প্রতিফলিত হয়। বারংবার প্রতিফলনের দরুণ সে নির্দিষ্ট এলাকার তাপমাত্রা আশপাশের এলাকার তুলনায় সামান্য বেড়ে যায় এবং শহরজুড়ে তৈরি হয় অসংখ্য হিট আইল্যান্ড বা তাপ দ্বীপ। ভবনে বা এর কাঠামোতে বাগান স্থাপন করা হলে বাগানের গাছের পৃষ্ঠদেশ এ তাপ শুষে নেয়  এবং গাছের দেহ থেকে যে পানি জলীয় বাষ্প আকারে প্রস্বেদন প্রক্রিয়ায় বেরিয়ে যায় তা সে নির্দিষ্ট স্থানের তাপমাত্রা কয়েক ডিগ্রি কমিয়ে আনে। অসংখ্য ছাদ বাগান বা শহুরের গাছপালা এ প্রক্রিয়ায় শহরের উচ্চ তাপমাত্রাকে কমিয়ে আনে।

ছাদ বাগানকে কেতাবি ভাষায় যেমন কোনো সংজ্ঞায় নির্ধারিত করা যায়নি তেমনি এর কোনো সুনির্দিষ্ট মডেল এদেশে এখন পর্যন্ত গড়ে উঠেনি। পাকা বাড়ির খালি ছাদে অথবা বেলকনিতে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে ফুল, ফল, শাকসবজির বাগান গড়ে তোলাকে ছাদ বাগান বলা হয়। বাড়ির মালিক তাদের আপন আপন উদ্দেশ্যকে মাথায় রেখে আপন ভাবনায় ভঙ্গিমায় সাজিয়ে তুলেন তাদের ছাদকে। এখানে টবে, বড় বড় ড্রাম কিংবা ট্রেতে রোপণ করা হয় নানা ফুল, ফল ও সবজি। কেউ কেউ আবার ছাদে স্থায়ী কাঠামো নির্মাণ করে তাতে গাছ রোপণ করেন। ছাদের আকার ও সহনশীলতার দিকে লক্ষ্য রেখে নানা কাঠামোর ওপর স্থাপন করেন টব, মাচা। তবে এলোমেলো ও অপরিকল্পিত ছাদ বাগান কেবল সময়, অর্থ অপচয় করায় না। সেই সাথে ভবনেরও নানা ক্ষতি করে। তাই কিছু মৌলিক বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রেখে ছাদ বাগান গড়ে তোলা প্রয়োজন।

ছাদে বাগান করার সময় প্রথমেই ছাদের আয়তন অনুসারে কাগজে কলমে খসড়া ম্যাপ করে বিভিন্ন স্থাপনা ও ভবনের কলামগুলো চিহ্নিত করে নিতে হবে। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ চাহিদা ও রুচি অনুসারে সাজানো না হলে এর পুনর্বিন্যাস অত্যন্ত শ্রমসাধ্য একটি কাজ। বড় বা ভারি গাছগুলো ছাদের বিম বা কলামের নিকটবর্তী স্থান বরাবর স্থাপন করতে হবে। ছাদ যেন ড্যাম্প বা স্যাঁতসেঁতে হতে না পারে সে জন্য রিং বা ইটের ওপর ড্রাম অথবা টবগুলো স্থাপন করলে নিচ দিয়ে আলো বাতাস চলাচল করবে এবং ছাদও ড্যাম্প হতে রক্ষা পাবে। নেট ফিনিশিংয়ের মাধ্যমেও ছাদকে ড্যাম্প প্রতিরোধ করা যায়।

চাহিদা অনুসারে হাফ ড্রাম, সিমেন্ট বা মাটির টব, স্টিল বা প্লাস্টিক ট্রে সংগ্রহ করতে হবে। অনেক সময় বসতবাড়ির ভাঙা চোরা বালতি, অব্যবহৃত তেলের বোতলও ছোটখাটো গাছ রোপণের জন্য ব্যবহার করা হয়। ঠিকমতো উদ্ভাবনী শক্তি দিয়ে এসব অব্যবহৃত জিনিস বাগানে ব্যবহার করা গেলে এও হতে পারে এক নতুন নান্দনিকতা। ছাদের সুবিধামতো স্থানে স্থায়ী বেড (ছাদ ও বেডে মাঝে ফাঁকা রাখতে হবে) স্থাপন করা যেতে পারে। এসব বেডে মূলত সবজি, শাক চাষ করা যায়। চাইলে লাগানো যায় ফুলগাছ। স্থায়ী বেড বানাতে না চাইলে পুরনো চৌবাচ্চা বা জাহাজের লাইফ বোট রাখার বয়ার খোলও অনেক জায়গায় বেড হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

যেহেতু ছাদ বাগান স্বল্প পরিসরে গড়ে তোলা হয় কাজেই এর যত্নআত্তির দিকে সব সময় নজর রাখা আবশ্যক। সেজন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি প্রথমেই সংগ্রহ করে নিতে হবে। এসব যন্ত্রপাতির মধ্যে আছেন সিকেচার, কোদাল, কাচি, ঝরনা, বালতি, করাত, খুরপি, স্প্রে মেশিন এসব। চারা রোপণের আগে চারার উচ্চতা, শিকড়ের প্রকৃতি, সহিষ্ণুতা এসব জিনিসের প্রতি নজর রাখতে হবে। সব চারা ও গাছ ছাদ বাগানের জন্য উপযুক্ত না। যেমন-

*  আম-বারিআম-৩ (আম্রপালি), বাউআম-২ (সিন্দুরী);
* পেয়ারা-বারি পেয়ারা-২, ইপসা পেয়ারা-১;
* কুল-বাউকুল-১, ইপসা কুল-১ (আপেল কুল), থাই কুল-২ ;
* লেবু-বারি লেবু -২ ও ৩, বাউ কাগজি লেবু-১;
* আমড়া-বারি আমড়া-১, বাউ আমড়া-১;
* করমচা-থাই করমচা;
* ডালিম (দেশী উন্নত);
* কমলা ও মাল্টা-বারি কমলা-১, বারি মাল্টা ১;
* জামরুল-বাউ জামরুল-১ (নাশপাতি জামরুল), বাউ জামরুল-২ (আপেল জামরুল) এসব।
* সবজি-লালশাক, পালংশাক, মূলাশাক, ডাঁটাশাক, কলমিশাক, পুঁইশাক, লেটুস, বেগুন, টমেটো, মরিচ, লাউ, শিম এসব।

সাধারণত ফল গাছের জন্য হাফ ড্রাম ব্যবহার করা উচিত। এর তলদেশে অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশনের জন্য ১ ইঞ্চি ব্যাসের ৫-৬টি ছিদ্র রাখতে হবে। ছিদ্রগুলোর ওপর মাটির টবের ভাঙা টুকরো বসিয়ে দিতে হবে। ড্রামের তলদেশে ১ ইঞ্চি পরিমাণ ইটের খোয়া বিছিয়ে তার ওপর বালি দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। সমপরিমাণ দো-আঁশ মাটি ও পচা গোবরের মিশ্রণ দিয়ে ড্রামটির দুই-তৃতীয়াংশ ভরার পর হাফ ড্রাম অনুযায়ী ড্রাম প্রতি মিশ্র সার আনুমানিক ৫০-১০০ গ্রাম প্রয়োগ করে মাটির সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে দিতে হবে এবং সম্পূর্ণ ড্রামটি মাটি দিয়ে ভর্তি করে নিতে হবে। ১৫ দিন পর ড্রামের ঠিক মাঝে মাটির বল পরিমাণ গর্ত করে কাঙ্ক্ষিত গাছটি রোপণ করতে হবে। এ সময় চারা গাছটির অতিরিক্ত শিকড়-মরা শিকড়গুলো কেটে ফেলতে হবে এবং খেয়াল রাখতে হবে মাটির বলটি যেন ভেঙে না যায়। রোপিত গাছটিতে খুঁটি দিয়ে বেঁধে দিতে হবে। রোপণের পর গাছের গোড়া ভালোভাবে পানি দিয়ে ভিজিয়ে দিতে হবে। সময়ে সময়ে প্রয়োজনমতো গাছে পানি সেচ ও উপরি সার প্রয়োগ বালাই দমন ব্যবস্থা নিতে হবে। চাইলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাঠকর্মীদের সহায়তায় টব বা ড্রামে মাটি দেয়ার আগেই মাটি শোধন করে নেয়া যেতে পারে। গাছের বাড়-বাড়তি অনুযায়ী ২ বারে টব প্রতি ৫০-১০০ গ্রাম মিশ্র সার প্রয়োগ করে ভালোভাবে মিশিয়ে দিতে হবে।

রোগ বালাই দমনে যথাসম্ভব রাসায়নিক কীটনাশক পরিহার করা উত্তম। স্বল্প পরিসরের বাগান বিধায় জৈবিক পদ্ধতিতেই শতভাগ রোগ বালাই দমন করা যেতে পারে। একান্তই সম্ভব না হলে পরামর্শ মোতাবেক অনুমোদিত মাত্রায় বালাইনাশক ব্যবহার করা যেতে পারে। কিছুদিন পরপরই গাছের রোগাক্রান্ত ও মরা ডালগুলো ছাঁটাই করতে হবে এবং কর্তিত স্থানে বোর্দপেস্ট লাগাতে হবে। গাছের ধরন অনুসারে নির্দিষ্ট সময়ে বিশেষ পরিচর্যা করতে হবে যেমন কুল খাওয়ার পর ফাল্গুন মাসের মাঝামাঝি গাছের সব ডাল কেঁটে দিতে হবে।

কিছু কিছু জায়গায় ছাদে বাগানের বড় সমস্যা হলো পাখির উপদ্রব বিশেষ করে ফল গাছে। এ সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য উঁচু করে তারের জালি কিংবা জাল দিয়ে পুরো ছাদের ওপর ও পাশটা ঢেকে দেয়া যেতে পারে। প্রতি বছর না হলেও ১ বছর পরপর টবের পুরনো মাটি পরিবর্তন করে নতুন গোবর মিশ্রিত মাটি দিয়ে পুনরায় টবটি-ড্রামটি ভরে দিতে হবে। এ সময় খেয়াল বাখতে হবে গাছ যেন বেশি ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। অপটু হাতে মাটি পরিবর্তন না করিয়ে এ ব্যাপারে দক্ষ মালী বা নার্সারির সহায়তা গ্রহণ করতে হবে।

ছাদ বাগানে নানা উপকরণ সহায়তা করার জন্য বিশেষায়িত নার্সারি ব্যবস্থা গড়ে তোলা প্রয়োজন। তবে এক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখতে হবে পুরো বাগানটাই যেন নার্সারি কর্তৃক স্থাপন, রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ছেড়ে দেয়া না হয়। কারণ ছাদ বাগান পরিবারের সদস্যদের দৈনন্দিন হালকা কায়িক শ্রম ও বিনোদনের উৎস হিসেবেই গড়ে তোলা উত্তম। এতে পরিবারের নতুন সদস্যরা প্রবীণদের কাছ থেকে যেমন ফুল, ফল ও গাছপালা সম্পর্কে জানবে তেমনি নিজের হাতে যত্ন নেয়ায় পরিবেশের প্রতি এক ধরনের ভালোবাসারও জন্ম নেবে। ইটকাঠের শহরে বাস করা প্রজন্মের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন টেলিভিশন মিডিয়ায় প্রচারিত ছাদ বাগান বা অন্যের বাগান স্বচক্ষে দেখার পর অনেকেই ছাদ বাগানে উদ্বুদ্ধ হন। কিন্তু মেলা থেকে আর্কষণীয় ফলন্ত গাছ কিনে এনে করা বাগান বা চুক্তিভিত্তিক নার্সারি দিয়ে স্থাপন করা অনেক বাগানই টেকসই হয় না কেবল বাগানের প্রতি ব্যক্তিগত দরদ তৈরি না হওয়ার দরুন। আর ইউটিউব দেখে বা হঠাৎ টিভি বা বই পুস্তক পড়ে কোন আকর্ষণীয় জিনিস দেখে বাগান করাও যুক্তিযুক্ত নয়। কারণ ব্যতিক্রমী জিনিস উদাহরণ হতে পারে না। যারা ছাদে বাগান করতে চান তারা শুরুটা সব প্রাথমিক নিয়ম মেনে করাই উত্তম। এতে বাগান টেকসই হয়। সময়ের সাথে বাস্তব অভিজ্ঞতা মিলিয়ে বাগানকে নিজের মতো করে গুছিয়ে তোলা যেতেই পারে।

দীর্ঘ সময় ধরে বন-জঙ্গলে ঘুরে বেড়ানো মানুষের সভ্যতায় থিতু হওয়ার সময় মহাকালের হিসেবে অতি নগণ্য। পরিবেশের সাথে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করা মানুষের কিছু অভিযোজিত ক্ষমতা এখনও আমাদের মাঝে বিরাজমান। যে কোনো রঙের তুলনায় আমাদের চোখে সবুজ রঙের পার্থক্যটা বেশি ধরার কারণও এই অভিযোজনের ফলাফল বলে অনেকেই ধারণা করেন। তাই নানা প্রকার সবুজের সমারোহ দেখে আমরা প্রফুল্ল হয়ে উঠি। অসংখ্য শেডের সবুজ রঙ আমাদের একঘেঁয়েমিতে আক্রান্ত করে না। করে উৎফুল্ল। যান্ত্রিক জীবনে ছাদ বাগানের ছোট সবুজ উদ্যান আমাদের সতেজ রাখতে সহায়তা করে। গড়ে তোলে নির্মল পরিবেশ। ছাদ না পেলে বেলকনিতেই গড়ে তুলুন আপন উদ্যান।
 

 

Related Topics

টপ নিউজ

ছাদ বাগান / বাগান / প্রকৃতি

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • সম্ভাব্য বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার ভয়ে পোশাক ক্রেতাদের নতুন শর্ত, উদ্বেগে রপ্তানিকারকরা
  • ঢাকা-কক্সবাজার রুটে চালু হচ্ছে আরও একটি নতুন ট্রেন
  • কিউএস র‌্যাঙ্কিংয়ে বিশ্বসেরা ১ হাজার টেকসই বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় ঢাবি ৬৩৭তম
  • এমএফএস অ্যাকাউন্টে রেমিট্যান্স পাঠানোর সীমা বাড়িয়ে দ্বিগুণ করল বাংলাদেশ ব্যাংক
  • বৃহস্পতিবার থেকে রাজধানীতে ৬৫০ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি হবে
  • ‘তওবা-আস্তাগফিরুল্লাহ’- বিএনপিতে ফেরার প্রশ্নে শাহজাহান ওমর, ডিবিপ্রধানের সঙ্গে ভোজের ভিডিও ভাইরাল

Related News

  • অরণ্যের দিনরাত্রি......
  • প্রকৃতির প্রতি সদয় হয়ে শহরগুলো যেভাবে গড়ে তোলা যায়
  • প্রজনন মৌসুমে তালগাছের অভাবে ভালো নেই বাবুই পাখি
  • ছাদ বাগান করলে হোল্ডিং ট্যাক্স এ ১০% ছাড়: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
  • উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রকৃতির ক্ষতি করা উচিত নয়: প্রধানমন্ত্রী

Most Read

1
অর্থনীতি

সম্ভাব্য বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার ভয়ে পোশাক ক্রেতাদের নতুন শর্ত, উদ্বেগে রপ্তানিকারকরা

2
বাংলাদেশ

ঢাকা-কক্সবাজার রুটে চালু হচ্ছে আরও একটি নতুন ট্রেন

3
বাংলাদেশ

কিউএস র‌্যাঙ্কিংয়ে বিশ্বসেরা ১ হাজার টেকসই বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় ঢাবি ৬৩৭তম

4
অর্থনীতি

এমএফএস অ্যাকাউন্টে রেমিট্যান্স পাঠানোর সীমা বাড়িয়ে দ্বিগুণ করল বাংলাদেশ ব্যাংক

5
বাংলাদেশ

বৃহস্পতিবার থেকে রাজধানীতে ৬৫০ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি হবে

6
বাংলাদেশ

‘তওবা-আস্তাগফিরুল্লাহ’- বিএনপিতে ফেরার প্রশ্নে শাহজাহান ওমর, ডিবিপ্রধানের সঙ্গে ভোজের ভিডিও ভাইরাল

EMAIL US
[email protected]
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2023
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - [email protected]

For advertisement- [email protected]