১৫ তলা বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ করতে এফডিসির ফ্লোর ভাঙা শুরু

বিনোদন

অপূর্ণ রুবেল
09 July, 2020, 03:50 pm
Last modified: 09 July, 2020, 04:58 pm
একসময় শুটিংয়ে ব্যস্ত থাকা, অভিনয়শিল্পী কলাকুশলীতে মুখর ফ্লোর দুটিতে এখন শ্রমিকদের হাতুড়ির শব্দ।  সেখানে ফ্লোর ভাঙার কাজ করছেন অর্ধ শতাধিক শ্রমিক।

গত সপ্তাহ থেকে শুরু হয়েছে বাংলাদেশ ফিল্ম ডেভলেপমেন্ট করপোরেশনের (বিএফডিসি)  দুটি ফ্লোর ভাঙার কাজ। সেখানে উঠবে একটি ১৫ তলা ভবন। এফডিসরি মূল গেট থেকে হেঁটে গেলে যে দুটি ফ্লোর প্রথম চোখে পড়ে, সেগুলোই ভাঙা হচ্ছে। পাশাপাশি মূল গেটের মাঠের পাশের একতলা ছোট ভবনটাও ভেঙে ফেলা হচ্ছে। 

গতকাল সরেজমিনে দেখা যায়, একসময় শুটিংয়ে ব্যস্ত থাকা, অভিনয়শিল্পী কলাকুশলীতে মুখর ফ্লোর দুটিতে এখন শ্রমিকদের হাতুড়ির শব্দ।  সেখানে ফ্লোর ভাঙার কাজ করছেন অর্ধ শতাধিক শ্রমিক।

এফডিসির কারিগরি ও প্রকৌশল পরিচালক ও প্রকল্পটির সহকারী পরিচালক কে এম আইয়ুব আলী জানিয়েছেন, ফ্লোর দুটি ভেঙে অত্যাধুনিক ১৫ তলা কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হচ্ছে। তিন মাস লাগবে ফ্লোর দুটি ভাঙতে। নতুন ভবন তৈরির কাজ শুরু হতে নভেম্বর-ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত লেগে যেতে পারে।

এফডিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা হিমাদ্রী বড়ুয়া বলেন, এফডিসিতে বহুতল কমপ্লেক্স নির্মাণ করতেই এসব পুরনো স্থাপনা ভাঙার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বর্তমান সরকার এফডিসির আধুনিকায়ন করার জন্য ৯৪ কাঠা জমির ওপর নতুন এ ভবন নির্মাণের করছে। বহুতল ভবন হলে এফডিসির আয় বাড়বে এবং শুটিং ফ্লোরের অভাবও দূর হবে। এখানে হবে ৭৩ হাজার ৪৬৯ বর্গমিটারের ফ্লোর।

জানা গেছে, এফডিসিকে আধুনিকভাবে গড়ে তুলতে ২০১৮ সালের ৩ অক্টোবর ৩২২ কোটি ৭০ লাখ টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন করে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।

প্রকল্পের সহকারী পরিচালক কে এম আইয়ুব আলী জানান, নতুন ভবনে থাকবে হোটেল অ্যাকোমুডেশান, করপোরেট অফিস, সুইমিংপুল। চ্যানেলের জন্য দুটি ফ্লোর রাখার প্ল্যান আছে; থাকবে ফুডকোট, বিআরটিএ অফিস। এছাড়া ভবনের টপফ্লোরে থাকবে আধুনিক মাল্টিপ্লেক্স।

জানা গেছে, নতুন ভবন নির্মাণ কাজ শেষ করতে ২-৩ বছর লেগে যেতে পারে। এই সময়ে এফডিসিতে ফ্লোর সংকট থাকবে। কারণ, এইরমধ্যে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের অনুষ্ঠান নির্মাণের জন্য দুটি ফ্লোর বছরজুড়ে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। এ কারণে পুরোদমে চলচ্চিত্র নির্মাণ শুরু হলে ফ্লোরের সংকট তৈরি হবে।

এদিকে এফডিসিতে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকটি সংগঠনের অফিস রয়েছে। প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতা বলেন, এফডিসিতে ভবন নির্মাণের চেয়ে চলচ্চিত্রের যে সংকট রয়েছে, সেটা দূর করা জরুরি। ভালো সিনেমা হচ্ছে না, সিনেমা হল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, এদিকে করোনায় আর্থিক ক্ষতি। সব মিলিয়ে এই সময় সবার আগে জরুরি ছিল সিনেমা বাঁচানো।'

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.