লাইফ সাপোর্টে থাকা কিশোরীকে বাঁচাতে ১৭,০০০ পাউন্ড দিলেন কেট উইন্সলেট 

বিনোদন

টিবিএস ডেস্ক   
14 November, 2022, 11:35 am
Last modified: 14 November, 2022, 12:30 pm
সেরিব্রাল পালসিতে আক্রান্ত ফ্রেয়া বেঁচে আছে লাইফ সাপোর্ট যন্ত্রের সাহায্যে, যেটি চালাতে ফ্রেয়ার পরিবারের বছরে খরচ হয় ৬,৫০০ পাউন্ড। কিন্তু এই বিপুল পরিমাণ বিদ্যুৎ বিলের খরচ টানতে হিমশিম খাচ্ছিল তার পরিবার।
হলিউড অভিনেত্রী কেট উইন্সলেট। ছবি: সংগৃহীত

গণমাধ্যম মারফত সেরিব্রাল পালসিতে আক্রান্ত এক কিশোরীর অসুস্থতার খবর পেয়ে তার চিকিৎসার জন্য ১৭,০০০ পাউন্ড দান করেছেন  'টাইটানিক' খ্যাত অভিনেত্রী কেট উইন্সলেট।  বিবিসি স্কটল্যান্ডের  এক প্রতিবেদন থেকে ফ্রেয়া নামের ওই কিশোরীর সংগ্রামের কথা জানতে পেরে তাকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন এই হলিউড অভিনেত্রী।    

বিবিসি সূত্রে জানা যায়, ১২ বছর বয়সী ফ্রেয়া স্কটল্যান্ডের বাসিন্দা। সেরিব্রাল পালসিতে আক্রান্ত হয়ে অনেকদিন যাবত সে শয্যাশায়ী। লাইফ সাপোর্ট যন্ত্রের সাহায্যে ছোট্ট মেয়েটির প্রাণটুকু বেঁচে রয়েছে। সেরিব্রাল পালসি ছাড়াও, নিঃশ্বাস নিতে সমস্যার কারণে কৃত্রিম অক্সিজেন নিতে হয় ফ্রেয়াকে, বিশেষ করে রাতের বেলায়।  

কিন্তু লাইফ সাপোর্ট যন্ত্রের কারণে আসা বিপুল পরিমাণ বিদ্যুৎ বিল নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন ফ্রেয়ার মা ক্যারোলিন হান্টার। বিদ্যুৎ সংস্থা থেকে এরই মধ্যে সতর্কবার্তাও দেওয়া হয়েছে তাকে। 

মা ক্যারোলিন (ডানে) ও বোন কেটির (বামে) সাথে ফ্রেয়া হান্টার। ছবি: বিবিসি

বিবিসি স্কটল্যান্ড-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই লাইফ সাপোর্ট চালাতে ফ্রেয়ার পরিবারের বছরে খরচ হয় ৬,৫০০ পাউন্ড। কিন্তু এই বিপুল পরিমাণ বিদ্যুৎ বিলের খরচ টানতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ফ্রেয়ার মা ক্যারোলিনকে। বিষয়টি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর নজর কেড়েছিল কেটের। একটি বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে তিনি যোগাযোগ করেন হান্টার পরিবারের সঙ্গে। শুধু যোগাযোগ করাই নয়, ফ্রেয়াকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য ১৭ হাজার পাউন্ড দিয়ে সহযোগিতা করেন।

অস্কারজয়ী হলিউড অভিনেত্রীর এই মানবিক গুণে মুগ্ধ ফ্রেয়ার মা ক্যারোলিন বলেন, "একটা আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছিলাম। একটা সময় মনে হয়েছিল সব শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু যখন অর্থসাহায্যের খবর পেলাম, কান্নায় ভেঙে পড়েছিলাম। বিশ্বাসই হচ্ছিল না।" 

সূত্র: বিবিসি 
 

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.