গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় একজন মন্ত্রী কখন পদত্যাগ করেন

মতামত

15 July, 2020, 11:30 pm
Last modified: 16 July, 2020, 04:09 pm
নমুনা পরীক্ষা কেলেঙ্কারির দায়ভার কি স্বাস্থ্যমন্ত্রী এড়াতে পারেন? করোনাভাইরাস মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ের অব্যবস্থাপনাজনিত প্রশাসনিক ব্যর্থতা কি নিজের কাঁধ থেকে নামাতে পারেন তিনি?

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের উচিত অন্তরের অন্তস্তল থেকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ধন্যবাদ জানানো। কেননা, করোনাভাইরাস নমুনা পরীক্ষা কেলেঙ্কারি ইস্যুতে মন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছেন ওই বিএনপি নেতা। উদ্ভট শোনালেও সত্য, বছরের পর বছর ধরে আমাদের সরকারের রাজনৈতিক মানসিকতায় একটি মনোভাব গেথে গেছে; আর তা হলো, সরকার ও বিরোধীদল যে কোনো প্রশ্নেই সব সময় একে অন্যের উল্টো অবস্থানে দাঁড়ায়।

বিরোধী দলের দাবি যা-ই হোক- যৌক্তিক কিংবা অযৌক্তিক- ক্ষমতাসীনরা সবসময় সেটি সরাসরি উড়িয়ে দেয়। তাই স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের যে দাবি তুলেছে বিএনপি, সেটি যে এই মুহূর্তে বাস্তবায়ন হবে না, সেটি নিশ্চিত করেই বলে দেওয়া যায়। এ দাবি বরং উল্টো মন্ত্রী হিসেবে তার 'চাকরি' পাকাপোক্ত রাখতে সাহায্য করবে! আর এ কারণেই মির্জা ফখরুল ও তার দল বিএনপির প্রতি জাহিদ মালেকের উচিত কৃতজ্ঞ থাকা।

অন্যদিকে, করোনাভাইরাস মহামারির বিরুদ্ধে নিজ মন্ত্রণালয়ের লেজেগোবরে অবস্থা ও কেলেঙ্কারি নিয়ে আমজনতার যে সমালোচনা, সেটি সামলাতে হবে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে। সময় যেহেতু সেরা নিরাময়কারী, তাই ধীরে ধীরে এইসব সমালোচনাও থিতু হয়ে যাবে।

নজিরবিহীন স্বাস্থ্য সংকটের এই সময়ে, ভাইরাস পরীক্ষায় দুটি হাসপাতালের জাল সার্টিফিকেট দেওয়ার ঘটনা নিঃসন্দেহে এক অমার্জনীয় অপরাধ এবং একটি বিরাট কলঙ্কও। এই ঘটনা কোভিড-১৯ আবির্ভাবের পর থেকে, কয়েক মাস ধরে, তালগোল পাকিয়ে থাকা স্বাস্থ্যসেবা খাতের প্রতি মানুষের আস্থা আরও কমিয়ে দিয়েছে।

কোনো মন্ত্রীর এ ধরনের কলঙ্ক কিংবা বিতর্কিত কর্মকাণ্ড অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশেও জনমনে ভয়ঙ্কর ক্ষোভের জন্ম দেয়। আমজনতার এ রকম বিক্ষোভ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মেনে নেওয়া হয়। সেইসব দেশের রাজনীতিকরা সম্ভবত জন-সমালোচনা খুব ভয় পান এবং এ ধরনের সমালোচনার বিরুদ্ধে লড়াই করার 'সাহস' রাখেন খুবই কম।

কিছু উদাহরণ টানা যাক।

করোনাভাইরাস সংকটকালে বড় ধরনের কিছু ভুল পদক্ষেপ নেওয়ার ফলে জনরোষের মুখে পড়ে দুই সপ্তাহ আগে পদত্যাগ করেছেন নিউজিল্যান্ডের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. ডেভিড ক্লার্ক।

কী এমন ভুল পদক্ষেপ নিয়েছিলেন তিনি?

দেশটিতে যখন লকডাউন, তখন দু'বার ঘরে থাকার ব্যাপারে কড়াকড়ি আরোপ করা নিয়মটি ভাঙতে দেখা গেছে ক্লার্ককে; প্রথমবার তিনি সাইকেল চালিয়ে বেড়িয়েছেন, আর দ্বিতীয়বার ডান্ডিনে নিজের বাড়ি থেকে ২৩ কিলোমিটার দূরে এক সৈকতে ঘুরতে গিয়েছিলেন সপরিবারে, বলছে দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন।

উভয় ঘটনায়ই ক্ষমা চেয়েছেন ক্লার্ক; প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডানের কাছে নিজেকে একজন 'নির্বোধ' বলে অভিহিত করেছেন এবং অবিবেচকের মতো কাজ করেছেন বলে নিজেকে দোষারোপ করেছেন।

নিউজিল্যান্ডে ভাইরাসটির সংক্রমণ রুখতে সরকারের সামগ্রিক প্রচেষ্টা সফল হওয়ায় দেশটির জনগণ সরকারের প্রশংসা করেছে। তবে লকডাউনের নিয়ম ভাঙায় তারা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করতে ছাড়েনি।

নিজ দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি সামলাতে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগ তুলে নাগরিক সংগঠনগুলো ও বিরোধী পক্ষ চিলির স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেইমে মানালিসের সমালোচনা করলে, জুনে তিনি পদত্যাগ করেন।

এদিকে, মে মাসে ব্রাজিলের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের কারণ অবশ্য ভিন্ন।

করোনাভাইরাস মহামারি সামলানোর প্রশ্নে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট বলসোনারোর লেজেগোবরে অবস্থানের প্রতিবাদে পদত্যাগ করেন নেলসন টেইক। এর আগে, এপ্রিলে তার পূর্বসুরি লুইজ হেনরিক  ম্যানডেট্টাকে বোলসোনারো বরখাস্ত করেন মহামারি সামলানোর প্রশ্নে প্রেসিডেন্টের নেওয়া কৌশলের কঠোর বিরোধিতা করায়। মহামারিটির বিস্তার রুখত মার্চের মাঝামাঝিতে বেশ কিছু গভর্নর ও মেয়র কোয়ারেন্টিনের যে অগ্রিম হিসেব করেছিলেন, সেটি সমর্থন করেছিলেন ম্যানডেট্টা। কিন্তু প্রেসিডেন্ট বোলসোনারো তাদের বিরোধিতা করে, সেগুলোকে অর্থনৈতিক অপচয় হিসেবে অভিহিত করেছিলেন।

মে মাসে যুক্তরাজ্যের স্কটল্যান্ড অফিস মিনিস্টার ডগলাস রস পদত্যাগ করেন লকডাউনের নিয়ম ভাঙার দায়ে অভিযুক্ত ডমিনিক কামিংসকে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বরখাস্ত করতে অস্বীকার জানানোর প্রতিবাদে।

প্রধানমন্ত্রীর প্রধান পরামর্শক কামিংস কীভাবে লকডাউনের নিয়ম ভেঙেছিলেন? মার্চে তিনি তার লন্ডনের বাসা থেকে গাড়ি চালিয়ে ২৬০ মাইল দূরে নিজের পৈত্রিক খামারে গিয়েছিলেন সন্তান ও অসুস্থ স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে- এ ঘটনাকে শিশুসেবার উদ্দেশ্যে যাওয়া হিসেবে ব্যাখ্যা করেছিলেন তিনি।

এ রকম কর্মকাণ্ড ও সরকারের ভাবমূর্তি নষ্টের অভিযোগে কামিংসের পদত্যাগ দাবি করেছিলেন শাসক দলের অন্তত ২৪ আইনপ্রণেতা। কিন্তু জনসন নিজের পরামর্শকের পক্ষ নেন, আর তার প্রতিবাদেই ওই মন্ত্রী পদত্যাগ করেন।

যুক্তরাজ্যে মন্ত্রীর পদত্যাগ কোনো বড় ঘটনা নয়। পদত্যাগের প্রচুর উদাহরণ ওই দেশে রয়েছে। নিজের কোনো কর্মকাণ্ডে যখনই আমজনতার কাছে কোনো মন্ত্রী নিজেকে বিতর্কিত হিসেবে শনাক্ত করেন, কিংবা যখনই মন্ত্রীসভার কোনো সিদ্ধান্ত সমর্থন করতে তিনি অসম্মত হন, তখনই মন্ত্রীত্ব ছেড়ে দেওয়ার রেওয়াজ সেখানে রয়েছে।

গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায়, এটিকে একজন মন্ত্রীর ব্যক্তিগত দায়িত্ব হিসেবে গণ্য করা হয়। যদি কোনো মন্ত্রীর বিতর্কিত কর্মকাণ্ড কিংবা প্রশাসনিক ব্যর্থতা জনরোষের উদ্রেক ঘটায়, সেই মন্ত্রী প্রকাশ্যে ক্ষমতা চেয়ে 'চাকরি' ছেড়ে দেন। এ রকম পদত্যাগ ওই সরকারকে জনরোষ থেকে রক্ষা করতে ভূমিকা রাখে।

২০০ বছরের ব্রিটিশ শাসন ভারতীয় উপমহাদেশে একটি দীর্ঘ উত্তরাধিকার রেখে গেছে- যে উপমহাদেশ এখন ভারত, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান- এই তিন দেশে বিভক্ত। সেই উত্তরাধিকার থেকে আমরা ভালো-মন্দ অনেক কিছুই শিখেছি। কিন্তু একজন মন্ত্রীর ব্যক্তিগত দায়িত্ববোধের যে চর্চা গণতন্ত্রের ওয়েস্টমিনিস্টার মডেলের জন্মভূমি যুক্তরাজ্যে হয়, সেটি থেকে শিক্ষা খুব একটা নেননি আমাদের রাজনীতিকরা। আর এ কারণেই আমাদের এ অঞ্চলে কোনো মন্ত্রীর পদত্যাগের বিষয়টি এত বিরল।

তবু কিছু ব্যতিক্রমও রয়েছে। কিছু রাজনীতিক ইতোমধ্যেই ব্যাপক সততা ও জোরাল আত্মমর্যাদার উদারহণ তৈরি করে গেছেন।

ভারতীয় রেলমন্ত্রী লাল বাহাদূর শাস্ত্রির কথাই ধরা যাক। ১৯৫৬ সালে এক রেল দুর্ঘটনায় ১১২ জনের প্রাণহানি ঘটলে তিনি মন্ত্রীত্ব ছেড়ে দেন। প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু অবশ্য তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেননি। তিন মাস পর আরেক দুর্ঘটনায় ১১৪ জনের মৃত্যু হলে নৈতিক ও সাংবিধানিক দায়িত্ববোধ থেকে তিনি সেই পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেন।

দ্বিতীয়বার আর প্রত্যাখ্যান করেননি নেহরু। ওই ঘটনা প্রসঙ্গে জাতীয় সংসদে নেহরু বলেছিলেন, ওই দুর্ঘটনায় শাস্ত্রি কোনোভাবেই দায়ী- এই ভাবনা থেকে নয়, বরং সাংবিধানিক দায়িত্বের প্রশ্নে একটি উদাহরণ সৃষ্টি করতেই তিনি পদত্যাগপত্রটি গ্রহণ করেছেন।

শাস্ত্রির সেই নজিরবিহীন মনোভাবকে নাগরিকরা ভীষণ সাধুবাদ জানিয়েছিল। ১৯৫৭ সালে তিনি আবার মন্ত্রীসভায় ফিরে আসেন এবং ১৯৬৪ সালে নেহরুর মৃত্যুর পর দেশটির প্রধানমন্ত্রী হন।

সংসদীয় গণতন্ত্রে নিজ মন্ত্রণালয় বা বিভাগের সকল কর্মকাণ্ডের চূড়ান্ত দায়ভার সেটির মন্ত্রীর কাঁধেই বর্তায়। আমাদের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কি তার মন্ত্রণালয় ও সেটির অধীনস্থ বিভাগগুলোর সকল কর্মকাণ্ডের চূড়ান্ত দায়ভার নেবেন?

নমুনা পরীক্ষা কেলেঙ্কারি এবং ভাইরাসের বিরুদ্ধে যথাযোগ্য লড়াই করতে তার মন্ত্রণালয়ের ব্যর্থতা ছাড়াও, তিনি নিজে সরকারকে বিভ্রান্ত করেছেন। ২৭ জানুয়ারি করোনাভাইরাস যখন চীনে ধ্বংসলীলা চালাচ্ছে এবং ইতোমধ্যেই জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া ভাইরাসটিতে আক্রান্ত, তিনি তখন দেশবাসীকে আশ্বাস দিয়েছিলেন- বাংলাদেশে যেহেতু তখনো পর্যন্ত কোনো কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়নি, তাই এই ভাইরাস নিয়ে উৎকণ্ঠার কিছু নেই।

'আমরা এমনভাবে কাজ করছি, ভাইরাসটি বাংলাদেশে ঢুকতেই পারবে না,' এমন কথা তিনি বলেছিলেন এক আন্তমন্ত্রণালয় সভায়, 'ভাইরাসটি যদি কাউকে আক্রান্ত করেও, পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য সরকার সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে।'

কিন্তু মার্চের শুরুর দিকে দেশে প্রথম কোনো কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হলে, তার দেওয়া 'পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য সরকার সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে' আশ্বাসটি ঠুনকো বুলি হয়ে ওঠে। বিশ্বব্যাপী ভাইরাসটির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অন্যতম কার্যকর হাতিয়ার হিসেবে গণ্য হওয়া- নমুনা পরীক্ষা ঠিকঠাক চালাতে পারেনি স্বাস্থ্য বিভাগ। ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জামের জন্য ত্রাহি অবস্থা শুরু হয় স্বাস্থ্যকর্মীদের মাঝে। করোনাভাইরাসে পাঁচ ডজনেরও বেশি চিকিৎসক প্রাণ হারালে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি স্বাস্থ্যসেবা খাতেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ভাইরাসটির সংক্রমণ রুখতে ভঙ্গুর স্বাস্থ্যসেবা খাত এখনো হিমশিম খাচ্ছে।

জুনে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে দেওয়া এক চিঠিতে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) দ্রুতগতিতে চিকিৎসক ও নার্সদের মধ্যে কোভিড-১৯ ছড়ানোর দায় মন্ত্রণালয়ের ওপরও চাপিয়েছে। সংগঠনটির মতে, নিম্নমানের মাস্ক সরবরাহ, অপর্যাপ্ত ও কারিগরি ত্রুটিযুক্ত ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট এবং চিকিৎসকদের অপ্রতুল প্রশিক্ষণ স্বাস্থ্যকর্মীদের ভাইরাসটিতে এভাবে আক্রান্ত হওয়ার জন্য দায়ী।

রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করীমকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব

নমুনা পরীক্ষা কেলেঙ্কারি ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর দায়ভার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাঁধে চাপানোর চেষ্টা করছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী, অথচ ওই অধিদপ্তর তারই মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ। সাহেদ ও ডা. সাবরিনা পরিচালিত দুটি স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরে নিজের দায়ভার নিজ কাঁধে না নেওয়ার চেষ্টা করছেন তিনি।

গ্রেপ্তারকালে জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরী। ফাইল ফটো

এমনকি ওই সমঝোতা সম্পর্কে তিনি জানতেন না বলেও দাবি করেছেন। অথচ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যাওয়া ছবিতে দেখা যায়, সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরের অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী নিজে উপস্থিত ছিলেন।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক

নমুনা পরীক্ষা কেলেঙ্কারির দায়ভার কি তিনি এড়াতে পারেন? করোনাভাইরাস মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ের অব্যবস্থাপনাজনিত প্রশাসনিক ব্যর্থতা কি নিজের কাঁধ থেকে নামাতে পারেন তিনি?

একটি সত্যিকারের গণতান্ত্রিক অবস্থায়, রাজনীতিকরা যেসব জিনিসের মুখোমুখি হতে বেশি ঘৃণা করেন ও ভয় পান, তা হলো- তাদের নিজেদের কিংবা তাদের মন্ত্রণালয়ের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে জনরোষ জেগে ওঠা। যদি কোনো রাজনীতিকের পক্ষে কোনো রকমের ইতস্তত ছাড়াই সমালোচনা হজম করা সক্ষম হয়, তাহলে তিনি টিকে যেতে পারেন। ব্যর্থতা তাকে দায়িত্ব ছাড়ার চাপ দিতেই থাকে।

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.