কেট মসকে সাক্ষ্য দিতে রাজি করানোর জন্য কল দিয়েছিলেন ডেপের আইনজীবিরা 

বিনোদন

টিবিএস ডেস্ক
17 September, 2022, 02:00 pm
Last modified: 17 September, 2022, 02:10 pm
ডিসকভারি প্লাসে মুক্তি পাওয়া প্রামাণ্যচিত্রে আলোচিত মানহানি মামলার ভেতরের অনেক গল্পই তুলে ধরা হয়েছে, যা এতদিন বাইরের মানুষের অজানা ছিল। এক পর্যায়ে দেখা যায়, ডেপের আইনি দল কেট মসকে কল করছেন।

জনি ডেপ-অ্যাম্বার হার্ড মানহানি মামলা নিয়ে নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র মুক্তি পেয়েছে ডিসকভারি প্লাসে। সেখানে দেখা গেছে, জনি ডেপের প্রাক্তন প্রেমিকা কেট মসকে এ মামলায় সাক্ষ্য দিতে বুঝিয়ে রাজি করানোর জন্য কল দিয়েছিলেন ডেপের আইনজীবিরা। 

ডিসকভারি প্লাসে মুক্তি পাওয়া প্রামাণ্যচিত্রে আলোচিত এই মানহানি মামলার ভেতরের অনেক গল্পই তুলে ধরা হয়েছে, যা এতদিন বাইরের মানুষের অজানা ছিল। ইতোমধ্যেই লাখ লাখ মানুষ প্রামাণ্যচিত্রটি দেখেছেন এবং সোশ্যাল মিডিয়াতেও চলছে এ নিয়ে চর্চা। 

নতুন মুক্তি পাওয়া প্রামাণ্যচিত্রে ডেপের আইনজীবিদের কাজের গভীরে নিয়ে দেখানো হয়েছে। প্রথম দুটি এপিসোডে ডেপের পক্ষের গল্পই দেখানো হয়েছে। এক পর্যায়ে দেখা যায়, ডেপের আইনজীবি কামিলে ভাসকেজসহ অভিনেতার আইনি দল কেট মসকে কল করছেন। উদ্দেশ্য ছিল, মামলায় সাক্ষ্য দিতে তাকে রাজি করানো।

১৯৯৪ সাল থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত কেট মসের সাথে প্রেমের সম্পর্কে ছিলেন ডেপ। ডেপের আইনজীবি কামিলে ভাসকেজ বলেন, "আমরা আশা করেছিলাম যে কেট মসকে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য রাজি করাতে পারবো। কিন্তু কেট সম্পর্কে যা যা জানলাম, তারপর মনে হয়েছিল তিনি আসলে সাক্ষ্য দেবেন না। কারণ তিনি গোপনীয়তা বজায় রাখতে খুব পছন্দ করেন এবং এই মামলায় সাক্ষ্য দিয়ে তার কোনো লাভ নেই।"

এরপরে ভাসকেজ ফোনে কেট মস বা তার টিমের সাথে কথা বলতে থাকেন: "আপনি যদি কালকের মধ্যে আমায় কথা দেন, আমি সব প্রশ্নের উত্তর দিবো। আপনি আমাকে একটা ক্ষুদেবার্তা পাঠালেই হবে।"

শেষ পর্যন্ত কেট মস রাজি হয়েছিলেন সাক্ষ্য দিতে, এবং তা ডেপের পক্ষেই দিয়েছেন। 

অ্যাম্বার হার্ডের কথার প্রেক্ষিতে কেট মসের নাম জড়িয়ে যায় এ মামলায়। কিন্তু অনলাইনে সাক্ষ্য দেওয়ার সময় কেট মস জানান, ডেপ কোনোদিনই তাকে সিড়ি থেকে ফেলে দেননি বা ধাক্কা দেননি।

সাবেক স্ত্রী অ্যাম্বার হার্ডের বিরুদ্ধে আনা মানহানি মামলায় জয় লাভ করেন হলিউড অভিনেতা জনি ডেপ। ভার্জিনিয়ার আদালত দুই পক্ষকেই দোষী সাব্যস্ত করলেও, অ্যাম্বার হার্ডের ডেপকে দিতে হবে ১৫ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ। অন্যদিকে, আদালতে ডেপকে আদেশ দেন অ্যাম্বার হার্ডকে ২ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে।

এর আগে ২০১৮ সালে ওয়াশিংটন পোস্টের একটি উপ-সম্পাদকীয়তে অ্যাম্বার হার্ড পরোক্ষভাবে জনি ডেপকে 'ওয়াইফ-বিটার' বা স্ত্রীকে মারধোর করেন বলে আখ্যা দেন। তিনি নিজে গৃহ-সহিংসতার শিকার বলে দাবি করেন। এর প্রেক্ষিতে হলিউড ডেপকে বর্জন করে এবং এতে 'পাইরেটস অব দ্য ক্যারিবিয়ান' তারকার ক্যারিয়ারে ধ্বস নামে। এরপরেই অ্যাম্বারের বিরুদ্ধে পাল্টা মানহানি মামলা করেন ডেপ।

সূত্র: দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট 

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.