অর্থমন্ত্রীর কাছে খোলা চিঠি

মতামত

07 June, 2020, 01:05 am
Last modified: 07 June, 2020, 09:45 am
এ একেবারেই এক 'ইউনিক' পরিস্থিতি। এ রকম কঠিন সময়ের মুখোমুখি আপনার আর কোনো পূর্বসূরিকে হতে হয়নি।

প্রিয় অর্থমন্ত্রী, শুভেচ্ছা নেবেন। জানি, এই মুহূর্তে আপনি ব্যস্ত মানুষদের একজন। নিজের টিম নিয়ে এক কঠিন কাজ- আগামি অর্থবছরের জন্য আমাদের জাতীয় বাজেট প্রস্তুত করছেন। তবু সম্ভব হলে একটু সময় করে, পড়ে নেবেন এ সপ্তাহে কোভিড-১৯-এর হাজির করা সেই গুরুত্বপূর্ণ বার্তা, যেটি ভাইরাসটির সংক্রমণ তোয়াক্কা না করেই অর্থনীতির চাকা পুনরায় সচল করে দেওয়ার যে পদক্ষেপ সরকার নিয়েছে, তার প্রেক্ষিতে।

'লকডাউন' তুলে নেওয়ার প্রথম সপ্তাহটি খুব একটা কাজের হয়নি।

কোভিড-১৯-এ নতুন আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা অন্য যে কোনো সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে বেড়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ১৬ হাজারেরও বেশি আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে গত সাত দিনে। নমুনা পরীক্ষার সক্ষমতা যেহেতু আমাদের খুব কম, তাই এ সপ্তাহে আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা কত, তা কারও জানা নেই। এ সপ্তাহে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দুই শতাধিক বলেও জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। প্রকৃত সংখ্যাটি যে আরও বেশি, তা এক প্রকার নিশ্চিত করেই বলা যায়; কেননা, কোভিড-১৯-এর উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন অনেকেই। তাদের সংখ্যা এই তালিকায় জায়গা পায়নি।

'লকডাউন' তুলে নেওয়ার পর ৩১ মে শুরু হওয়া সপ্তাহটি এত বেশি সংকটময় রূপ নিয়েছে, এ যেন আসন্ন সপ্তাহগুলোর এক ধরনের পূর্বাভাস।

ভাইরাসটিতে আক্রান্তের হারের উর্ধ্বমুখী রেখা প্রশমিত হয়ে আসার আগে, এমন তাড়াহুড়ো করে 'লকডাউন' তুলে নেওয়ার পক্ষে ছিলেন না স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও এপিডেমিওলজিস্টরা। নাগরিকদের সুরক্ষা ও তাদের জীবনের প্রশ্নে উদ্বিগ্ন তারা।

সরকারের অবশ্য একটা ভিন্ন ভাবনা ছিল। কর্মচ্যূত হয়ে নাকাল অবস্থায় পড়ে যাওয়া লাখ লাখ মানুষকে বাঁচাতে, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পুনরায় সচল করার মাধ্যমে তাদের ভোগান্তি কমাতে চেয়েছিল সরকার।

এই উদ্যোগের ভীষণ বেদনাবিধূর ফলাফল এখন স্পষ্ট সাক্ষ্য দেয়, পরিকল্পনায় ঘাটতি ছিল। সাধারণত ছুটির নামে প্রয়োগ করা আলগা 'লকডাউন' শেষ হওয়ার দুদিন পরই কয়েকটি মন্ত্রণালয় কাজ শুরু করেছে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের হার বিবেচনা করে দেশকে লাল, হলুদ ও সবুজ- এই তিন অঞ্চলে ভাগ করে নেওয়ার। ভাইরাসটির সংক্রমণ রুখতে স্বাস্থ্য সুরক্ষার গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ- সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে আরেকটি ঘোষণায় জানানো হয়েছে, দপ্তরে শুধু ২৫ শতাংশ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত থাকতে পারবেন। এইসব উদ্যোগই জানান দেয়, কর্তৃপক্ষ আসলে ভাইরাসটির আগে-আগে নয়, বরং পেছন-পেছন ছুটছে।

সপ্তাহটি শেষ হওয়ার পর আমরা খেয়াল করলাম, অর্থনীতি পুনরায় সচল করার কোনো উৎসাহব্যাঞ্জক ফল এখনো দেখা যায়নি। কারখানাগুলো খুলেছে ঠিকই, চাহিদা কম থাকায় উৎপাদনে গতি আসেনি। রেস্তোরাঁগুলো খোলাই রয়েছে, কিন্তু ভোক্তা নেই। আন্তঃজেলা বাসগুলোতে যাত্রীসংখ্যা খুব কম। যাত্রীসংকটে প্রতিদিনই উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ফ্লাইট বাতিল করতে বাধ্য হচ্ছে এয়ারলাইনগুলো। 

এর কারণ একেবারেই সহজ ও স্পষ্ট। ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কায় মানুষ উৎকণ্ঠিত। কোভিড-১৯-এর নমুনা পরীক্ষা করতে এবং শনাক্ত হলে যথাযোগ্য চিকিৎসা পেতে নিজ দেশের নাগরিকদের একা একা কী রকম ভোগান্তির ভেতর দিয়ে যেতে হয়, পত্রিকা কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিদিন এসব খবর পড়ে দেশের স্বাস্থ্যসেবা সিস্টেমের ওপর কোনো ভরসা নেই মানুষের। এই ভয় এবং একইসঙ্গে ভরসার অভাব তাদের বাধ্য করেছে দেশের অর্থনৈতিক সক্রিয়তাকে পুনরায় পুরোদমে সচল করার প্রতি সন্দেহপরায়ণ হতে।

ফলে, বার্তাটি একদম পরিষ্কার। অর্থনীতির চাকা পুনরায় চালু করার আগে, ভাইরাসটির বিস্তার অবশ্যই নিয়ন্ত্রণ এবং স্বাস্থ্যসেবা সিস্টেমের প্রতি মানুষের আস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে। 

প্রিয় অর্থমন্ত্রী, আপনি জানেন, ভাইরাসটি এক দীর্ঘ সময় ধরেই থাকবে। কার্যকর কোনো টীকা উদ্ভাবনের আগ পর্যন্ত আমরা এতটুকু স্বস্তি পাব না। টীকা আসার জন্য এক থেকে দুই বছর লেগে যেতে পারে। আবার, এমন আশঙ্কাও রয়েছে, হয়তো বহু বছরেও কোনো কার্যকর টীকা পাওয়া গেল না; যেমনটা ঘটেছে এইচআইভি/এইডস ও ডেঙ্গুর ক্ষেত্রে।

এপিডেমিওলজিস্ট ও চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা বারবার সতর্কবার্তা দিচ্ছেন- ভাইরাসটি আবারও আঘাত হানতে পারে, সম্ভবত আসন্ন শীতকালেই। চীন ও দক্ষিণ কোরিয়ায় ভাইরাসটির পুনরাবির্ভাবের কথা আমরা ইতোমধ্যেই শুনেছি। ভাইরাসটির দ্বিতীয় ধাক্কা আরও বেশি মারাত্মক এবং  ১৯১৮-১৯ সময়কালের স্প্যানিশ ফ্লুর মতোই ভয়ঙ্কর হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেটি আরও মারাত্মক অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের কারণ হতে পারে।

তাড়াহুড়ো করে আমেরিকান অর্থনীতির চাকা পুনরায় সচল করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় ট্রাম্প প্রশাসনের সমালোচনা করে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ পল ক্রুগম্যান 'নিউ ইয়র্ক টাইমস' পত্রিকায় মহাগুরুত্বপূর্ণ এক লেখা লিখেছেন।

এই প্রসিদ্ধ অর্থনীতিবিদ লিখেছেন: 'নিশ্চিতভাবেই, মহামারির পূর্বাভাস দেওয়া ভীষণ অনিশ্চিত ব্যাপার। তবে এই অনিশ্চয়তার মানে এ সম্পর্কে কম নয়, বরং অধিক সাবধান থাকা জরুরি। (অর্থনীতির চাকা) বেশি দেরি করে সচল করা মানে, আমরা কিছু টাকা খোয়াব। খুবই তাড়াহুড়ো করে সচল করা মানে, সংক্রমণের একটি বিধ্বংসী দ্বিতীয় ধাক্কার ঝুঁকিতে আমাদের পড়ে যাওয়া, যেটি শুধু প্রচুর আমেরিকানকে মেরেই ফেলবে না, বরং হয়তো দ্বিতীয় ও আরও বেশি অগ্নিমূল্যের লকডাউন আরোপ করতে বাধ্য করবে।'

এমন সতর্কবার্তা শুধু তিনি একাই দেননি। পৃথিবীজুড়ে অর্থনীতিবিদ ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা একই ধরনের সতর্কবার্তা বারবার দিয়ে যাচ্ছেন। এই সতর্কবার্তা আমাদের জন্য, পৃথিবীর সবার জন্যই প্রযোজ্য।

প্রিয় অর্থমন্ত্রী, আপনি জানেন, স্বাস্থ্য ও অর্থনীতি- উভয়ের সংকটই খুব বড় ও অভূতপূর্ণ। আপনাকে দুটি সংকটই খেয়াল রাখতে হবে।

আপনার প্রস্তাবিত বাজেটে যদি স্বাস্থ্যসেবা গুরুত্ব কম পায়, তার ফল একটি গভীরতর অর্থনৈতিক সংকট সৃষ্টি করতে পারে; ঘুরে দাঁড়ানোর গতি করে দিতে পারে মন্থর। এটি মানুষের জীবনধারণের লড়াইকে করে তুলবে আরও কঠিন। মানুষ যদি যথেষ্ট পরিমাণ উপার্জন করতে না পারে, খাদ্য ও স্বাস্থ্যসেবার পেছনে যথেষ্ট খরচ করতেও সক্ষম হবে না। তাদের পক্ষে ভালো থাকা সম্ভব হবে না। কোভিড-১৯-এর সামনে অরক্ষিতই রয়ে যাবে তারা। যদি তারা আক্রান্ত হয়, তাদের পরীক্ষা করার ও চিকিৎসা দেওয়ার সক্ষমতা স্বাস্থ্যসেবা সিস্টেমের অবশ্যই থাকা উচিত। তা করতে ব্যর্থ হলে মানুষের জীবনের পাশাপাশি অর্থনীতির পুনরুদ্ধারের পথও বিপণ্ন হয়ে উঠবে।

ফলে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ধাক্কার জন্য স্বাস্থ্যসেবা সিস্টেমকে প্রস্তুত করার কোনো বিকল্প নেই। অর্থমন্ত্রীকে এখন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ভূমিকায়ও অবতীর্ণ হতে হবে- এমন কথা শুনতে জানি খানিকটা আজব লাগছে, তবে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের দোহাইয়ে একটি শক্তিশালী স্বাস্থ্যসেবা সিস্টেম গড়ে তোলার জন্য বাজেটে বড় ধরনের বরাদ্দ রাখার প্রশ্নে অন্তত সেটিই শ্রেয়। 

স্বাস্থ্যখাতের সংকট আরও অনেক সংকটের কারণ হয়ে ওঠে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এই বৈশ্বিক মহামারি দেশে দরিদ্রের হার দ্বিগুণ এবং মানুষের জীবন অরক্ষিত করে তুলবে; তাই সামাজিক নিরাপত্তা প্রকল্পের অধীনে বাজেটে বরাদ্দ ও সুযোগ-সুবিধা আপনাকে বাড়াতে হবে। খাদ্যমূল্য স্বল্প আয়ের মানুষদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার জন্য এ খাতে বাড়াতে হবে ভর্তুকি।

এ একেবারেই এক 'ইউনিক' পরিস্থিতি। এ রকম কঠিন সময়ের মুখোমুখি আপনার আর কোনো পূর্বসূরিকে হতে হয়নি।

জানি, চ্যালেঞ্জটি বড়; তবে চ্যালেঞ্জ উৎরে আসার জন্য নির্ভর করার জায়গা আপনার কম। কেননা, বড় বড় সব অর্থনৈতিক সূচকই এখন ভীষণ দুর্বল দেখাচ্ছে। তারপরও কর্মসংস্থান তৈরি পেছনে বড় ধরনের অর্থব্যয়ের প্রতিশ্রুতি আপনাকে দিতেই হবে। বেসরকারি খাতে বড় ধরনের প্রণোদনা দিতেই হবে, যেন তারা এই মহামারির অভিঘাত কাটিয়ে উঠতে পারে। বস্তুত, আপনাকে একটু বেশিই দিতে হবে। বিনিময়ে, বড় অর্থব্যয়ের বিপরীতে আপনাকে পাওয়ার প্রত্যাশা করতে হবে কম। বেশি উপার্জনের জন্য যদি কর বাড়িয়ে দেন, তাহলে সেটি মহামারিতে ইতোমধ্যেই নিদারুণ ভুগতে থাকা মানুষের ওপর বাড়তি বোঝা হয়ে ওঠবে।

ব্যাংকখাত থেকে ঋণগ্রহণ তাদের ওপর বাড়তি বোঝা হয়ে উঠতে পারে। সরকার ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের অধীনে ইতোমধ্যেই তাদের কাছ থেকে ব্যবসার জন্য ১ লাখ কোটি টাকা প্রণোদনা ঋণ চাওয়া হয়েছে। চলতি অর্থবছরের মতো সরকার যদি ব্যাংকগুলো থেকে এভাবে হরদম ঋণ নিতে থাকে, তাহলে বেসরকারি খাতের আমানত বৃদ্ধি খুবই বাজে পরিস্থিতিতে পড়ে যেতে পারে।

ব্যবসার জন্য শেয়ার বাজার একটি বিকল্প ফান্ডিং সোর্স হতে পারে। কিন্তু শেয়ার বাজার নিজেই তো রুগ্ণ। এটির নিজেরই শুশ্রূষা ও প্রণোদনা প্রয়োজন। ফলে বাজেট ঘাটতি সামলানোর জন্য বৈদেশিক উৎসগুলোই আপনার শেষ আশ্রয়।

আপনার অসুবিধাগুলো আমরা বুঝি। কিন্তু অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের জন্য রাজস্বের সাপোর্ট নিয়ে আপনাকে এগিয়ে আসতে হবেই। আপনি জানেন, এই অর্থনৈতিক সংকট উৎরে আসার একেবারেই পুরোভাগে রয়েছে রাজস্ব-নীতির সাপোর্ট। উন্নত অর্থনীতির দেশে আপনার ভূমিকায় যারা রয়েছেন, তারা ভাগ্যবান। নিজেদের অর্থনীতির প্রতিঘাত সামলানোর জন্য নিজেদের জিডিপির ১৫ থেকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত বিশাল পরিমাণ প্রণোদনা প্যাকেজ তারা ইতোমধ্যেই ঘোষণা করেছেন। বলা বাহুল্য, তাদের স্বাস্থ্যসেবা খাত খুবই শক্তিশালী এবং তারা ১০ শতাংশেরও বেশি অর্থব্যয় করেন স্বাস্থ্যখাতে। কিন্তু আমাদের পক্ষে জিডিপির মাত্র ২ শতাংশ পরিমাণ অর্থ প্রণোদনা প্যাকেজে যুক্ত করা সম্ভব হয়েছে। অন্যদিকে স্বাস্থ্যখাতে আমাদের অর্থব্যয় জিডিপির এক শতাংশের চেয়েও কম।

প্রিয় অর্থমন্ত্রী, দেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতার ভিত্তিতে সেরা প্রস্তাবই আপনি পেশ করবেন, এ বিশ্বাস আমাদের রয়েছে। তবু প্রতিটি পর্যায়ে অদক্ষ আমলাতন্ত্র ও অভিযুক্ত দুর্নীতির কারণে সেগুলোর যথাযোগ্য বাস্তবায়নের ব্যাপারে আপনাকে উদ্বিগ্ন থাকতে হবেই। আপনি যে বাজেট দেবেন, সেটির মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য যেন অর্জন করতে পারেন, সে কারণে আয়-ব্যয় পরিচালনাকে আরও শক্তিশালী করতে এ ব্যাপারে আপনার মনোযোগ দিতেই হবে।

তবে সবচেয়ে বড় কথা, স্বাস্থ্য সংকট অর্থনৈতিক সংকটের কারণ হয়ে ওঠে- এ কথা মাথায় রাখতে হবে আপনাকে। স্বাস্থ্য সংকট যতদিন নিয়ন্ত্রণে না আসে কিংবা সমাধান না হয়, ততদিন পর্যন্ত অর্থনৈতিক সংকটের সমাধানও সম্ভব নয়। 'লকডাউন' তুলে নেওয়ার প্রথম সপ্তাহে এটি প্রমাণ হয়ে গেছে। ফলে বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে আপনি যে নতুন বাজেট উত্থাপন করতে যাচ্ছেন, সেখানে অন্যসব অর্থনৈতিক বিষয়ের চেয়ে বেশি মাত্রায় গণস্বাস্থ্য ও সামাজিক নিরাপত্তা গুরুত্ব পাওয়া উচিত। এটি সময়ের দাবি।

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.