বছরের পর বছর সেন্সরে আটকে সিনেমা, ‘শনিবার বিকেল’ নিয়ে সরব ফারুকী

প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে সেন্সর জটিলতায় আটকে রয়েছে দেশের স্বনামধন্য চলচ্চিত্র নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর চলচ্চিত্র 'শনিবার বিকেল'। এই ছবি নিয়ে একাধিকবার সোশ্যাল মিডিয়ার সরব হয়েছেন ফারুকী। সম্প্রতি তাকে সমর্থন দিয়েছেন গণমাধ্যমের একাধিক পরিচিত মুখ।

'শনিবার বিকেল' নিয়ে নতুন করে আলোচনা-সমালোচনা শুরুর কারণ, একই গল্পের ওপর ভিত্তি করে 'ফারাজ' নামের একটি চলচ্চিত্র মুক্তি পেতে যাচ্ছে ভারতে. অথচ বিশ্বজুড়ে আলোচিত এ ঘটনাটি ঘটেছিল বাংলাদেশের গুলশানে এবং এত বছর চেষ্টা করেও ফারুকীর সিনেমাটি আলোর মুখ দেখেনি। 

পরিচালক ফারুকী একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টিং উল্লেখ করে লিখেছেন, অনৈতিকভাবে তার সিনেমাটি আটকে রাখা হয়েছে। গেল শুক্রবার ফেসবুকে তিনি লেখেন, "ভাবমূর্তি এবং অন্যান্য বিষয়ে বানোয়াট কথার উত্তরে ছোট করে কিছু ফিডব্যাক শেয়ার করবো। প্রথমেই দ্য হলিউড রিপোর্টার থেকে:

দুঃখজনক কথা হচ্ছে সিনেমাটা বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করা হয়েছে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করা এবং ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা তৈরি করার আশংকায়। কিন্তু সিনেমাটা দেখে যেটা বোঝা যায়- এই সিনেমা যদি কিছু করতে পারে তা হলো বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বাড়াতে সাহায্য করা। এমনকি ধর্মীয় সহিষ্ণুতার ব্যাপারেও জোরালো আবেদন তৈরি করে এ সিনেমা।"

গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার গল্পের প্রেক্ষাপটে ফারুকী নির্মাণ করেছিলেন 'শনিবার বিকেল'। বিদেশে সিনেমাটির প্রদর্শনী হলেও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র না পাওয়ায় এদেশের দর্শক সিনেমাটি দেখার সুযোগ পায়নি।

এ প্রসঙ্গে গত বৃহস্পতিবার ফেসবুকে আরেকটি পোস্ট দিয়েছিলেন ফারুকী। তিনি লিখেছেন, 'শুধু এইটুকুই বলতে চাই, অনেক হয়েছে! এবার ক্ষান্ত দিই আসেন। শাক দিয়ে মাছ ডাকা যাবে না কারণ আমরা শাকও চিনি, লুকিয়ে থাকা মাছও চিনি। আর কোনো কথা নাই। দাবি একটাই। 'ফারাজ' মুক্তির আগেই 'শনিবার বিকেল' মুক্তি নিশ্চিত করতে হবে। বাংলাদেশের ফিল্মমেকার, শিল্পী, সবেচেয়ে বড় কথা আমাদের সবার আত্মমর্যাদার প্রশ্ন।" 

আরও লিখেছেন, 'এবারের সংগ্রাম, মুক্তির সংগ্রাম'। বাংলাদেশের সেন্সর বোর্ডের কাছে পরিচালকের দাবি, ফেব্রুয়ারি মাসের ২ তারিখের আগেই এই ছবির মুক্তি নিশ্চিত করতে হবে।

প্রসঙ্গত, 'শনিবার বিকেল' সিনেমায় বিভিন্ন দেশের শিল্পীরা অভিনয় করেছেন। বাংলাদেশের জাহিদ হাসান, নুসরাত ইমরোজ তিশা, মামুনুর রশীদ, ইরেশ যাকের, ইন্তেখাব দিনার, গাউসুল আলম শাওন এর পাশাপাশি অভিনয় করেছেন ভারতের পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, ফিলিস্তিনের ইয়াদ হুরানি সহ আরও অনেকে।