ছাত্রলীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষের জেরে চুয়েট বন্ধ ঘোষণা, হল ত্যাগের নির্দেশ
বাংলাদেশ
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে আগামী ৫ জুলাই পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এর প্রেক্ষিতে চুয়েটের শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে তারা।
ছাত্রদেরকে আজ বিকেল ৫টার মধ্যে এবং ছাত্রীদেরকে বুধবার (১৫ জুন) সকাল ১০টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তবে, স্নাতকোত্তর পর্যায়ের চলমান সব একাডেমিক কার্যক্রম যথারীতি অব্যাহত থাকবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চুয়েটের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী।
তিনি জানান, চুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে মঙ্গলবার সকালে সব ডিন, ইনস্টিটিউট পরিচালক, রেজিস্ট্রার, বিভাগীয় প্রধান, প্রভোস্ট ও ছাত্র কল্যাণ পরিচালকের সমন্বয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজ (১৪ জুন) থেকে আগামী ৫ জুলাই পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক পর্যায়ের সব একাডেমিক কার্যক্রম (পরীক্ষাসহ) এবং আবাসিক হলগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার ছাত্রলীগের একটি গ্রুপ ক্যাম্পাসমুখী শিক্ষক, কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের সব বাস আটকে রাখে। ফলে শহর থেকে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে যেতে পারেনি।
শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বড় একটা অংশ ক্যাম্পাসে বিকল্প পরিবহনের গিয়েছেন।
সোমবার (১৩ জুন) দিবাগত রাতে ৫০ জনের মতো একটি গ্রুপ হেলমেট পরে লাঠিসোঁটা, রামদা নিয়ে ক্যাম্পাসে টহল দিয়েছে।
গত শনিবার রাতে চট্টগ্রাম শহরে একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেন চুয়েট ছাত্রলীগের একটি গ্রুপের নেতাকর্মীরা। অনুষ্ঠান শেষ হতে দেরি হওয়ায় চুয়েটের রাত ৯টার বাসটি ৩০ মিনিট দেরিতে ছাড়তে বলে তারা।
সেসময় একই বাসে থাকা অন্য একটি গ্রুপের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এর বিরোধিতা করে। মূলত এই বিষয়টি নিয়েই বাকবিতণ্ডা থেকে তা একপর্যায়ে হামলা-মারামারিতে রূপ নেয়।
চুয়েটে আগামী ৬ জুলাই থেকে ১৪ জুলাই পবিত্র ঈদ উল আজহা উপলক্ষে একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
Comments
While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.