Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা
tbs
THURSDAY, AUGUST 18, 2022
THURSDAY, AUGUST 18, 2022
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
বাংলাদেশ উন্নয়ন সম্পর্কে অন্যদের যা শেখাতে পারে

মতামত

ডেভিড পিলিং, ফিন্যান্সিয়াল টাইমস
29 July, 2022, 02:55 pm
Last modified: 29 July, 2022, 04:57 pm

Related News

  • বাংলাদেশ সংকটের মধ্যে নেই: আইএমএফ
  • বাংলাদেশের মানুষ বেহেস্তে আছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
  • চলতি বছর বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ১৫ শতাংশে নামতে পারে 
  • সুইস ব্যাংকের কাছে কখনো সুনির্দিষ্ট তথ্য চায়নি বাংলাদেশ: রাষ্ট্রদূত
  • ‘এলেই যখন, দুটো টাকা দিয়ে যাও’..ফুটপাতে বাংলাদেশি শরণার্থীদের জন্য সাহায্য চাইতেন ঋত্বিক ঘটক

বাংলাদেশ উন্নয়ন সম্পর্কে অন্যদের যা শেখাতে পারে

বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে কী অর্জন করা সম্ভব বাংলাদেশ সেই চিত্রই তুলে ধরে।
ডেভিড পিলিং, ফিন্যান্সিয়াল টাইমস
29 July, 2022, 02:55 pm
Last modified: 29 July, 2022, 04:57 pm
ছবি: সনি রামানি

এমন একটি দেশের নাম বলুন তো যাদের মাথাপিছু আয় ৫০০ মার্কিন ডলারেরও কম। যেদেশে নারীদের গড়ে সন্তান সংখ্যা ৪.৫ জন এবং দেশের ৪৪ শতাংশ মানুষ চরম দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করে? উত্তরটি হলো ৯০-এর দশকের বাংলাদেশ।

এতসব সমস্যা জর্জরিত সেই দেশটিই আজ অনেকখানি বদলে গেছে। মাথাপিছু জিডিপি বেড়েছে আটগুণ। নারীদের গড়ে সন্তান সংখ্যা দুইজন। অর্থাৎ, প্রতিটি সন্তানের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও তাদের ভালো রাখতে বাবা-মা এখন আরও বেশি ব্যয় করতে পারেন। ব্যাংকগুলোর কাছে শিল্পখাতে বিনিয়োগের মতো সঞ্চয়ও বেড়েছে।

দেশের নারীদের অবস্থানেও ঘটেছে ব্যাপক পরিবর্তন। মাধ্যমিকে এখন ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের সংখ্যাই বেশি। ১৯৭১ সালে দেশটি যখন স্বাধীন হয়, তখন প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন শিশু পাঁচ বছর পূর্ণ করার আগেই মারা যেত। বর্তমানে এই হার ৩০ জনের মধ্যে একজন শিশুতে নেমে এসেছে।

বাড়িয়ে বলা উচিত হবে না। বাংলাদেশ এখনও দরিদ্র একটি দেশ। রাজনৈতিক অস্থিরতা, পরিবেশগত ঝুঁকির পাশাপাশি দেশটিতে দুর্নীতির মাত্রাও অনেক বেশি। চলতি সপ্তাহেই দেশটি কয়েক বিলিয়ন ডলার ঋণগ্রহণে আইএমএফের দ্বারস্থ হয়েছে। কিন্তু যদি আরও বড় পরিসরে বাংলাদেশকে দেখা হয় তাহলে হেনরি কিসিঞ্জারের কাছে একসময় 'তলাবিহীন ঝুড়ি' আখ্যা পাওয়া উপেক্ষিত দেশটি এখন উন্নয়নের সফল এক দৃষ্টান্ত।

যদিও খুব কম সময়েই দেশটিকে উন্নয়নের উদাহরণ হিসেবে উপস্থাপিত করা হয়, তবু আফ্রিকার বহু দেশই বাংলাদেশ থেকে শিখতে পারে। দক্ষিণ কোরিয়া ও সিঙ্গাপুরের কথা প্রায়ই উল্লেখ করা হলেও আফ্রিকার কোনো দেশ তাদের সাফল্যের ধারেকাছেও পৌঁছায়নি।

বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে কী অর্জন করা সম্ভব বাংলাদেশ সেই চিত্রই তুলে ধরে। যারা অতীত থেকে ভবিষ্যদ্বাণী করে, এমনকি পুরো মহাদেশকেই বাতিলের খাতায় ফেলে দেয় তাদের ভুলও ধরিয়ে দিবে এই দেশ।

মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে পাকিস্তান থেকে স্বাধীনতা লাভ করে বাংলাদেশ। কিন্তু সেই রেশ না কাটতেই দুর্ভিক্ষ ও রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের মতো বর্বর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে দেশটিকে যেতে হয়। সেই অপ্রত্যাশিত জায়গা থেকে শুরু করেই বাংলাদেশ আজ সাফল্যের এক নিদর্শনে পরিণত হয়েছে।

অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির ডেভেলপমেন্ট ইকোনমিস্ট স্টেফান ডারকন বাংলাদেশের উন্নয়নের পেছনে তিনটি প্রধান কারণ চিহ্নিত করেছেন। প্রথমে রয়েছে দেশটির টেক্সটাইল শিল্প যার রপ্তানি ১৯৮৪ সালে ৩২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে বেড়ে আজ ৩৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে। ২০২০ সালে বাংলাদেশ ৫৪টি আফ্রিকান দেশের সম্মিলিত পোশাক রপ্তানি আয়ের তুলনায় দ্বিগুণ আয় করেছে।

দ্বিতীয়টি হল রেমিটেন্স। বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশিরা গত বছর ২২ বিলিয়ন ডলার দেশে পাঠিয়েছে। তৃতীয়ত, ব্র্যাক এবং গ্রামীণ ব্যাংকের মতো বেসরকারি সংস্থার ভূমিকা, যারা দরিদ্র জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে সহায়তার মাধ্যমে সামাজিক নিরাপত্তা প্রদান করে।

ডেরকন তার গ্যাম্বলিং অন ডেভেলপমেন্ট বইয়ে লিখেছেন, এর কোনোটির পেছনেই সরকারের কোনো বৃহৎ পরিকল্পনা ছিল না। বরং সরকার সেখান থেকে দূরেই ছিল। উদাহরণস্বরূপ, সদ্যজাত টেক্সটাইল শিল্পে সরকার যেমন হস্তক্ষেপ করেনি, তেমনি এনজিওগুলোকেও বিনা বাধায় কাজ করতে দেয় তারা।

সত্যি বলতে বাংলাদেশ নিজেদের সস্তা শ্রম ব্যবহার করে উন্নতি করেছে। কখনও কখনও এর জন্য ভয়ঙ্কর মূল্যও দিতে হয়েছে। ২০১৩ সালে রানা প্লাজা ট্র্যাজেডিতে এক হাজারের বেশি গার্মেন্টস কর্মী মারা যায়। তবে ব্রিটেনের ভিক্টোরিয়ান আমলের চরম অস্বাস্থ্যকর ও বিশৃঙ্খল বস্তিগুলোই হোক কিংবা জাপানের মিনামাটা মার্কারি বিষের কেলেঙ্কারি, প্রতিটি শিল্পোন্নত দেশকেই এধরনের ভয়াবহতার মধ্য দিয়ে কখনো না কখনো যেতে হয়েছে।

রেনেসাঁ ক্যাপিটালের প্রধান অর্থনীতিবিদ চার্লি রবার্টসনও বাংলাদেশের উন্নয়ন সাফল্যের পেছনে তিনটি বিষয়কে চিহ্নিত করেছেন। এগুলো হলো- সাক্ষরতা, বিদ্যুৎ এবং জন্মহার। রবার্টসন তার দ্য টাইম ট্রাভেলিং ইকোনমিস্ট বইতে তিনি বলেন, 'শিল্পোন্নয়ের পূর্বশর্ত হল প্রাপ্তবয়স্কদের সাক্ষরতার হার ৭০ শতাংশের ওপরে থাকা, প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য ৩০০ কিলোওয়াট ঘন্টার ওপর বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং জন্মহার তিনটি শিশুর কম থাকা- বাংলাদেশ এই সবগুলো পরীক্ষায় উত্তীর্ণ'।

অনেক আফ্রিকান দেশেই সাক্ষরতার হার ৭০ শতাংশের ওপর, যার অর্থ তাদের কারখানা পরিচালনার মতো দক্ষ জনশক্তি রয়েছে। কিন্তু খুব কম দেশই নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারে। বেশিরভাগ দেশ যেমন গিনি বিসাউ (মাথাপিছু ২১ কিলোওয়াট ঘণ্টা) থেকে ইথিওপিয়া (৮২ কিলোওয়াট ঘণ্টা) এবং নাইজেরিয়া (১৫০ কিলোওয়াট ঘণ্টা) রবার্টসনের ৩০০ কিলোওয়াট ঘণ্টার শর্তপূরণে ব্যর্থ।

রবার্টসনের প্রজনন হারের ওপর জোর দিয়ে বলেছেন সন্তানসংখ্যা ৩ জনের কমে না আসলে উন্নয়ন সম্ভব নয়।  এটি বেশ বিতর্কিত হলেও তার দাবি পরিবারের আকার ও সঞ্চয়ের সঙ্গে শিল্পের জন্য ব্যাংক ঋণের প্রাপ্যতার একটি সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশের জিডিপিতে ঋণের হার ৩৯ শতাংশ যেখানে নাইজেরিয়ায় তা মাত্র ১২ শতাংশ। নাইজেরিয়ার প্রজনন হার যেখানে ৫.২ সেখানে বাংলাদেশের নারীদের প্রজনন হার গড়ে স্রেফ ২ শিশু।

৩-এর নিচে প্রজনন হার থাকা আফ্রিকান দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে বতসোয়ানা, মরিশাস, মরক্কো এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। এই দেশগুলো মহাদেশের সবচেয়ে ধনী রাষ্ট্র। তার পেছনে অবশ্য কারণও রয়েছে, তবু এই দুটো বিষয়ের সম্পর্ক বেশ প্রকট। আফ্রিকার অন্যান্য দেশের মধ্যে মধ্যম আয়ের কেনিয়ার প্রজনন হার ৩.৪, যেখানে বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্রতম দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম নাইজারের প্রজনন হার ৬.৭।

দক্ষিণ কোরিয়া ১৯৭৫ সালে যে জায়গায় ছিল, বাংলাদেশ আজ সেস্থানে দাঁড়িয়ে রয়েছে। বেশ কয়েকটি দেশ রবার্টসনের শর্তগুলো পূরণ করে বা পূরণ করার কাছাকাছি অবস্থানে রয়েছে। সৎ ও দূরদর্শী সরকার নিশ্চিতভাবেই উন্নয়নের পথে অপরিসীম ভূমিকা রাখে। তবে বাংলাদেশ দেখায় যে শ্বাপদসংকুল হলেও উন্নয়নের লক্ষ্যে চলার একটি কঠিন পথ রয়েছে।


  • লেখক পরিচিতি: ডেভিড পিলিং দ্য ফিন্যান্সিয়াল টাইমস পত্রিকার আফ্রিকা বিষয়ক সম্পাদক

Related Topics

টপ নিউজ

বাংলাদেশ / বাংলাদেশের উন্নয়ন

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • বিদেশি মদের আমদানি নিয়ন্ত্রণ করায় বেড়েছে কেরুর চাহিদা 
  • দেশের প্রথম বেসরকারি ফিল্ম সিটি: সিনেমা, ওয়েব সিরিজ, বিজ্ঞাপনের শুটিংয়ে সরগরম ৯ ফ্লোর ও স্টুডিও
  • উত্তরায় গাড়ির ওপর বিআরটি প্রকল্পের গার্ডার চাপা পড়ে নিহত ৫
  • প্যাসিফিক জিন্সের কারখানায় চালু হলো ৩.৫ মেগাওয়াটের সোলার পাওয়ার প্লান্ট 
  • কলেজছাত্রকে বিয়ে করা সেই শিক্ষিকার মরদেহ উদ্ধার
  • পদ্মা সেতুতে নির্মিত হচ্ছে দেশের প্রথম ব্যালাস্টলেস রেলপথ

Related News

  • বাংলাদেশ সংকটের মধ্যে নেই: আইএমএফ
  • বাংলাদেশের মানুষ বেহেস্তে আছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
  • চলতি বছর বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ১৫ শতাংশে নামতে পারে 
  • সুইস ব্যাংকের কাছে কখনো সুনির্দিষ্ট তথ্য চায়নি বাংলাদেশ: রাষ্ট্রদূত
  • ‘এলেই যখন, দুটো টাকা দিয়ে যাও’..ফুটপাতে বাংলাদেশি শরণার্থীদের জন্য সাহায্য চাইতেন ঋত্বিক ঘটক

Most Read

1
অর্থনীতি

বিদেশি মদের আমদানি নিয়ন্ত্রণ করায় বেড়েছে কেরুর চাহিদা 

2
ফিচার

দেশের প্রথম বেসরকারি ফিল্ম সিটি: সিনেমা, ওয়েব সিরিজ, বিজ্ঞাপনের শুটিংয়ে সরগরম ৯ ফ্লোর ও স্টুডিও

3
বাংলাদেশ

উত্তরায় গাড়ির ওপর বিআরটি প্রকল্পের গার্ডার চাপা পড়ে নিহত ৫

4
বাংলাদেশ

প্যাসিফিক জিন্সের কারখানায় চালু হলো ৩.৫ মেগাওয়াটের সোলার পাওয়ার প্লান্ট 

5
বাংলাদেশ

কলেজছাত্রকে বিয়ে করা সেই শিক্ষিকার মরদেহ উদ্ধার

6
বাংলাদেশ

পদ্মা সেতুতে নির্মিত হচ্ছে দেশের প্রথম ব্যালাস্টলেস রেলপথ

The Business Standard
Top

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - [email protected]

For advertisement- [email protected]

Copyright © 2022 THE BUSINESS STANDARD All rights reserved. Technical Partner: RSI Lab