জলবায়ু যুদ্ধে সত্যিই সফল বাংলাদেশ

মতামত

জয়শ্রী রায়
10 October, 2021, 09:55 pm
Last modified: 11 October, 2021, 10:45 am
বাংলাদেশ যে সমুদ্রের বর্ধিত উচ্চতার কারণে জলের নিচে তলিয়ে যাবে, সে ধরনের কল্পনার দিন এখন ফুরিয়েছে। ঠিক সেভাবেই, এ দেশ অচিরেই পুনঃনবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহারে সক্ষম হয়ে উঠবে, এমনটিও অবাস্তব কল্পনা।

৫০ বছর আগে এক ভয়াবহ জলবায়ু দুর্যোগের ভেতরেই পাকিস্তানের থেকে স্বাধীনতা অর্জন করে বাংলাদেশ। মুক্তিযুদ্ধের আগের বছর, ১৯৭০ সালে, ভোলা ঘূর্ণিঝড়ে মারা যায় প্রায় পাঁচ লক্ষ মানুষ। কিন্তু মৃতের সংখ্যার বিচারে বিশ্বের ইতিহাসের সবচেয়ে প্রাণঘাতী ঘূর্ণিঝড়গুলোর একটি হওয়া সত্ত্বেও, পাকিস্তান সরকারের প্রতিক্রিয়া ছিল আশ্চর্যজনক। এ দুর্যোগ কাটিয়ে উঠতে তাদের গৃহীত পদক্ষেপও ছিল খুবই অপ্রতুল।

এদিকে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে স্বাধীনতার দাবি আরো জোরদার হয়, যার জের ধরে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী এক বীভৎস ক্র্যাকডাউন ও গণহত্যা চালায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে অনুষ্ঠিত স্বাধীনতা যুদ্ধে লক্ষ লক্ষ মানুষ শহীদ হন, দুই লক্ষের মতো নারী হন ধর্ষণের শিকার, এবং ৬০ লক্ষ ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়।

এমন এক পটভূমিতে জন্ম নেয়া বাংলাদেশ বরাবরই উন্নত বিশ্বের চোখে পরিগণিত হয়েছে দারিদ্র্য ও আসন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের পোস্টার চাইল্ড হিসেবে। তবে জলবায়ু পরিবর্তনকে যদি রোধ করা না যায়, তাহলে বিশ্বব্যাপী দরিদ্রদের অবস্থা কী হবে, সে ব্যাপারে এখনো খুব বেশি মাথা ঘামাতে দেখা যায়নি উন্নত বিশ্বকে।

নিম্ন উচ্চতা ও উচ্চ জনসংখ্যার ঘনত্ব বাংলাদেশকে পরিণত করেছে ক্রমবর্ধমান সমুদ্র স্তর ও ঘূর্ণিঝড়ের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখে বিশ্বের ভঙ্গুরতম দেশগুলোর অন্যতম। কিন্তু বাংলাদেশকে জলবায়ু ভুক্তভোগীর জায়গায় বসিয়ে যেভাবে দৃশ্যপট সাজানো হয়, তাতে প্রচুর গলদ রয়েছে। আদতে সেই স্বাধীনতা যুদ্ধ থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে বাংলাদেশকে সফলই বলা যায়। কেননা উন্নয়ন ও জলবায়ু নীতিমালার ক্ষেত্রে দেশটি বরাবরই তাদের দৃঢ় সংকল্পের স্বরূপ দেখিয়ে এসেছে।

বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সফলতার গল্প বলতে গেলে শুরুতেই আসবে প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রসঙ্গ। দেশটির আধুনিকীকরণের পেছনে অন্যতম চালিকা শক্তির ভূমিকা পালন করেছে দেশটির সমৃদ্ধ প্রাকৃতিক সম্পদ।

১৯৭৪ সালে সরকার বাংলাদেশের শক্তির উৎসগুলোর জাতীয়করণের মাধ্যমে এক বিশাল পদক্ষেপ নেয়। তারা নিশ্চিত করে যে নিজ দেশে প্রাপ্ত গ্যাস বাইরে বিক্রির পরিবর্তে সিংহভাগ তারা নিজেদের কাছেই রেখে দেবে। এবং এই গ্যাসকে মানুষের বাসাবাড়িতে ব্যবহারের জন্য বিতরণের বদলে কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা করে দিয়েছে যেন এই গ্যাস শিল্প প্রবৃদ্ধির উপযোগী ক্ষেত্রগুলো যেমন শক্তি উৎপাদন, সার উৎপাদন, সেচের জন্য পানি সরবরাহ ও সিমেন্ট উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়।

এতে করে বাংলাদেশের কৃষি উৎপাদন অভাবনীয় গতি লাভ করে, এবং ২০১৯ সাল নাগাদ এটি হয়ে ওঠে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এছাড়া তৈরি পোশাক ও চামড়ারও বড় মাপের রপ্তানিকারকে পরিণত হয়েছে তারা। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে এদেশের অর্থনীতিই এখন সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল। কিন্তু যেহেতু প্রাকৃতিক গ্যাসই ব্যবহৃত হয় এদেশের প্রাথমিক শক্তি চাহিদার ৬০ শতাংশ ক্ষেত্রে, তাই অন্যান্য প্রতিবেশী দেশগুলোর চেয়ে দেশটি তুলনামূলক বেশি সবুজ। যেমন পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতও অতিমাত্রায় নির্ভরশীল কয়লার উপর।

অর্থনৈতিক অগ্রগতির পাশাপাশি অন্যান্য বিভিন্ন ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ দেখিয়েছে অবিশ্বাস্য সাফল্য। যেমন চরম দারিদ্র্য ও শিশু মৃত্যুর হার, দুটিকেই তারা ১৯৯০ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে ৭০ শতাংশ কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। এদেশের মানুষের গড় প্রত্যাশিত আয়ুষ্কালও যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে মাত্র সাত বছর কম। ২০১৫ সালে এদেশের অগ্রগতিকে বিশ্বব্যাংকও স্বীকৃতি দেয় তাদেরকে 'নিম্ন-মধ্যম আয়ের' দেশে উন্নীত করার মাধ্যমে।

বাংলাদেশকে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে টিকে থাকতে আরো সাহায্য করেছে উন্নত আবহাওয়া পূর্বাভাস ব্যবস্থা, গণপরিসরের প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা ক্যাম্পেইনগুলো। ফলে একসময় ভোলা ঘূর্ণিঝড়ে অর্ধ মিলিয়ন মানুষের মৃত্যু হওয়া দেশটিতে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রাকৃতিক দুর্যোগে মৃত্যুর সংখ্যা থাকে দুই বা তিন অঙ্কের ঘরে। অবশ্যই এই বিপুল সংখ্যার মৃত্যুও যথেষ্ট হৃদয়বিদারক, তবু পঞ্চাশ বছর আগের রেকর্ডের সঙ্গে তুলনা করলে যে উন্নতি দৃশ্যমান হয় তাকে অস্বীকার করার উপায় নেই।

উল্লিখিত অভিযোজন প্রচেষ্টাগুলোরও কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে, বিশেষ করে যখন জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব আরো খারাপের দিকে মোড় নেয়। তারপরও বাংলাদেশ নিজেদের জন্য শক্তি স্থানান্তরের পেছনে বাড়তি কিছুটা সময় অর্জন করে নিতে পেরেছে, এবং তা সাধারণ মানুষের চাহিদার সঙ্গে আপস না করেই।  

বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি মডেলের বেশিরভাগই অর্জিত হয়েছে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানগুলো যেমন এনজিও ও বৈশ্বিক পরিবেশ গোষ্ঠীগুলোর সুপারিশ ও পরামর্শকে তোয়াক্কা না করেই।

উদাহরণস্বরূপ, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) অনেকদিন ধরেই শক্তি খাতে বাংলাদেশের ব্যবহৃত ভর্তুকির সমালোচনা করে আসছে। ওই ভর্তুকি ও নিজস্ব প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবহার বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কতটা সহায়ক হয়েছে, সেটিকে কখনোই গুরুত্ব দিতে চায়নি তারা। অন্যরাও কার্বন নিঃসরণ কমানোর লক্ষ্যে দেশটির অর্থনীতি ও শক্তি খাতের বহুমুখীকরণ দাবি করেছে। তারা দাবি জানাচ্ছে 'সবুজতর' শক্তি খাতের, এবং প্রাকৃতিক গ্যাস সহ সব ধরণের জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধ করতে বলছে। এছাড়া অন্য আরো অনেকেই বলে থাকে যে বাংলাদেশের মতো নিচু জমির দেশগুলোর যদি বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি সামলে টিকে থাকতে হয়, তাহলে শক্তি খরচ কমিয়ে আনাও এখন সময়ের দাবি।

তবে এ ধরনের সাধারণীকৃত সুপারিশ বাংলাদেশের জন্য অতীতেও খুব একটা কাজে আসেনি। এবং ধারণা করা যায়, ভবিষ্যতে সেগুলো আরো বেশি অর্থহীন হয়ে পড়বে।

যেমন ধরুন, এদেশের হাইড্রোইলেকট্রিক খাতে যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে ঠিকই, কিন্তু সেটি বাস্তবায়ন করতে গেলে বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠীর উচ্ছেদ ছাড়া বিকল্প নেই। বায়ু ও সৌর শক্তির সম্ভাবনাও এখানে সীমিত : বাংলাদেশের অধিকাংশ উর্ভর জমিই ব্যবহৃত হয় খাদ্য উৎপাদনের কাজে, অন্যদিকে অব্যবহৃত অকৃষি জমির পরিমাণ খুবই সীমিত।

এদিকে আরো লক্ষ লক্ষ মানুষকে দারিদ্র্য থেকে তুলে আনা এবং তাদের জন্য উন্নত জীবনযাত্রার ব্যবস্থা করে দিতে গেলে বাংলাদেশকে আরো বেশি শক্তি উৎপাদন ও ব্যবহার করতেই হবে। তার অর্থ, অদূর ভবিষ্যতে শক্তি ভোগের পরিমাণ কমিয়ে আনার চিন্তা কোনোভাবেই বাস্তবসম্মত নয়।

সহজ কথায় বলতে গেলে, বাংলাদেশই হলো জ্বলন্ত উদাহরণ যে আন্তর্জাতিক পরিসরের অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত সমাধান কেন সময় আঞ্চলিত পর্যায়ে কার্যকর নয়। বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর জন্য প্রশ্ন এটি হওয়া উচিত নয় যে, জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কবে বন্ধ করা হবে। বরং প্রশ্ন হওয়া উচিত এটি যে, কীভাবে ওইসব জীবাশ্ম জ্বালানির সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন ব্যবহার নিশ্চিত করা যায়, এবং এ লক্ষ্যে অবকাঠামোগত উন্নয়নের সুযোগ রয়েছে কি না।

এটি করার অর্থ হলো দেশটির অবশিষ্ট প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুদের উৎপাদনশীল দেশজ ব্যবহার অব্যাহত রাখাকে প্রাধান্য দেওয়া, এবং এজন্য এ খাতের অবকাঠামো, সম্পদ ও জ্ঞানের শ্রেষ্ঠতম ব্যবহারের পথ খুঁজে বের করা, যেন কাঙ্ক্ষিত পরিচ্ছন্নতা অর্জনের জন্য ভূ-তাপ ও হাইড্রোজেন ব্যবহার করা যায়।

তাপ ও শক্তি উৎপাদনের জন্য পৃথিবীর অনেক দেশেই ভূ-তাপীয় শক্তি ব্যবহার হয়ে থাকে। কিন্তু সব মিলিয়ে ব্যবহৃত ভূ-তাপীয় শক্তির পরিমাণ বিশ্বব্যাপী সামগ্রিকভাবে উৎপাদিত শক্তির তুলনায় নিতান্তই কম। এর পেছনে একটি কারণ হলো, ভূ-তাপীয় শক্তি উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামোর খরচ অনেক বেশি। তবে তেল ও গ্যাস দিয়েও ভূ-তাপীয় শক্তি উৎপাদন সম্ভব।

এদিকে হাইড্রোজেন বিংশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে প্রথম শক্তি শিল্পের গুরুত্বপূর্ণ অংশে পরিণত হয়। তবে কেবল সাম্প্রতিক সময়েই তেল ও গ্যাসের সম্ভাব্য বিকল্প হিসেবে তারা বেশি মনোযোগ পাচ্ছে।

এদিকে বাংলাদেশের যে বিদ্যমান অবকাঠামো রয়েছে, তাতে ভূ-তাপীয় শক্তির ক্ষেত্রে একে হাইড্রোজেন অর্থনীতিতে সাহায্যের জন্য পুনঃনির্মাণ করা যেতে পারে। ইতোমধ্যেই বিশ্বের অর্ধেক হাইড্রোজেন উৎপাদিত হচ্ছে প্রাকৃতিক গ্যাস দিয়ে।

এই সবকিছুর জন্যই বিপুল অঙ্কের বিনিয়োগ প্রয়োজন। তবে বাংলাদেশের যেহেতু একটি উন্নত গ্যাস খাত রয়েছে, তাই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভূ-তাপীয় শক্তি ও হাইড্রোজের দিকে ধাবিত হওয়ার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। আর তা যদি সম্ভব হয়, তবে সেটি জলবায়ু সংরক্ষণ ও উদ্দিষ্ট উন্নয়ন লক্ষ্য, উভয় ক্ষেত্রেই সহায়ক হবে। কিন্তু সেই পর্যায়ে পৌঁছানোর জন্য দুটি বিষয়কেই গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে হবে, এবং সেই গুরুত্বকে স্থানীয়ভাবেই সবচেয়ে ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে।

বাংলাদেশ যে সমুদ্রের বর্ধিত উচ্চতার কারণে জলের নিচে তলিয়ে যাবে, সে ধরনের কল্পনার দিন এখন ফুরিয়েছে। ঠিক সেভাবেই, এ দেশ অচিরেই পুনঃনবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহারে সক্ষম হয়ে উঠবে, এমনটিও অবাস্তব কল্পনা। প্রাকৃতিক গ্যাসের কল্যাণেই ভোলা ঘূর্ণিঝড়ের ৫০ বছরের মাথায় দেশটি উন্নয়নের একটি নিশ্চিত পথ তৈরি করতে পেরেছে। সেই পথ থেকে হুট করে সরে যাওয়ার অর্থ হলো দেশটির জীবাশ্ম জ্বালানি সম্পদকে অগ্রাহ্য এবং তাদের কষ্টার্জিত সার্বভৌমত্ব ও উন্নয়ন অর্জনকে খাটো করা।

বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর জন্য রাতারাতি জীবাশ্ম জ্বালানিকে বিদায় বলা অসম্ভব। জলবায়ু পরিবর্তনের কথা মাথায় রেখে বৈশ্বিকভাবে তৈরিকৃত রূপরেখার অন্ধ অনুকরণের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। অনুন্নত দেশগুলো নিম্ন-কার্বন অর্থনীতিতে পরিণত হওয়ার পথে যে গতিতে এগোচ্ছে, সে গতিতেই তাদেরকে এগোতে দেয়া উচিত—জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমনের লক্ষ্যে সাশ্রয়ী, সহজলভ্য শক্তি পরিষেবা এবং সেগুলোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মানব উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সুবিধাকে ছেড়ে দেওয়া যাবে না।

পরিবর্তনের অনেকগুলো রূপরেখাই দেখা যাবে, যার প্রতিটির সঙ্গেই জড়িত থাকবে উন্নয়নের অবশ্যপালনীয় নীতিমালা, স্থানীয় ইতিহাস, শাসন ও সম্পদের তালিকা। কিন্তু কোনটিকে বেছে নেয়া উচিত, সে সিদ্ধান্ত নিতে হবে গণতান্ত্রিকভাবে। বহির্বিশ্বকে অবশ্যই এদেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মান দেখাতে হবে। এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোকে তাদের নিজেদের মতো করে প্রযুক্তি, অবকাঠামো ও প্রতিষ্ঠান সৃষ্টির সুযোগও দিতে হবে।

লেখক : থাইল্যান্ডের এশিয়ান ইনস্টিটিউট অভ টেকনোলজির শক্তি, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিভাগের বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক। তিনি ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অভ সোশ্যাল সায়েন্সেস রিসার্চের একজন ন্যাশনাল ফেলো ছিলেন। এছাড়া ২০০৭ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারজয়ী জাতিসংঘের ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জের সায়েন্টিস্ট নেটওয়ার্কেও ছিলেন তিনি।

  • সূত্র : দ্য আটলান্টিক
  • অনুবাদ : জান্নাতুল নাঈম পিয়াল 

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.