প্রায়শ্চিত্ত

মতামত

সর্বাণী বন্দ্যোপাধ্যায় 
09 August, 2020, 05:40 pm
Last modified: 09 August, 2020, 09:33 pm
শুকনো মাটি, রোলার পিচ চালিয়ে পেটানো রাস্তা, কাল বৃষ্টি বিশেষ হয়নি, তবুও এখন কিরকম কাদা কাদা ভাব আর হাল্কা আঁশটে গন্ধ, এই বুঝি পিছলে গেলাম! হয়ত কাল শঙ্খগুলো থেকে অনেক রক্ত ঝরেছে।

"চলো যাই। শুনলাম এক নতুন দেশ জন্মাল। নাম আজব দেশ। খুব ইচ্ছে হচ্ছে এই দেশটা একবার ঘুরে আসতে", আমার পাড়াপড়শীরা বলছে। আমরা থাকি প্রায়শ্চিত্ত নামক দেশে। 

"এই" আমায় বলল "তুইও চল আমাদের সাথে। কী যে করিস সারাক্ষণ কে জানে! চল, আমাদের সাথে বেড়িয়ে আসবি।"

অগত্যা বেরিয়ে পড়তে হল। এটাই সুযোগ। সুবর্ণ সুযোগ, কারণ আজব দেশ থেকে আমন্ত্রণ এসেছে। প্রায়শ্চিত্ত, আর আরও দু-চারটে দেশের নাগরিকদের বিনা কাগজপত্রেই একদিনের এই উৎসবে যোগদানের আমন্ত্রণ করা হয়েছে। 

আজব দেশ আগেও ছিল। কিন্তু তার পুনর্জন্ম নাকি এই কদিন আগে হল। প্রকৃত জন্ম। স্বাধীনতা পেল এই। তাই আনন্দ উৎসব। আমরা পৌঁছোলাম আজব দেশে; অতিথিরা ওখানে নাকি ভগবানসম। ভালো লাগল জেনে। 

শঙ্খধ্বনি, উলুধ্বনি, ঢাকের আর ঘন্টার আওয়াজে, আর ধর্মীয় শ্লোক ও মন্ত্রের ধ্বনিতে মেঘের তীব্র গর্জনও হার মেনে যাচ্ছে। মানুষের ঢল নেমেছে। চারিদিকে উল্লাস। নতুন সৃষ্টির আনন্দে সবাই উল্লসিত। ঘরে বাইরে, পথে ঘাটে, ধর্মস্থানে, স্কুল কলেজে, অফিস-কাছারিতে সর্বত্র এই একই চিত্র । এক প্রতিষ্ঠানের সাথে অন্য প্রতিষ্ঠানকে আলাদাই করা যাচ্ছে না। সকাল থেকে অনেক রাত্রি অবধি চলল উৎসব। আমার মনে পড়ে গেল, ভারত নামের এক দেশ যখন স্বাধীন হল, তখন সেই দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর বক্তৃতা, A tryst with destiny: "Long years ago we made a tryst with destiny, and now the time comes when we shall redeem our pledge, not wholly or in full measure, but very substantially. At the stroke of the midnight hour, when the world sleeps, India will awake to life and freedom."

গায়ে একটু কাঁটা দিয়ে উঠলো। আমার সাথে আমার প্রতিবেশীরা যাঁরা এসেছেন তাঁরাও খুব খোশ মেজাজে দেখে বেড়াচ্ছেন। তারপর আমরা আমাদের হোটেলের যে যার কামরায় ঢুকে গেলাম। আমার ঘুম আসছে না। বার বার 'এ ট্রিস্ট উইথ ডেসটিনি'-র সেই গায়ে কাঁটা দেওয়া শব্দগুলো কানে বাজছে। কেন? এই দেশ তো অন্য নতুন একটি দেশ; আমরা কেবল ঘুরে দেখে চলে যাবো। কাল। তবুও ঘুম আসছে না। বিছানায় পড়ে আছি, আর হোটেলে রাখা ভাষার ম্যানুয়াল পড়ছি। ভাষাটা খানিকটা জানা। তবুও ভাঙা ভাঙা জানি, তাই-। একসময় উঠে পড়লাম। নাহ্‌, এবার বেরোই, ভোরের আলো তখন ফুটছে। কিন্তু তখনই বেশ কয়েকজন সাফাইকর্মী-কে দেখলাম। কী মনে হলো আমি নেমে এলাম।  

বেরিয়ে খানিকটা যেতে দেখলাম রাস্তা ধোয়ানো হচ্ছে। আলো ফুটেছে। রাস্তা ধোয়ানো হচ্ছে, আর আমি তার পাশে একটি নালার ধার দিয়ে হেঁটে যাচ্ছি। তবে নালাটার জল দেখে খটকা লাগলো।  লাল লাগছে। আর কী সব ভাসছে। ভাবলাম আগের দিনের উৎসবের নানা কিছু পড়েছিল নালায়, হয়ত তাই এইরকম লাগছে জলটাকে। বেশ ভালো লাগছে হাঁটতে। ঐ বদ্ধ ঘরে থেকেই এইসব মন অসুস্থ করা ভাবনা আসছিলো বুঝলাম। তাই ঠিক করলাম শহরটা ঘুরে দেখি। অনেকটা হাঁটার পর একটা বস্তি দেখলাম। একদম শান্ত। গতকালের সেই উৎসবের রেশটুকুও নেই? স্বাধীনতার উল্লাস কি খালি এই ক'ঘন্টার? ভাবলাম। আমায় তো অনেকেই বলে এসেছে আমার বাঁকা সব ভাবনা চিন্তা, তাই আর ভাবলাম না।  

তবুও কী মনে হলো, একটু এগিয়ে আবার ফেরত গেলাম। বস্তিটায়। একটা পচা গন্ধ কোথাও ভাসছে। ওই ছোট ছোট ঘরগুলোর থেকে মনে হলো। ঘুরে দেখতে গেলাম, একটি ছায়া দেখলাম। কাছে যেতেই বুঝলাম ছায়াটি একটি পুরুষ মানুষ। খানিকটা ভাঙা ভাঙা আজব দেশের ভাষায় জিজ্ঞেস করলাম, "কী হয়েছে!" বুঝতে মোটামুটি পারি, বলতে একটু অসুবিধে হয়। চোখ মুখ দেখে বুঝলাম ভয়ে আছে সে। উত্তরের দরকার পড়লো না। লোকটাকে নিয়ে হাঁটা দিলাম সোজা। সে আর চলতে পারছিলো না। রাস্তার ধারে বসলাম। আমার দিকে তাকিয়ে বুঝলো আমি এদেশের নই। নিজেকে খানিকটা সামলে নিয়ে সে বলল "কাল এই আনন্দ উৎসবে আমরা সবাই গেছিলাম। এই দিনের জন্য আমরা তো কম পরিশ্রম করিনি, বছরের পর বছর মানুষদের বোঝানো, কেন নতুন দেশ, নতুন সমাজ, নতুন জীবন ধারার প্রয়োজন।" লোকটি বলতে লাগলো। আমি জিজ্ঞেস করলাম "হ্যাঁ তা তো ভালো কথা, তা ভয়ে একেবারে সিঁটিয়ে গেছো কেন?" 

"আমরা মেথর। আমি রাজু, আমার বাবা গনেশ প্রথম এই নতুন দেশ গড়ার কাজে আসে। আমি তার হাত ধরে আসি। আমার মতো হাজার হাজার লোক এই শিক্ষা-শিবিরগুলোতে এসে কাজ করতে শুরু করে; গ্রামে গ্রামে, শহরে শহরে ঢুকে গিয়ে কত কত বছর ধরে তারা এই কাজ করেছে। ভাবতে শুরু করেছিলাম, আমরা সবাই এক; এই দেশের সন্তান। ম্লেচ্ছগুলোকে দূর করে, নতুন দেশে আমরাই হবে নিজেদের রাজা। অনেক ম্লেচ্ছদের শেষ করেছি। ওদের কত বসতিও উজার করে দিয়েছি। আমরা করেছি। তাই এই নতুন দিনের উৎসবে তো আমাদেরই হক বেশী, তাই না? আচ্ছা, তুমি কোথাকার!" আমায় জিজ্ঞেস করলো রাজু। আমি বললাম "আমি প্রায়শ্চিত্ত থেকে এসেছি"। রাজু বললো "আচ্ছা, যাই হোক, নাম কী?" বললাম "লোকে বলে পাগল, তা আমায় পাগলা বলেই ডাকতে পারো। এবার তোমার কথা বলো।"  

"কাল যখন এই স্বপ্নপূরণ হবার সময় এলো, তখন ওই উৎসবে আমরাও ছিলাম, আমাদের সমাজের লোকেরা সবাই। আমাদের একটি ছোট মেয়ে ঠাকুরের বেদির কাছ থেকে একটি শঙ্খ তুলে আনল আর খুব সুন্দর করে অনেকক্ষণ ধরে বাজালো। হঠাৎ সবাই থেমে গেলো মেয়েটিকে দেখে। আমরা কোথায় থাকি জেনে আমাদের বাড়ি পাঠিয়ে দিলো। বললো, ওখানেই থাক আর গিয়ে কাজ নেই তোদের। তার খানিকক্ষণ পরে আমি বেরোলাম খাবারের খোঁজে। প্রসাদ কখন  পাবো! আপাতত বাচ্চা আর বুড়ি মা-কে কিছু খাবার এনে দিই। এসে দেখি বস্তির সব ঘর এর দরজাগুলো বাইরে থেকে শিকল ওঠানো, বন্ধ। আমার ঘরের দরজা খুলে ভেতরে যেতেই পড়ে গেলাম। হাতড়ে আলো জ্বালিয়ে দেখলাম, আমার পরিবারের সবাই মেঝেতে পড়ে আছে, রক্তে মেঝেটা ভিজে গেছে আর বিচ্ছিরি গন্ধ বেরোচ্ছে। ওরা সবাই মরে গেছে, মেরে ফেলেছে। পাশের বাড়িটির মেয়েটি কেমন আছে, মনে হতেই গেলাম- ওই তো যে শঙ্খ বাজালো! বাহ কি সুন্দর, কতক্ষণ দম ধরে রেখে একটানা বাজালো! ওর হাতটা কাটা, দেখলাম গলাটাও কাটা। ওটা শাস্তি ছিল। বুঝলাম। কোথায় যাই এখন?"

আমার গা গুলিয়ে উঠলো সব শুনে। আমি বললাম, "মেয়েটির শাস্তি হয়েছে কেন মনে করলে?"

রাজু বললো "তা নয়তো কী? মেথর, চামার এসব হয়ে ওদের ঠাকুরের শঙ্খ নিলে তো হবেই। যা এতগুলো বছর ধরে বুঝিনি তা এই ক'টা ঘন্টায় বুঝলাম; আমরা আর ওরা কখনোই এক হতে পারবো না। আমাদের তো এখনো কিছু ঘাটতি রয়ে গেছে।" 

আমি হতবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম, "তুমি মনে করো তোমাদের মধ্যে ঘাটতি রয়ে গেছে!"

রাজু বললো, "হ্যাঁ মেথর তো। যাই করি সেই মেথরই তো থেকে যাবো আমরা, আমাদের বাকি সব প্রজন্ম, যেমন আমি থেকে গেলাম মেথর!" হঠাৎ মুচকি হেসে আমার গায়ে হাত দিয়ে বললো, "আমার বাপও মেথরই ছিল শেষ অবধি, বুঝলে? ম্লেচ্ছ জবাই করা আর এখানে সংগঠনকে পাকাপোক্ত করার পরও-। মেথরই থেকে গেলাম শালা! "

আমার নালার জলের কথা মনে পড়ে গেল। জিজ্ঞেস করলাম, "আচ্ছা রাজু ওই যে দূরে একটা বড় বাড়ি দেখছো, ওর কাছে একটা হোটেল আছে, ওখানে আমরা কজন পর্যটক এসেছি আর ওখানে উঠেছি"। ও বললো "হ্যা, জানি হোটেলটা। ওখান থেকে একটু এগিয়েই তো সেই ম্লেচ্ছ পাড়াটা ছিল।" আমি বললাম "ওখানে একটা নালা আছে, আজ ভোরে বেরিয়ে দেখলাম রাস্তা ঘাট পরিষ্কার করছে তবে নালা টার জল লালচে। আর কীসব ভাসছে। কেন জানো?" রাজু একটু খইনি পুরলো মুখে। কিছু বলল না। প্রশ্নটা করেই কিরকম অসুস্থ বোধ করতে লাগলাম। এতক্ষন দেখিনি, নালাটার থেকে খানিক এগিয়ে সেই কালকের আনন্দ উৎসবের ফুল, মালা সব এখনো পড়ে আছে। এই যেখানে বসে রাজুর সাথে কথা বলছি, এমনকি ওর বস্তির রাস্তায়, সব জায়গাতেই উৎসবের চিহ্নগুলো নিজেদের অস্তিত্বের জানান দিচ্ছে এখনো। 

আমি উঠে দাঁড়ালাম। এবার রওনা দেবো নিজের দেশে; হোটেলের লোকেদের সঙ্গে নিয়ে। রাজু বলে উঠলো, "আমায় নিয়ে যাবে তোমাদের সঙ্গে? মেথরের কাজে আসতে পারবো।" আমি ঘুরে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকলাম খানিকক্ষণ, তারপর বললাম "আচ্ছা এসো। তবে রাজু, ওখানের ব্যবস্থা একটু আলাদা, ভালো একদমই নয়, তবে মেথর বলে এই যে তোমাদের যা হলো শাঁখ বাজানো নিয়ে, ওরকম ঠিক সচরাচর হয়না। তবে ওখানে এসব সুপ্ত ভাবে থাকে, খুব সূক্ষ্মভাবে হয়, ধরাটা একটু মুশকিল। তবে হয়তো এই আজব দেশের দিকেই এবার এগোবো আমরাও। রাখা ঢাকা, শাক দিয়ে মাছ ঢাকার প্রয়োজনও থাকবে না। ম্লেচ্ছদেরও দিনের আলোয় পিটিয়ে মারবো, পুড়িয়ে মারবো, ধর্ষণ করবো। এগোব ওদিকেই। যাই হোক, তুমি কি আসবে হোটেল অবধি? নাকি এখানেই থাকবে? যাবার পথে তোমায় নিয়ে নেবো?" রাজু বললো "না আমি তোমার সাথে যাই। হোটেলের দিকে। বেরোনোর সময় আমি তোমাদের সাথে যাবো।" 

আমি হেঁটে ফেরত যাচ্ছি। এখনো পরিষ্কারের কাজ চলছে। দেখলাম যে জঞ্জাল কুড়ানো হচ্ছে, ইঁট, সিমেন্টের চাঁই, পোশাক-আশাক ইত্যাদি সব বড় একটা গাড়িতে তোলা চলছে। এখান থেকে একটু এগিয়েই সেই ম্লেচ্ছ পাড়াটা ছিল। ওই যেটার কথা রাজু বলে গেল।  

হোটেলে পৌঁছাতেই বাকিরা স্বস্তির নিশ্বাস ফেললো। "এই যে কোথায় হয়েছিল যাওয়া?" বললাম "এই একটু বেরিয়ে দেখে এলাম। চলো যাবে তো এবার ফেরত?" সবাই বললো "হ্যাঁ, একদিনের  জন্যই তো আসতে দিয়েছিলো বিনা পাসপোর্ট ভিসাতে।  এবার যাবার পালা। বেশ ভালো ছিল না রে কালকের সব অনুষ্ঠান?" আমি বললাম "হ্যাঁ ছিল, চলো বেরোই। এখানে আমার এক চেনা বেরিয়েছে, আমি তাকে আমার সাথে নিয়ে যাই। দু-চার দিন থেকে আবার চলে আসবে। কাকিমা, তুমি একটু ব্যবস্থা করে দিয়ো না, তোমার তো দু'দিকের সরকারের সাথে দারুন যোগাযোগ!" কাকিমা বললো "দাঁড়া। তোর কাকাকে একটা ফোন করি। আর কী, তাকে নিয়ে আয় একবার,  দেখি সে কে? কিরকম। যাচাই করতে হবে তো।"

আমি বললাম "চলো । বেরোবার সময় ও বললো এসে যাবে। ভালো লোকটা।  সব গুছিয়ে নিয়ে চলো, সে হয়তো এসে দাঁড়িয়ে আছে।" 

গোছাতে ঘন্টা খানেক লেগে গেলো, জলখাবার খেয়ে বিল চুকিয়ে বেরোলাম। রাজুর দেখা নেই। অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে বাকিরা বিরক্ত হয়ে গেলো। আমি বললাম "তোমরা এগোও, আমি আসছি।"

কিছু সাফাইকর্মী তখনও শেষ কিছু কুড়াচ্ছে। আমি জিজ্ঞেস করলাম, আমার সাথে যে লোকটি এসেছিলো তাকে কি তারা দেখেছে! বললো হ্যাঁ, সে ওইদিকেই গেলো, যেখান থেকে ওরা জঞ্জাল কুড়াতে কুড়াতে আসছে। সে সোজা চলে গেলো তবে ঠিক কোথায় ওরা বলতে পারলো না। আমি আর খানিকক্ষণ অপেক্ষা করে চলে আসলাম।  

বাকিদের সাথে দেখা হলো। একসাথে সবাই আজব দেশ থেকে প্রায়শ্চিত্তে ফিরছি। ফেরাটা যেন অনেক সময় নিচ্ছে। শুকনো মাটি, রোলার পিচ চালিয়ে পেটানো রাস্তা, কাল বৃষ্টি বিশেষ হয়নি, তবুও এখন কিরকম কাদা কাদা ভাব আর হাল্কা আঁশটে গন্ধ, এই বুঝি পিছলে গেলাম! হয়ত কাল শঙ্খগুলো থেকে অনেক রক্ত ঝরেছে। আর কিরকম যেন মনে হচ্ছে রাস্তাটার নীচ থেকে কারা যেন খুব নাড়া দিচ্ছে; বেরোবার বা কিছু বলবার চেষ্টা করছে; ঠিক শান্তি করে রাস্তা দিয়ে হাঁটা যাচ্ছে না। ফিরে দেখলাম আমার প্রতিবেশীরাও আমারই মতো অস্বস্তি নিয়ে রাস্তা দিয়ে হাঁটার চেষ্টা করছে। "এই পাগলা, রাস্তাটা কি খারাপ আছে আজ, কাল তো ছিল না! কিরকম মনে হচ্ছে একবার টেনে নিচ্ছে আর একবার ফেলে দিচ্ছে! কী অদ্ভুত, সত্যিই আজব দেশ তো"। সবাই তাড়াতাড়ি পা চালাচ্ছি, কিন্তু রাস্তাটা যেন খালি টেনে ধরছে আমাদের। কী বলতে চাইছে এই রাস্তা? প্রায়শ্চিত্তকে সাক্ষী রাখতে চাইছে, কী ঘটে গেছে আর কী ঘটতে চলেছে এই আজব দেশে!

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.