প্যান্ডোরা পেপারসে আরও তিন বাংলাদেশির নাম ফাঁস

বাংলাদেশ

টিবিএস রিপোর্ট
04 May, 2022, 08:05 pm
Last modified: 05 May, 2022, 01:42 pm
নতুন তালিকায় ৯ হাজারের বেশি অফশোর কোম্পানি, ট্রাস্ট ও ফাউন্ডেশনের নথি ফাঁস হয়েছে।

মঙ্গলবার রাতে (বাংলাদেশ সময়) ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অভ ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টসের (আইসিআইজে) প্রকাশিত প্যান্ডোরা পেপারের চূড়ান্ত তালিকায় এসেছে আরও তিন বাংলাদেশির নাম। এই ব্যক্তিরা সম্পত্তি বেচাকেনা ও সম্পদ লুকানোর জন্য করস্বর্গ হিসেবে পরিচিত বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলের অফশোর কোম্পানিতে বিনিয়োগ ও গোপন লেনদেন করেছেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। 

প্যান্ডোরা পেপারসের চূড়ান্ত তালিকায় আসা তিনজনের মধ্যে দুজন—এস হেদায়েত উল্লাহ ও এস রুমি সাইফুল্লাহ—হংকংয়ের ট্রান্সগ্লোবাল কনসাল্টিং নামের একটি কোম্পানিতে বিনিয়োগ করেছেন। আর তৃতীয়জন—শাহেদা বেগম শান্তির বিনিয়োগ রয়েছে জাস লিমিটেড নামে একটি অফশোর কোম্পানিতে।

আইসিআইজের তথ্যানুসারে, এস হেদায়েত উল্লাহ ও এস রুমি সাইফুল্লাহ ঢাকার বারিধারা ডিওএইচএসের নর্দান রোডের একটি বাড়ির বাসিন্দা। আর শাহেদা বেগম শান্তি থাকেন সিলেট নগরের শাহজালাল এলাকায়।

গত বছরের ৩ অক্টোবর প্রকাশ করা হয় প্যান্ডোরা পেপারসের প্রথম ধাপের তালিকা। এরপর ৬ ডিসেম্বর প্রকাশ করা হয় দ্বিতীয় ধাপের তালিকা। দুই ধাপে মোট আট বাংলাদেশির নাম আসে।

নতুন তালিকায় ৯ হাজারের বেশি অফশোর কোম্পানি, ট্রাস্ট ও ফাউন্ডেশনের নথি ফাঁস হয়েছে।

তবে প্যান্ডোরা পেপারসে যাদের নাম এসেছে তারা যে বেআইনি কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত, তা নিশ্চিত করে বলা যায় না। নথি ফাঁসকারী সাংবাদিকেরাও তা-ই বলেছেন।

তালিকায় এর আগে যে আট বাংলাদেশির নাম ছিল তারা হলেন—মোহাম্মদ ভাই, সাকিনা মিরালী, নিহাদ কবির, ইসলাম মঞ্জুরুল, অনিতা রানী ভৌমিক, ওয়াল্টার পোলাক, ডেনিয়েল আর্নেস্তো আইউবাত্তি ও সাইদুল হুদা চৌধুরী।

আইসিআইজে বলছে, তারা জনস্বার্থে এসব তথ্য প্রকাশ করছে। 

প্রায় ১২ মিলিয়ন নথির উপর ভিত্তি করে ১৪টি বিভিন্ন অফশোর সেবা প্রদানকারীর নথি হলো প্যান্ডোরা পেপারস। ধনী অভিজাতদের গোপন অফশোর বিনিয়োগ প্রকাশের জন্য আইসিআইজে এসব তথ্য সংগ্রহ করে।

প্যান্ডোরা পেপারসে এখনও পর্যন্ত ৩৩০ জনের বেশি রাজনীতিবিদ ও ১৩০ জন বিলিয়নেয়ারের নাম এসেছে। এছাড়াও এসেছে অনেক তারকা ও রাজপরিবারের সদস্যের নাম। এসব ফাইলে প্রতারক, মাদক ব্যবসায়ী, পলাতক গোষ্ঠী-নেতা ও দুর্নীতিবাজ ক্রীড়া কর্মকর্তাদের আর্থিক লেনদেনও প্রকাশ্যে আনা হয়েছে।
 

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.