মাঝেমধ্যেই মায়ের পোশাক পরে ম্যাডোনা-পুত্র ডেভিড!

বিনোদন

টিবিএস ডেস্ক
15 August, 2022, 03:15 pm
Last modified: 15 August, 2022, 03:43 pm
১৬ বছরের ডেভিড পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড় কিন্তু ভালোবাসে ফ্যাশন নিয়ে নিরীক্ষা করতে।

বয়স মাত্র ১৬। কিন্তু এইটুকুন বয়সেই নিজের ফ্যাশন আর স্টাইলে টেক্কা দিচ্ছে বড় বড় তারকাদের। বলছি পপগায়িকা সুপারস্টার ম্যাডোনার ছেলে ডেভিড বান্ডার কথা।  

ম্যাডোনা নিজেও তার ফ্যাশন আর পোশাকের জন্য কম আলোচিত নন। কিন্তু ছেলে যেন ছাড়িয়ে যাচ্ছে তাকেও।  

খোদ ম্যাডোনাই এক সাক্ষাতকারে স্বীকার করে নিয়েছেন, "যাই পরুক না কেন, সে খুব ভালোভাবে তা ফুটিয়ে তুলতে পারে।"

জিমি ফ্যালকনের উপস্থাপনায় জনপ্রিয় মার্কিন টক শো 'দ্য টুনাইট শো'তে ম্যাডোনা আরও জানান, ছেলে নাকি মাঝে মাঝে মায়ের পোশাকও পরে নেয়!

"এটা খুবই বিরক্তিকর। সে আমার পোশাকও পরে এবং তাকে তখন আমার চেয়েও ভালো দেখায়।"

মে মাসে নিউইয়র্কের ব্রুকলিনে এক বক্সিং প্রতিযোগিতায় দেখা দেন এই মা-ছেলে জুটি। গুচ্চি আর অ্যাডিডাসের ম্যাচিং আউটফিট পরেছিলেন তারা।

কালো ট্র্যাকসুটে ম্যাডোনা দ্যুতি ছড়ালেও সব আলো যেন কেড়ে নেন ডেভিড। টকটকে লাল রঙা 'ভি' গলার একটি ড্রেস পরেছিলেন তিনি। 

এমনিতে ডেভিড পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড়, পর্তুগালের স্বনামধন্য বেনফিকা একাডেমি থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছে সে। কিন্তু ভালোবাসে ফ্যাশন নিয়ে নিরীক্ষা করতে। জন্মদিনের পার্টিতে যেমন কালো টাক্সেডোতে স্বচ্ছন্দ্য, তেমনি ইনস্টাগ্রামের ভিডিওতে ভাইবোনের সাথে আনন্দে মেতে ওঠার সময় ম্যাডোনা-পুত্রের গায়ে দেখা যায় স্লিপ ড্রেস। বলা যায়, পোশাকের ক্ষেত্রে ডেভিড বান্ডার কাছে লৈঙ্গিক পরিচয় মুখ্য নয়। 

আরেকদিন মায়ের সাথে নিউইয়র্কে বেড়ানোর সময় ডেভিডের গায়ে ছিল নীল রঙের লেপার্ড প্রিন্টের সিল্ক জ্যাকেট। নারীদের একটি পোশাক ব্র্যান্ড থেকে পছন্দ করেছিলেন ট্রাউজার। চোখে সানগ্লাস, জ্যাকেটের বোতাম রেখেছিলেন খোলা। নেটমাধ্যমে ডেভিডের এ লুক নিয়ে আলোচনা চলে বিস্তর।

২০০৫ সালে আফ্রিকার মালাউইতে জন্ম ডেভিডের। এক অনাথ আশ্রম থেকে ডেভিডকে দত্তক নেন ম্যাডোনা এবং তার সাবেক স্বামী, ব্রিটিশ পরিচালক গাই রিচি। 

  • সূত্র- সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট 
     

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.