ষড়যন্ত্র না থাকলে বিশ্বব্যাংক কেন পদ্মা সেতুর অর্থায়ন বন্ধ করবে, প্রশ্ন হাইকোর্টের

আজ সোমবার (২৭ জুন) হাইকোর্ট প্রশ্ন তুলে বলেছেন, পদ্মা সেতু নিয়ে ষড়যন্ত্র না থাকলে বিশ্বব্যাংক কেন অর্থায়ন বন্ধ করেছে।
আদালত আরও বলেছেন, যড়যন্ত্রকারীরা দেশবিরোধী; এদের খুঁজে বের করতে হবে।
পদ্মা সেতু নির্মাণ চুক্তি এবং দুর্নীতির মিথ্যা গল্প সৃষ্টির নেপথ্যে প্রকৃত ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করতে কেন কমিশন গঠন করা হবে না, তা জানতে চেয়ে সরকারের প্রতি জারি করা রুলের ওপর শুনানির সময় এই প্রশ্ন করেন বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
আদালত বলেন, "পদ্মা সেতু আমাদের জাতীয় সম্পদ। এটা আমাদের অহংকার। এ ধরনের জাতীয় স্বার্থ উন্নয়নের বিরুদ্ধে যারা থাকেন, তারা জাতির শত্রু, দেশের শত্রু, তাদের চিহ্নিত করা দরকার।"
এ বিষয়ে শুনানি ও পরবর্তী আদেশের জন্য মঙ্গলবার (২৮ জুন) দিন ধার্য করেছেন আদালত।
২০১৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি তারিখে তদন্ত কমিশন গঠন করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট; মন্ত্রিপরিষদ, আইন, স্বরাষ্ট্র ও যোগাযোগ সচিব এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যানকে দুই সপ্তাহের মধ্যে সে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ বিবেচনায় এ আদেশ দেন।
সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে বিশ্বব্যাংক এবং দাতা সংস্থাগুলো পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পে অর্থায়নে পিছিয়ে যায়; আদালত প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, এটি জাতি হিসেবে আমাদের মর্যাদায় আঘাত করেছে।
তবে দুর্নীতি দমন কমিশন এবং অন্যান্য সংস্থার তদন্তে দুর্নীতির অভিযোগের সত্যতা মেলেনি বলেও উল্লেখ করা হয়।