শিমুলিয়া ফেরিঘাটে বাড়ছে যাত্রী ও যানবাহনের ভিড়  

বাংলাদেশ

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি
29 April, 2022, 11:35 am
Last modified: 29 April, 2022, 11:53 am
শিমুলিয়া ঘাটে মাত্র ১০টি ফেরিযোগে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। ফেরি সংকট ও সময়মতো ফেরি না ছাড়ায় ঝুঁকি নিয়ে লঞ্চে ও স্পিডবোটে যাতায়াত করছে যাত্রীরা।

ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ফেরিঘাটে যানবাহনের চাপ ততই বাড়ছে। শুক্রবারও ভোর থেকে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ফেরি পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে বিপুল যানবাহন। প্রচণ্ড রোদে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে পারাপারের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের।

এদিকে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া ঘাটে মাত্র ১০টি ফেরিযোগে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে ঢাকা থেকে আসা এই রুটের যাত্রীদের।

শুক্রবার ভোরে ঢাকা থেকে শিমুলিয়া ফেরিঘাটে আসতে শুরু করে যানবাহন। বেলা বাড়ার সাথে সাথে যানবাহনের সারি দীর্ঘ হয়। এদিকে ফেরি সংকট ও সময়মতো ফেরি না ছাড়ায় ঝুঁকি নিয়ে লঞ্চে ও স্পিডবোটে যাতায়াত করছে যাত্রীরা। এতে গুনতে হচ্ছে বাড়তি টাকা। সকাল থেকে দেখা যায় বাস-লেগুনা, ব্যাটারীচালিত অটোরিক্সা, মোটরসাইকেলে করে ঘাট এলাকায় এসে লঞ্চে বা স্পিডবোটে মানুষ পাড়ি দিচ্ছে শিমুলিয়া ঘাট। লঞ্চে বা স্পিডবোটে যাত্রীদের ভোগান্তি একটু কম তবে ব্যক্তিগত গাড়িতে করে পদ্মা পাড়ি দেওয়ার ক্ষেত্রে ফেরিঘাটে অপেক্ষা করতে হয় বেশ কয়েক ঘণ্টা।

কলেজছাত্র আরিফিন মোল্লা বলেন, "বাসে করে এসেছি কোন কষ্ট হয়নি। এরপর স্পিড বোটে পাড়ি দিবো তাড়াতাড়ি উপরে যাওয়ার জন্য। উপরের মোটরসাইকেলে করে শিবচরে যাব।"

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মোঃ ফয়সাল জানান, "বর্তমানে মোট ১০টি ফেরি পারাপারে কাজ করছে। ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে, মনে হচ্ছে যাত্রী পারাপারের সংখ্যা বাড়ছে। বাংলাবাজার নৌরুটে সাতটি ও মাঝিরকান্দা নৌরুটে তিনটি ফেরি চলাচল করছে।" 

বিআইডব্লিউটিএ শিমুলিয়া ঘাটের নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী পরিচালক মো. শাহাদাত হোসেন জানান, লঞ্চ  ও স্পিডবোটে যাত্রী পারাপারের সংখ্যা বেড়েছে। ফেরির জন্য দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা না করে মানুষ লঞ্চ-স্পিডবোটে যাতায়াত করছে। ভোর থেকে ১৫৫টি স্পিডবোট  ও ৮৭টি লঞ্চ চলাচল করছে।
 
 

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.