মেয়েকে ট্রোল, বিষণ্ণতা, রিহ্যাবে যান ৩ বার    

বিনোদন

হিন্দুস্তান টাইমস
27 November, 2022, 03:45 pm
Last modified: 27 November, 2022, 03:58 pm
তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে ডিপ্রেশনে ভুগেছিলেন অনুরাগ কাশ্যপ। তিনবার পুনর্বাসন থেকে ফিরে এসেছেন। অনেক চেষ্টার পর নিজেকে জীবনের সেই অন্ধকার দিক থেকে বের করে এনেছেন এই পরিচালক।

জীবনে ভালো সময় যেমন আমাদের আনন্দ দেয়, তেমনি খারাপ সময় প্রচুর কিছু শিখিয়ে দেয়। এই খারাপ সময়টা ঠেলে সরিয়ে এগিয়ে যাওয়ার নামই জীবন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলিউড পরিচালক অনুরাগ কাশ্যপ, জীবনের সেই অন্ধকার সময় নিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন।

তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে ডিপ্রেশনে ভুগেছিলেন অনুরাগ কাশ্যপ। তিনবার পুনর্বাসন থেকে ফিরে এসেছেন। অনেক চেষ্টার পর নিজেকে জীবনের সেই অন্ধকার দিক থেকে বের করে এনেছেন বলে জানিয়েছেন পরিচালক।

২০১৯ সালের আগস্ট মাসে টুইটার অ্যাকাউন্ট ডিঅ্যাক্টিভেট করে দিয়েছিলেন অনুরাগ। পরিচালক জানালেন সে সময় তিনি বিষণ্ণতায় ভুগেছিলেন। ভারতের নাগরিকত্ব (সংশোধন) আইনের (সিএএ) বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন অনুরাগ। সিএএ-বিরোধী বিক্ষোভে অংশ নিতে দিল্লীর জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন।

সম্প্রতি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অনুরাগ জানিয়েছেন, 'সেই সময়ে আমি টুইটার বন্ধ করে দিয়েছিলাম। আমার মেয়েকে ট্রোল করা হচ্ছিল এমনকি ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়েছিল। ও নিজেও খুব ডিপ্রেশনে ভুগছিল। এরপর শ্যুটিংয়ের কাজে পর্তুগাল চলে যাই। লন্ডনে শ্যুটিং করি। এরপরই পুরো জামিয়া মিলিয়ার ঘটনা ঘটে। আমি ভারতে ফিরি। দেখি কেউ আমার সঙ্গে কথা বলছে না, যা সহ্য করা খুব কঠিন ছিল।"

একই সাক্ষাৎকারে অনুরাগ গত বছরে তার হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়ে কথা বলেছেন। গত বছর অ্যানজিওপ্লাস্টি করিয়েছিলেন পরিচালক। কাজে ফিরে আসার প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, "অন্যান্যদের মতো আমার কাছে বসে অপেক্ষা করার বিলাসিতা নেই।" 

মেয়ে আলিয়া কাশ্যপের সাথে

তবে এখন সুস্থ আছেন তিনি। সবকিছু ঠেলে সরিয়ে কাজে ফিরেছেন। অনুরাগ কাশ্যপ পরিচালিত আগামী ছবি 'পেয়ার উইথ ডিজে মহব্বত' ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে মুক্তি পাবে।  

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.