নোবেলজয়ী ছয়জন পেয়েছিলেন অস্কারের মনোনয়ন, জিতেছেন কয়জন?
বিনোদন
এখন পর্যন্ত ছয়জন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী একাডেমি পুরস্কারের (অস্কার) জন্য মনোনীত হয়েছেন। সম্প্রতি ২০১৭ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী কাজুও ইশিগুরো 'লিভিং' সিনেমার জন্য ২০২৩ সালের অস্কারের 'বেস্ট এডাপ্টেড স্ক্রিনপ্লে' এর মনোনয়ন পেয়েছিলেন। সাহিত্যে অবদানের জন্য ২০১৭ সালে তাকে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়।
অন্যান্য নোবেল পুরস্কার বিজয়ী যারা একাডেমি পুরস্কারের (অস্কার) জন্য মনোনীত হয়েছিলেন তাদের মধ্যে রয়েছেন জর্জ বার্নার্ড শ, জন স্টেইনবেক, জঁ-পল সার্ত্র, হ্যারল্ড পিন্টার এবং বব ডিলান।
এর মধ্যে শুধু জর্জ বার্নার্ড শ এবং বব ডিলানই অস্কার পুরস্কার পেয়েছেন। ১৯৩৯ সালে 'সেরা লেখা' এবং তাঁর নাটক পিগম্যালিয়নকে চিত্রনাট্যে রূপান্তর করার জন্য বার্নার্ড শ অস্কার পেয়েছিলেন। নোবেলপ্রাইজ.ওআরজির তথ্য অনুসারে, তিনি ১৯২৫ সালে তার নাটক 'পিগম্যালিয়ন' এর জন্য সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেছিলেন।
বব ডিলান "থিংস হ্যাভ চেঞ্জড' গানটির জন্য ২০০১ সালে সেরা মৌলিক গানের অস্কার পেয়েছিলেন। ২০১৬ সালে ডিলানকে মার্কিন সঙ্গীতের ধারায় 'কাব্যের সংযোজন ঘটানোর' কৃতিত্বের জন্য সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল। এই কৃতিত্বের মাধ্যমে ডিলান নোবেল পুরস্কার বিজয়ী প্রথম সঙ্গীতশিল্পী হয়ে ওঠেন। কিন্তু বিবিসির তথ্য অনুযায়ী, পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের তিন মাসেরও বেশি সময় পরে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার গ্রহণ করেছিলেন বব ডিলান।
আইএমডিবির তথ্য অনুসারে, ১৯৬২ সালে সাহিত্যে নোবেলজয়ী জন স্টেইনবেক তিনটি অস্কার মনোনয়ন পেয়েছিলেন। ১৯৪৫ সালে 'লাইফবোট' সিনেমার জন্য 'সেরা লেখা এবং মূল কাহিনি' বিভাগে মনোনয়ন, ১৯৪৬ সালে 'এ মেডেল ফর বেনী' সিনেমার জন্য 'সেরা লেখা এবং মূল কাহিনি' বিভাগে মনোনয়ন এবং ১৯৫৩ সালে 'ভিভা জাপাতা!' সিনেমার জন্য 'সেরা লেখা, গল্প এবং স্ক্রিনপ্লে' বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছিলেন তিনি। 'দ্য গ্রেপস অব র্যাথ' উপন্যাসের জন্য তিনি ১৯৬২ সালে নোবেল পুরস্কার জিতেছিলেন।
এছাড়া ১৯৫৭ সালে 'দ্য প্রাউড এন্ড দ্য বিউটিফুল' সিনেমার জন্য জঁ-পল সার্ত্রকে 'সেরা লেখা' এবং 'মোশন পিকচার স্টোরি' বিভাগে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল। ১৯৬৪ সালে সার্ত্রকে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হলেও নোবেলপ্রাইজ.ওআরজির তথ্য অনুসারে, তিনি সেটি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।
সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য ২০০৫ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পাওয়া হ্যারল্ড পিন্টার দুইবার অস্কার মনোনয়ন পেয়েছিলেন। আইএমডিবির তথ্য অনুসারে, ১৯৮২ সালে 'দ্য ফ্রেঞ্চ লেফটেনেন্ট'স ওয়াইফ' এবং ১৯৮৪ সালে 'বিট্রেয়াল' সিনেমার জন্য 'সেরা স্ক্রিনপ্লে' এবং স্ক্রিনপ্লে বেসড অন ম্যাটেরিয়াল ফ্রম এনাদার মিডিয়াম' বিভাগে তিনি অস্কার মনোনয়ন পেয়েছিলেন।
Comments
While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.