ক্রিকেটার সিরাজকে নিয়ে ধর্মেন্দ্রর আবেগঘন টুইট

বিনোদন

টিবিএস ডেস্ক
22 January, 2021, 04:15 pm
Last modified: 22 January, 2021, 04:17 pm
'তুমি পিতার মৃত্যুর বেদনা বুকে বহন করেছ; তবু খেলেছ দেশের গৌরবের জন্য এবং ফিরে আসার আগে একটি অপ্রত্যাশিত বিজয় নিয়ে এসেছ।'

ভারতীয় ক্রিকেটার মোহাম্মদ সিরাজকে উৎসর্গ করে বলিউড অভিনেতা ধর্মেন্দ্র টুইটারে একটি আবেগঘন পোস্ট শেয়ার করেছেন।

সিরাজ যেভাবে তার বাবার মৃত্যু সত্ত্বেও খেলা চালিয়ে গেছেন, এর ভূয়সী প্রশংসা করেন ধর্মেন্দ্র।

দেশের হয়ে খেলার জন্য মানসিক আঘাত ও বিষণ্ণতা দূরে সরিয়ে রাখায় ক্রিকেটার সিরাজের জন্য অত্যন্ত গর্বিত এই প্রবীণ অভিনেতা। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজ শুরু হওয়ার আগে সিরাজ তার বাবাকে হারান। তবে এই পেসার অস্ট্রেলিয়ায় থেকে গিয়েই খেলা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

টুইটারে ধর্মেন্দ্র সিরাজের একটি ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, 'তোমাকে নিয়ে আমি গর্বিত। তুমি পিতার মৃত্যুর বেদনা বুকে বহন করেছ; তবু খেলেছ দেশের গৌরবের জন্য এবং ফিরে আসার আগে একটি অপ্রত্যাশিত বিজয় নিয়ে এসেছ। গতকাল তোমার বাবার কবরে তোমাকে দেখে আমার হৃদয় ভারী হয়ে গেছে। তোমার বাবা স্বর্গবাসী হোন।'

ধর্মেন্দ্রর অনুসারীরাও সিরাজের প্রতি তাদের সমর্থন জানিয়েছে কমেন্ট করেছেন। এক ভক্ত লিখেছেন, 'আমরা সবাই সিরাজের বাবার জন্য প্রার্থনা করি। তিনি যেন স্বর্গে যেতে পারেন। সিরাজ যেন শক্তি পান, যেন এই কঠিন সময়ে নিজ পরিবারের দেখাশোনা করতে পারেন।'

সিরাজ জানান, তিনি টেস্ট খেলছেন, এমন স্বপ্ন দেখতেন তার বাবা। বাবার সেই স্বপ্ন পূরণ করতে চেয়েছিলেন তিনি।

বৃহস্পতিবার এই পেসার তার প্রয়াত বাবা মোহাম্মদ গাউসের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

সিরাজ আরও বলেন, 'আমি রঞ্জি, ভারত-এ এবং আইপিএলে খেলেছি। আর তা আমাকে জাতীয় দলের হয়ে খেলতে সাহায্য করেছে। পরিবারের কাছ থেকে পাওয়া আত্মবিশ্বাস আমাকে প্রেরণা দিয়েছে। মা বলেছিলেন, যেন অস্ট্রেলিয়ায় থেকে যাই এবং বাবার স্বপ্ন পূরণ করি। আমি মনে করি, আমার ক্যারিয়ার সবেমাত্র শুরু হয়েছে। এখনই আরাম করতে চাই না। বরং নিজ কর্মক্ষমতার উন্নয়ন ঘটাতে চাই।'

  • সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.