তামিলনাড়ুর সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতির এতো পার্থক্য কেন?

মতামত

08 April, 2021, 09:20 pm
Last modified: 08 April, 2021, 09:21 pm
তামিলনাড়ুর স্থানীয় রাজনীতিবিদরা যদিও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালনের দিক থেকে কোনভাবেই পিছিয়ে নেই, কিন্তু রাজনৈতিক জনসভাগুলোতেও দেখা গেছে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিবিদদের মতো অন্য ধর্মকে আক্রমণ করার বিষয়টা সামনে আসেনি।

তামিলনাড়ুর ২৩৪টি আসনের রাজ্য নির্বাচন সম্পন্ন হল গত ৬ এপ্রিল। তবে ফলাফল প্রকাশিত হবে পশ্চিমবাংলার সাথে একই দিনে, ২ মে। এটি ১৬তম রাজ্য নির্বাচন। গণমাধ্যমে আসা বিগত কয়েকটি নির্বাচনের সংবাদে দেখা গেছে তামিলনাড়ু একটি বৈচিত্র্যপূর্ণ ভারতীয় রাজ্য। এই রাজ্যটিতে নির্বাচনের সময়ে ভারতের অন্য কোন রাজ্যের মতন এত ব্যাপক উদ্দীপনা সৃষ্টি হয় না। সাধারণ মানুষের জীবন একই গতিতে, স্বাভাবিক ছন্দেই চলেছে, রাস্তায় দেয়ালে তেমন কোন পোস্টার নেই, নেই তেমন কোনো জনসভাও। রাস্তায় রাস্তায় মিছিলও দেখতে পাওয়া যায় না। ফলে অনেকক্ষেত্রেই বোঝা যায় না যে রাজ্যটিতে কোনো নির্বাচন চলছে। বিদেশি পর্যটকরা, বিশেষ করে বাঙালিরা তামিলনাড়ুতে ব্যাপক হারে চিকিৎসার জন্য যাতায়াত করে, এই বাঙ্গালীদের অনেকেই বুঝতে পারে না যে রাজ্যটিতে নির্বাচন চলছে। এর রহস্য কোথায়?

তামিলনাড়ুর জনগণ ভাষা এবং ধর্মে নানানভাবে বিভক্ত। ভারতীয় মুসলিম বিকাশের একটি অন্যতম দ্বার দক্ষিণ ভারতের রাজ্য এ রাজ্য তামিলনাড়ু। আদিকালে এই অঞ্চল দিয়ে জাহাজ চলাচলের ফলশ্রুতিতে তামিলনাড়ুর সঙ্গে আরবীয় মুসলমানদের একটি যোগাযোগ স্থাপিত হয়। এবং এই অঞ্চলে মুসলিম অভিবাসন ও ধর্মান্তরিত হওয়ার ইতিহাস অনেক পুরনো। দক্ষিণ ভারতের কেরালায় একটি মসজিদের সন্ধান পাওয়া যায়, যা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ৬২৯ খ্রিস্টাব্দে। তখন রাসুল হযরত মোহাম্মদ (সা:) জীবিত।

ভারতীয় সমাজে গত কয়েকশো বছরে নানান সময়ে সাম্প্রদায়িকতার ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে, কিন্তু গত ১০০ বছরের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় তামিলনাড়ুতে এই ধরনের সাম্প্রদায়িকতার অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় না। গবেষণায় যে বিষয়গুলো সামনে আসে তা আরও অদ্ভুত। তামিলনাড়ুর প্রথম ভারতীয় ভাষা আন্দোলনের সূতিকাগার। ১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইনের আওতায় ১৯৩৭ সালে যে নির্বাচন ভারতের ব্রিটিশ শাসনের সময় অনুষ্ঠিত হয়েছিল সেই নির্বাচনে জয়লাভ করেছিল কংগ্রেস দল। ১৮৮৫ সালে সনে যখন কংগ্রেস দলটির জন্ম হয় তখনো পুনে সম্মেলনে তামিলনাড়ুর জনগণের পক্ষ থেকে উল্লেখযোগ্য প্রতিনিধিত্ব ছিল। ১৯৩৭ সালের নির্বাচনে কংগ্রেস জয়লাভ করে।

ব্রিটিশ শাসনামলে রাজ্যটির নাম ছিল মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সি। রাজ্যটিতে মোট আসন ছিল ২১৫টি। এর মধ্যে ১৫৯টি আসনে কংগ্রেস জয়লাভ করেছিল। তার পরে পরেই তামিলনাড়ুতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে, কারণ সেসময়কার কংগ্রেসের নেতা -রাজা গোপালাচারী ঘোষণা করেন রাজ্যের আনুষ্ঠানিক ভাষা হবে হিন্দি। অথচ তখন তামিলনাড়ুর মাত্র এক শতাংশ মানুষ হিন্দি ভাষায় কথা বলত। তামিলনাড়ুতে তখন নানান ভাষা প্রচারিত ছিল: তামিল, মালায়লাম, আরবি। অন্তত সাতটা ভাষার চালু থাকার খোঁজ পাওয়া যায় তখনকার সময়। বহুভাষী এই রাজ্যের মূল ভাষা হিন্দি ঘোষণার কারণে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে ওঠে। আন্দোলনের ফলে প্রাণহানীর ঘটনাও ঘটে। এই আন্দোলন দু বছর স্থায়ী ছিল।

১৯৩৯ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শুরুতে কংগ্রেস কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুসারে রাজ্যগুলো থেকে পদত্যাগ করে। ব্রিটিশ গভর্নর জেনারেলের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত কংগ্রেস বিরোধিতা করে। কংগ্রেস মনে করে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ভারতীয় জনগণের কোন স্বার্থসংশ্লিষ্ট নয়, এ কারণেই কংগ্রেস ক্ষমতা থেকে পদত্যাগ করে। অথচ বিপরীতে মুসলিম লীগ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশগ্রহণ করাকে সমর্থন জুগিয়েছিল।

কংগ্রেসের পদত্যাগের ফলে তামিলনাড়ু রাজ্যে গভর্নর শাসন চালু হয়। ফলে ভাষার বিষয়টি স্থগিত হয়ে যায়। তামিলনাড়ুর সেই আন্দোলন দীর্ঘকাল পরে আবার নতুন করে জাগ্রত হয়েছিল ১৯৫০ সালের ২৬ শে জানুয়ারি। যখন ভারতীয় সংবিধান গ্রহণ করা হয়। ভারতীয় সংবিধান গ্রহণ করার সময় ভারতীয় সংবিধানে উল্লেখ ছিল যে ১৫ বছর পরে ভারতের রাজ্যগুলোর ভাষা হবে হিন্দি।

১৯৫০ সালে তামিলনাড়ুর পথ ধরে আরো বহু রাজ্যে সে সময়ে ভাষা আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছিল। পশ্চিমবাংলা, মহারাষ্ট্র, আসাম সর্বত্র এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। উত্তর ভারতের হিন্দি ভাষাভাষী রাজ্যগুলো ছাড়া অন্য সবগুলো রাজ্যে আন্দোলন শুরু হয় এবং এই আন্দোলনের পরিসমাপ্তি ঘটে ১৯৬৫ সালে। ইংরেজি-হিন্দী কেন্দ্রীয় ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি পায়। আর রাজ্যগুলোতে রাজ্যের নিজ নিজ ভাষাকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। তামিলনাড়ু রাজ্য যখন ১৯৩৭ সালে ভাষা আন্দোলন গড়ে তুলেছিল তখন এক অভূতপূর্ব ঐক্য রাজ্যের জনগণের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছিল। তারা রাজ্যের বিভিন্ন ভাষার পরিবর্তে সেই ব্রিটিশ উপনিবেশিক ভাষা ইংরেজিকে প্রতিষ্ঠা করার দাবি তুলেছিল। যদিও সেখানে তামিল ভাষাভাষী মানুষের সংখ্যা ছিল প্রায় ৭০%, তারা নিজেদের মাতৃভাষার পরিবর্তে সমাজের ঐক্যবদ্ধতার লক্ষ্যে ইংরেজি ভাষাকে নিজেদের রাজ্যের ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার দাবি তুলেছিল।

তামিলনাড়ুর সমাজের আজকের ঐক্যবদ্ধতার তার পিছনেও সেই ভাষা আন্দোলন ভূমিকা রেখেছে তাতে কোন সন্দেহ নাই। সেই ভাষা আন্দোলনের ভেতর থেকে রাজ্যের মানুষের মধ্যে যে সামাজিক ঐক্য গড়ে উঠেছিল তাই আজকের তামিলনাড়ুর প্রধান শক্তি। সেই সময়ে রাজ্যটির নাম ছিল মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সি, যা পরে আরও একাধিক রাজ্যে বিভাজিত হয় কিন্তু দক্ষিণের এই রাজ্যগুলো ভারতীয় অর্থনীতি এবং শিক্ষার সর্বোচ্চ অবস্থানে অবস্থান করছে। এই অঞ্চলের একটি রাজ্য কেরালা যেমন শতভাগ শিক্ষায় শিক্ষিত, তেমনি রাজ্যটি ভারতীয় অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তিও। তামিলনাড়ুর নির্বাচন নিয়ে যেমন প্রচার-প্রচারণা নেই, তেমনি হানাহানিও দেখা যায়না। নির্বাচনী সহিংসতার নজির এখানে নেই বললেই চলে। সম্প্রতি সম্পন্ন নির্বাচনে মাত্র চারটি অভিযোগ পত্র নির্বাচন কমিশনের কাছে দায়ের হয়েছে। পক্ষান্তরে পশ্চিমবাংলা সম্ভবত ভারতের সবচেয়ে নির্বাচন-সহিংস রাজ্য। এখানকার প্রায় প্রত্যেকটি নির্বাচনী কেন্দ্রেই সহিংসতার খবর পাওয়া যায়। এই নির্বাচনী সহিংসতা ভারতীয় স্বাধীনতার গত ৭০ বছর ধরেই পশ্চিমবাংলায় ঘটে চলছে। প্রতিটি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হতাহতের খবর থাকে দেশজুড়ে।

পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক ইতিহাসে সহিংসতার ইতিহাস দীর্ঘ। সত্তরের দশকে ব্যাপক হানাহানির ঘটনা ঘটেছিল নকশালপন্থী আন্দোলনের ফলে। সেই আন্দোলনে একদিকে যেমন নকশালপন্থীরা শ্রেনী শত্রু খতমের নামে সমাজের নানা স্তরের মানুষকে হত্যা করেছে তেমনি নকশালপন্থীদের উচ্ছেদের নামে রাজ্য পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী বহু মানুষকে হত্যা করেছে। ১৯৭০ দশকের সেই সমস্ত ঘটনার পরিসমাপ্তি ঘটেছিল কংগ্রেসের রাজ্য থেকে বিদায়ের মাধ্যমে। সত্তরের দশকের শেষের দিকে কংগ্রেস এই রাজ্যে ক্ষমতা হারায়। যেমনটি ১৯৩৭ সালের নির্বাচনের পরে আর কোনো নির্বাচনে কংগ্রেস সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করতে পারে নাই দক্ষিণের রাজ্য তামিলনাড়ুতে। সেই ছিল কংগ্রেসের শেষ শাসন। 

তামিলনাড়ু তথা মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সি এরপরে রাজ্য হিসেবে ভাগ হয়েছে। আরো রাজ্যের সৃষ্টি হয়েছে কিন্তু কংগ্রেসের কখনো দক্ষিণের এ রাজ্যেগুলোতে ক্ষমতায় ফিরে যেতে পারেনি। যেমনটি ঘটেছে পশ্চিমবাংলার ক্ষেত্রেও। পশ্চিমবাংলায় সেই ৭০ দশকের হানাহানির ফলে কংগ্রেসের শাসনের অবসান ঘটে। এবং গত ৪৪ বছরেও আর কখনো রাজ্যে ফেরত আসেনি।

তামিলনাড়ুতে যেমন একাধিক ধর্মের অবস্থান লক্ষ্য করা যায় পশ্চিমবাংলায়ও তেমনভাবে একাধিক ধর্মের অবস্থান লক্ষ্য করা যায়। তামিলনাড়ুতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মুসলিম জনগোষ্ঠী আছে। জনসংখ্যার দিক থেকে মুসলিমদের অবস্থান তামিলনাড়ুতে তৃতীয়। ৮৯ শতাংশ হিন্দু ধর্মাবলম্বী, ৬ শতাংশের মতন খ্রিস্টান, ৫ শতাংশের কিছু বেশি মুসলিম। আছে কিছু সংখ্যক জৈন, শিখ ও বৌদ্ধ- শতাংশ হারে এরা কেউই এক শতাংশের উপরে না। তারপরেও এই বহু ধর্মের অবস্থান কখনই কোনো সমস্য তৈরি করেনি। ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্ট হওয়ার মতো সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ঘটনাও নেই এ রাজ্যে। কিন্তু পাশাপাশি পশ্চিমবাংলায় মুসলিম জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ভারতীয় রাজ্যগুলোর মধ্যে কাশ্মীরের পরে শতাংশ হারে সবচেয়ে বেশি। পশ্চিমবাংলার জনসংখ্যার দিক থেকে ৭০ শতাংশ হিন্দু, তারপরেই ২৭ শতাংশ মুসলিম জনগোষ্ঠী। এর বাইরে হিন্দু-মুসলিম ছাড়াও খৃষ্টান শিখ জৈন ও বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারীরাও এ রাজ্যে বাস করে। কিন্তু দক্ষিণের রাজ্যগুলোর মত পশ্চিমবাংলায় ধর্মীয় সম্প্রীতি প্রায়ই লক্ষ্য করা যায় না। কলকাতা শহরে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা শুরু হয়েছিল সেই ভারত বিভক্তির সময় ১৯৪৬ সালে, পশ্চিমবাংলায় তা আজো গভীরভাবে জেঁকে বসে আছে। ধর্মীয় দাঙ্গা থেকে রাজ্যটি মুক্ত হতে পারেনি। এবারের নির্বাচনেও পশ্চিমবাংলা সবচেয়ে বড় ইস্যু হচ্ছে ধর্মীয় জাতীয়তাবাদ। কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন বিজেপি এখানে গেড়ে বসতে যাচ্ছে হিন্দুত্বের কথা বলে।

দেশটির প্রধান রাজনীতিবিদ নরেন্দ্র মোদি এবং তার অন্যতম সহযোগী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ পশ্চিমবাংলায় যতবার নির্বাচনী জনসভা করেছেন প্রতিবারই হিন্দুত্বের কথা তুলে ধরেছেন। 
অথচ তামিলনাড়ুর অবস্থা একেবারেই ভিন্ন। তামিলনাড়ু নির্বাচনে এই বিজেপি তেমন কোনো অবস্থানই তৈরি করতে পারেনি। নির্বাচনী প্রচারণায় সেখানে তেমন হিন্দুত্বের কথা বলা্র হয়নি। তারা তামিলনাড়ুতে উন্নয়নের কথাই বলেছেন। জাতীয় অর্থনীতি নিয়েই বেশি জনসভা করেছেন। তামিলনাড়ুর স্থানীয় রাজনীতিবিদরা যদিও ধর্মীয় আচার আচরণ পালনের দিক থেকে কোনভাবেই পিছিয়ে নেই, কিন্তু রাজনৈতিক জনসভাগুলোতেও দেখা গেছে অন্য ধর্মকে আক্রমণ করার বিষয়টা সামনে আসেনি। যেটা পশ্চিমবাংলায় ঘটেছে। পশ্চিমবাংলায় ধর্মীয় বিভাজনের ফলে সম্ভবত বিজেপি ক্ষমতায় আসতে যাচ্ছে।

অক্সফোর্ড রিপোর্টে, তাদের গবেষণার এটি প্রকাশ পেয়েছে যে সেখানে বিজেপির ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনাই বেশি।  পশ্চিমবাংলার যে হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি নিয়ে মাঠে নেমেছে বিজেপি, তাতে মুসলিম ভোটাররাও বিভাজিত হয়েছে। আব্বাস সিদ্দিকীর নেতৃত্বে বামপন্থীদের মধ্যে জোট গড়ে উঠেছে। সাথে আছে সেই ৪৪ বছর পূর্বে ক্ষমতা থেকে বিদাযয়ী কংগ্রেস। আব্বাস সিদ্দিকী একজন ধর্মীয় নেতা। এই জোট প্রকৃতপক্ষে বিজেপিকে সহায়তা করছে বলেই পশ্চিমবাংলার একাংশের ভোটাররা মনে করছে। এই জোট নিজেদেরকে ধর্মনিরপেক্ষ জোট দাবি করে মোর্চা গঠন করেছে, যার ফলে ২৭ শতাংশ মুসলিম ভোট নিঃসন্দেহে বিভাজিত হচ্ছে। পরিণতিতে বিজেপির সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।

  • লেখক: রাজনৈতিক বিশ্লেষক
     

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.