মা হতে চান ব্রিটনি, কিন্তু সেই অধিকার কেড়ে নিচ্ছে ‘আইন’!

বিনোদন

টিবিএস ডেস্ক
24 June, 2021, 02:05 pm
Last modified: 24 June, 2021, 02:06 pm
আমেরিকান র‍্যাপার কেভিন ফেডারলাইনের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর থেকে গত ১৩ বছর ধরে কনজারভেটরশিপে রয়েছেন এই পপ মেগাস্টার।

তুমুল জনপ্রিয় আমেরিকান গায়িকা ব্রিটনি স্পিয়ার্স জানিয়েছেন, বিয়ে করে সংসার পাততে এবং আবারও সন্তানের মা হতে তিনি মুখিয়ে রয়েছেন। অথচ তার সেই মৌলিক অধিকারের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে আইন। 

গত বুধবার ৩৯ বছর বয়সী ব্রিটনি বলেন, আদালতের নির্দেশে তিনি কনজারভেটরশিপ বা জিম্মায় জীবন কাটাচ্ছেন; আর সেটি তাকে ইচ্ছের বিরুদ্ধে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি অনুসরণ করতে বাধ্য করছে।

কনজারভেটরশিপ নিয়ে লস অ্যাঞ্জেলেসের একটি সুপারিয়র কোর্টে শুনানি চলাকালে আদালতকে তিনি বলেন, 'আমি বিয়ে করতে এবং সন্তানের মা হতে চাই। অথচ আমাকে বলা হয়েছে, কনজারভেটরশিপে থাকাকালে বিয়ে করতে কিংবা মা হতে পারব না।'

'যেন গর্ভধারণ না করি, সেজন্য আমার শরীরের ভেতরে এখন একটি গর্ভনিরোধক ডিভাইস রয়েছে। আমি সেটি বের করে ফেলতে চাই, যেন আবারও সন্তান নিতে পাড়ি। কিন্তু এই তথাকথিত টিম আমাকে ডিভাইসটি বের করার জন্য চিকিৎসকের কাছে যেতে দিচ্ছে না; কারণ, তারা চায় না আমার সন্তান হোক,' বলেন 'ওপ্স... আই ডিড ইট অ্যাগেইন' গায়িকা।

আমেরিকান র‍্যাপার কেভিন ফেডারলাইনের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর থেকে গত ১৩ বছর ধরে কনজারভেটরশিপে রয়েছেন এই পপ মেগাস্টার।

ব্রিটনি স্পিয়ার্স। ছবি: সংগৃহীত

বুধবার বিচারককে ব্রিটনি জানান, তিনি মুক্ত হতে চান। আবেগ ভরা কণ্ঠে তিনি বলেন, 'একা থাকতে থাকতে আমি ক্লান্ত। যাদের সন্তান আছে, পরিবার আছে, এটা-ওটা আছে, তেমন যেকোনো সাধারণ মানুষের মতো এইসবের অধিকার আমারও রয়েছে। নিজের জীবন যাপন করার অধিকার আমার রয়েছে।'

ফেডারলাইনের সঙ্গে শন প্রেস্টন ও জেডেন জেমস নামে দুটি সন্তান রয়েছে ব্রিটনির। বেশ কয়েক বছর ধরে বর্তমানে ২৭ বছর বয়সী ইরানি পারসোনাল ট্রেনার স্যাম আসগরির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে রয়েছেন তিনি।

প্রেমিক স্যাম আসগরির সঙ্গে ব্রিটনি স্পিয়ার্স। ছবি: সংগৃহীত

বিচারককে ব্রিটনি জানিয়েছেন, তিনি মুক্ত হয়ে নিজের প্রেমিকের সঙ্গে জীবন কাটাতে চান। 'আমি শুধু আমার নিজের টাকাগুলো চাই। আর চাই এইসব (কনজারভেটরশিপ) শেষ হোক; যেন নিজের প্রেমিকের সঙ্গে তার গাড়িতে চড়ে দূরে কোথাও চলে যেতে পারি।'

এ সময়ে এ সংক্রান্ত প্রচলিত আইন পরিবর্তনেরও দাবি তোলেন ব্রিটনি।


  • সূত্র: পেজ সিক্স/নিউইয়র্ক পোস্ট

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.