করোনার সঙ্গে এক বছর লড়ে ‘‘ডসন’স ক্রিক’’ লেখিকা ফেরারের আত্মহনন
বিনোদন
করোনাভাইরাসের সঙ্গে বছরব্যাপী লড়ে শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন আমেরিকান অভিনেত্রী ও লেখিকা হেইডি ফেরার। তিনি ১৯৯৮ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত প্রচারিত জনপ্রিয় টিন ড্রামা টেলিভিশন সিরিজ "ডসন'স ক্রিক"-এর লেখিকা হিসেবেই বেশি খ্যাত।
তার বয়স হয়েছিল ৫০ বছর।
তিনি গত ২৬ মে আত্মহত্যা করলেও মৃত্যুর কারণ গণমাধ্যমে সম্প্রতি প্রকাশ করেছেন তার স্বামী এবং চিত্রনাট্যকার, পরিচালক ও প্রযোজক নিক গুট।
নিক জানান, ২০২০ সালের এপ্রিলে কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হন হেইডি ফেরার। টানা এক বছর তিনি ভাইরাসটির সঙ্গে লড়ে যান। ভাইরাসের দীর্ঘমেয়াদী প্রভাবে নিরন্তর শারীরিক যন্ত্রণায় ভুগছিলেন তিনি।
এর আগে, গত সেপ্টেম্বরে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে নিজের চলমান লড়াই প্রসঙ্গে আমেরিকান ট্যাবলয়েড টিএমজেড'-এ বিস্তারিত লিখেছিলেন ফেরার। অন্যদিকে, নিজের ব্লগ 'গার্লটুমম'-এ তিনি লিখেছিলেন, 'জীবনের এইসব অন্ধকারতম মুহূর্তে আমার স্বামীকে বলে দিয়েছি, যদি সুস্থ না হই, এভাবে বেঁচে থাকতে পারব না। আত্মহত্যার প্রবণতা থেকে এ কথা বলিনি। আমি আসলে জীবনের স্রেফ আর কোনো অর্থই খুঁজে পাচ্ছিলাম না। এর কোনো শেষ দেখছিলাম না।'
১৯৭০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যানসাসে জন্মগ্রহণকারী ফেরার ১৯৮০-এর দশকে অভিনয়ের স্বপ্ন চোখে নিয়ে লস অ্যাঞ্জেলেসে পাড়ি জমান এবং আমেরিকান একাডেমি অব ড্রামাটিক আর্টসে ভর্তি হন। পরবর্তীকালে তিনি চিত্রনাট্য লেখায় মনোযোগ দেন।
"ডসন'স ক্রিক" ও 'ওয়েস্টল্যান্ড' ড্রামা সিরিজের এপিসোডগুলো লিখেছেন তিনি।
মৃত্যুকালে তিনি স্বামী, ১৩ বছর বয়সী ছেলে বেক্সন, মা ন্যান্সি গিলমোর এবং দুই বোন লরা-ফেরার-শমিড ও সিয়েরা সামারভিলাকে রেখে গেছেন।
-
সূত্র: নিউইয়র্ক পোস্ট
Comments
While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.